গরমে সুস্থ থাকার ১০
উপায়
আবহাওয়াটা সুবিধার নয়। এই
ভ্যাপসা গরমের দিনে যে কোনো
মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন যে
কেউ। পরিবেশের তাপমাত্রা বাড়ার
সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও
বাড়তে থাকে। তাই এ সময় কেউ যদি
নিজের শরীরের তাপমাত্রা
স্বাভাবিক রাখার কৌশল আয়ত্ত
করতে পারেন, তাহলেই সম্ভব
অসুস্থতার হাত থেকে রেহাই
পাওয়া।
১. পরিশ্রমের মাত্রা
কমিয়ে আনুন। গরমে
মাত্রাধিক ব্যায়াম
করলে শরীরের
তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
তবে শারীরিক ফিটনেস
বজায় রাখতে সীমিত
মাত্রার ফ্রি হ্যান্ড
এক্সারসাইজ করতে
পারেন। খুব ভোরে হেঁটে
আসুন খোলা বাতাসে
কিংবা সাঁতার কাটুন
কিছুক্ষণ।
২. শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করুন।
দুঃসহ গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর
থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর পরিমাণে
পানি। তার সঙ্গে বেরিয়ে যায় লবণ।
সেই পানিশূন্যতা দূর করতে
স্বাভাবিকের বেশি পানি বা
পানীয় পান করতে হবে। শরীরে
পানি আর লবণের অভাব হলে
মাংসপেশি ঠিকমতো কাজ করতে
পারে না। তাই বোতল বা ফ্লাস্কে
পানি মজুদ রাখুন।
৩. তরল খাবার বেশি খান। স্যুপ,
এনার্জি ড্রিঙ্ক, মিল্কশেক ও ফলের
রস সেবন করুন। সবজির সালাদ বাদ
দেবেন না। শরীর থেকে ঘামের
সঙ্গে বেরিয়ে যাচ্ছে লবণ।
প্রয়োজনে খাবার স্যালাইন খান।
ডাবের পানি, তরমুজ বাদ যাবে কেন
খাদ্য তালিকা থেকে?
৪. পোশাক পরুন হালকা রঙের। এই
গরমে একেবারেই ভুলে থাকুন গাঢ়
রঙের পোশাকের কথা। গাঢ় রঙের
পোশাক রোদ শোষণ করে বলে গরম
অনুভূত হয় বেশি। কিন্তু হালকা রঙের
পোশাক রোদ যতটুকু না শোষণ করে
তার চেয়ে অধিক মাত্রায় বিকিরণ
করে। গরমে সিনথেটিক পোশাক
কখনোই পরবেন না। সব সময় সুতি ও
ঢিলা পোশাক পরুন।
৫. অফিসের পরিবেশ হোক
স্বাস্থ্যসম্মত। কাচের ঘরে ঘেরা
অফিসের একটি নন্দনগত দিক রয়েছে
সত্য। তবে তা থেকে আপনি বিশেষ
উপকৃত হতে পারছেন না। যেসব অফিস
বা কর্মস্থল কাচে ঘেরা সেখানে
সূর্যালোকের শোষণ হয় বেশি। ফলে
ঘরের তাপমাত্রা বাইরের চেয়েও
বেড়ে যায় দ্বিগুণ পরিমাণে।
৬. পরিত্যাগ করুন চা, কফি ও
অ্যালকোহল। গরমের অত্যাচারে যখন
আপনি অতিষ্ঠ, ভুলেও পান করবেন না
চা, কফি বা অ্যালকোহল। এগুলো
বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে
আপনার শরীরে। বাড়িয়ে দেবে
বেশি করে পানিশূন্যতা। আপনার
তৃষ্ণা মেটাতে স্রেফ পানি পান
করুন। অথবা কোমল পানীয়।
৭. এড়িয়ে চলুন সূর্যালোক। চেষ্টা করুন
ছায়ার মধ্য দিয়ে চলতে। রোদে
গেলে মাথায় রাখুন চওড়া ক্যাপ,
স্কার্ফ অথবা ছাতা। রিকশায় চড়লে
হুড উঠিয়ে চলুন। ত্বকে মেখে চলুন
সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন। রোদে
বাইরে বেরোলেই সানগ্গ্নাস পরে
নেবেন। বাদামি রঙের কাচ ব্যবহার
করুন।
৮. গোসল করুন একাধিক বার। পুকুরে বা
সুইমিং পুলে ডুব দেওয়া সবার পক্ষে
সম্ভব নয়। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি
বাথটাবের ঠাণ্ডা জলে কিছুক্ষণ
জিরিয়ে নেন। সম্ভব হলে দিনে
একাধিকবার গোসল করুন। শরীরে তেল
জাতীয় কিছু মাখবেন না।
৯. হিউমিডিফায়ার রাখুন
প্রয়োজনে। বাতাসের আর্দ্রতা এখন
থাকে ৯০-এর ঘরে। যাদের ঘরে
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই,
কম খরচের আর্দ্রতা নিরোধক
হিউমিডিফায়ার এ সময় ভালো কাজ
দিতে পারে।
১০. ফ্যানের ব্যবহার পরিবর্তন করুন।
সিলিং ফ্যানের পরিবর্তে টেবিল
ফ্যান বা ওয়াল ফ্যান ব্যবহার করুন।
ঘরের মধ্যে বাতাস পরিবহন বা
চলাচল এতে সহজতর এবং কার্যকর হয়ে
উঠবে।
শনিবার, ৩০ জুন, ২০১৮
গরমে সুস্থ থাকার উপায়!
Bollywood star Deepika wedding!
Want to have kids,
says Deepika amid
wedding rumours
with Ranveer
Ourmedianews24 Deskঃ
Bollywood stars Deepika
Padukone and Ranveer Singh
are reportedly tying the knot
last this year.
A
But the newest thing is the
actress talking about wanting to
have children, reports NDTV.
A
In an interview with the
Evening Standard, the 32-year-
old revealed that her parents
are her idols for family goals
and that she really wants to
start one of her own.
A
"Absolutely - I want to have
kids," she told the British
tabloid when asked about
family goals.
A
Deepika is the elder daughter of
former badminton player
Prakash Padukone and Ujjala.
Deepika's younger sister Anisha
is a golfer.
A
Deepika and Ranveer have been
trending on and off for the
many wedding rumour these
two have featured in - the latest
one being their rumoured
wedding is scheduled for Nov 10
with either Italy or Bangalore
as the location.
A
While a stony silence continues
to be maintained at the
Padukone and Singh quarters,
Deepika shared how she deals
with the speculation about her
off-screen rapport with
Ranveer. "I try and keep it
separate as much as possible,
but I don't try to fight or
control the speculation," she
said.
A
Several reports also state
Deepika and Ranveer's roka
ceremony has secretly
happened already and the
respective families are
currently busy with the
wedding shopping.
A
"The maximum time was taken
to decide the date. Both
Ranveer and Deepika want
everything about their
marriage to be perfect.
November 10th suited their
calendars as well as their
parents'," Filmfare quoted a
source as saying recently.
A
Deepika and Ranveer, who have
arrived at parties and events
hand-in-hand, co-stars of
Sanjay Leela Bhansali-directed
films such as Ram-Leela and
Bajirao Mastani and were last
seen together in "Padmaavat."
ওরা সাত ছিনতাইকারী মহিলা যাত্রী!
ওরা সাত ‘ভয়ঙ্কর যাত্রী’
30 Jun, 2018
অভিযান চালিয়ে সাত ‘ভয়ঙ্কর
যাত্রী’কে গ্রেফতার করেছে
কোতোয়ালী থানা পুলিশ। সংঘবদ্ধ
হয়ে যাত্রী সেজে বাসে উঠে
ছিনতাই করাই তাদের পেশা। তারা
সকলেই নারী।
শুক্রবার (২৯ জুন) রাতে অভিযান
চালিয়ে সীতাকুণ্ডের ফকিরহাট
এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা
হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোছাম্মদ
রাহেলা (৪০), মোছাম্মদ আফিয়া
বেগম (১৮), ফুলতারা বেগম (২২),
শাহার বানু (৫৫), সুলতানা বেগম
(২৩), নাজমা বেগম (৩৫) ও মরিয়ম
বেগম (২৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মোহাম্মদ মহসিন বাংলানিউজকে
বলেন, কোতোয়ালী এলাকায় একটি
বাসে করে যাচ্ছিলেন রুমু নামের এক
মেয়ে। কিছুদুর যেতেই দেখেন পাঁচ
ছয়জন মহিলা হুড়োহুড়ি করে বাসে
উঠল। এরপর বাস চলা শুরু করলেই রুমু
এসব মহিলার অস্বাভাবিক আচরণ
দেখতে পান। পর্যাপ্ত জায়গা থাকা
সত্ত্বেও গায়ে লেগে থাকা,
ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেওয়া,
কৃত্রিম ভিড় সৃষ্টি করা। এর ফাঁকেই
হঠাৎ তিনি তার ঘাড়ে একটা স্পর্শ
অনুভব করেন। হাত দেওয়ার সাথে
সাথেই দেখেন তার গলায় থাকা
স্বর্ণের চেইন উধাও। সাথে সাথেই
তিনি চিৎকার করে পাশে থাকা
একজনকে ধরে ফেলেন। অন্য যাত্রীরা
এসময় ছুটে এলে সুযোগ বুঝে কিছু
মহিলা পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, আটক ওই মহিলা
সবকিছু অস্বীকার শুরু করে। এক
পর্যায়ে সবাই মিলে সেখানকার টহল
পুলিশের সহযোগিতা গ্রহণ করে। টহল
পুলিশ প্রথমেই আটককৃত মহিলার কাছ
থেকে ছিনতাইয়ের স্বীকারোক্তি
গ্রহণ করে। পরবর্তীতে তার দেওয়া
তথ্য অনুযায়ী নগরী এবং সীতাকুণ্ডের
বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রা ভয়ঙ্কর
করা সাত ‘ভয়ঙ্কর যাত্রী’কে আটক
করে। এসময় ছিনতাই হওয়া চেইনটিও
উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, ওরা সাতজনই সংঘবদ্ধ
ছিনতাইকারী চক্র। সাতজনই মহিলা।
সবাই যাত্রী। সবসময়ই যাত্রী।
দিনেও যাত্রী। রাতেও যাত্রী।
সারাদিনই যাত্রা’র ওপরে থাকেন
তারা। কখনো বাসে। কখনো বা
রাইডারে। যাত্রাতেই পার হয়
তাদের রাত ও দিন। সাধারণত যেসব
গাড়িতে মেয়ে কম কিন্তুভিড় বেশি
সেসব গাড়িতে উঠতেই তারা বেশি
স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। আর সেই মেয়ে
যদি দাঁড়ানো থাকে তাহলে তো আর
কথাই নেই। এসব গাড়িতে উঠে
প্রথমেই তারা দাঁড়ানো মেয়েটির
চারপাশে দাঁড়িয়ে যায়। এরপর
গাড়ির লক্কড়ঝক্কর লাফ, যাত্রীদের
ভিড় সাথে এসব মহিলার ঠেলাঠেলি
পেরিয়ে যখন মেয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়
তখন দেখে হয়ত তার ব্যাগ নতুবা
মোবাইল নেই।
গ্রেফতারকৃতদের বিরূদ্ধে দ্রুত বিচার
আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও
জানান ওসি।
উৎসঃ banglanews24
জকিগঞ্জে বন্যাদুর্গত এলাকায়; ক্ষতিগ্রস্তদের নেই ত্রান সহায়তা!
সিলেটের জকিগঞ্জে অনেক গ্রাম বন্যায় প্লাবিত, দেখার কেউ নেই!সিলেট (জকিগঞ্জ) সংবাদদাতা ঃসিলেটেরজকিগঞ্জ ওকানাইঘাট উপজেলায় আকস্মিকবন্যায় প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষেরআরামের ঘুম হারাম করে দিয়েছে।ঈদের ছুটিতে বাড়ীতে থাকারসুবাদে মানুষের দূর্ভোগ-দুর্দশারচিত্র স্বচক্ষে দেখার সুযোগ হয়েছে।দূর্গত মানুষের এই অবস্থা দেখেনিজেকে ধরে রাখা খুবই কঠিন। মানবাধিকার কর্মি মুস্তাক আহমদের সাথে কথা বলায় উঠে আসে বানবাসি মানুষের এমন অবস্থার কথা, কোন উদ্দগ্য নিচ্ছে না স্থানিয় প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিরা বানবাসি লোকদের ত্রান বা মাথা গোজার ঠাই পাচ্ছে না বানবাসি এমন অভিযোগ স্থানিয় দের, ভারতের, উজান হতে নেমে আসাপাহড়ী পানির ডল টিপাই মূখ সহবিভিন্ন নদী নালা দিয়ে সুরমা-কুশিয়ারা নদী হয়ে বাংলাদেশেপ্রবেশ করে সিলেটের শেষ পূর্বসীমান্ত জকিগন্জ- কানাইঘাটউপজেলা'র গ্রাম থেকে গ্রামান্তরবন্যার পনিতে প্লাবীত হয়ে যায়!তম্মধ্যে জকিগন্জ উপজেলারউত্তরকুল, সোনাসার, বিয়াবাইল,রসুলপুর, কালিগন্জ, আটগ্রাম, ফুলতলী,নান্দিশ্রী, বালাউট, মাইজকান্দী,পূর্ব মাইজকান্দী, পঙ্গবট, বিলেরবন্দ,মুমিনপুর, রারাই, ফলাহট, শৈষ্যকুড়ি,সোনাপুর(নকুলপুর) ডেমারগ্রামসহআশপাশ এলাকা। বিশেষ করেজকিগন্জ উপজেলা'র বারহালইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম-মনতঈল,কুদালী, পাচালী, খালপার,সমসখানি,পইল,আখাব গ্রামগুলোএখনো বন্যা কবলিত, বন্যার্ত মানুষত্রানের জন্য হাহাকার করছে।এসবমানুষের মুখে দুর্দশার কথা শুনেবাঁকরুদ্ধ হওয়ার মতো।বিভিন্ন সামাজিক সংস্হারমাধ্যমে কিংবা মানবতার টানেব্যক্তিগত ভাবে অনেকে দুর্দশাগ্রস্থমানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যরাত দিন কষ্ট করছেন। কারো কাঁচাঘর বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে কিংবাধসিয়ে ফেলেছে। অনেকের সন্তানঅসুস্থ হয়ে পড়েছে।ঔষধ ক্রয়েরসামর্থ হারিয়ে ফেলেছেন। কারোতিলে তিলে সঞ্চিত সমস্ত সঞ্চয়দিয়ে আপন পুকুরে ফেলা মৎস্য পোনাভাসিয়ে নিয়েছে। স্বপ্ন ছিল, এগুলোবড় হলে সংসারের প্রয়োজন মিটবেএবং উদ্ধৃত অংশ বিক্রয় করে বাড়তিআয় হবে। কারো ক্ষেতের ফসলভাসিয়ে নিয়েছে, ফসল ফলাতেসঞ্চিত সঞ্চয় ব্যয় হয়ে গেছে। এখনকর্মহীন। আশা ছিল ফসল ধরলে অন্নজোটবে, এখন হতাশার কালোরেখাচোখে মুখে ফুটছে। অনেক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী সন্তানের পড়ার বই-খাতা ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। নতুনকরে ক্রয় করার সামর্থ নেই। আছেসবার ক্ষিধে নিবারণের তাড়না।প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবেনিত্যদিনের অন্ন যোগাতে হিমশিমখাচ্ছেন।অন্যদিকে মেইন রোড় সহ ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায়যাতায়াতের যোগাযোগ ব্যবস্তাপ্রায় বিচ্ছিন্ন।মূলতো , রস্তা ঘাটেরঅবস্তা বেহাল ছিলো, যা মাত্রছিলো তাও আবার বন্যায় একবারেবিলীন হয়ে গেছে। তাছাড়াপ্রত্যেকের পুকুরেই পানি ডুকে তাব্যবহার অনুপযোগী করে ফেলেছে।উপায়ান্ত না হয়ে এই পানি ব্যবহারকরে নানা রোগ-বালাইর মুখোমুখিহচ্ছেন দূর্গত এলাকার মানুষ। বন্যার্তমানুষ অভিযোগ করেন তাদের কাছেএখনো কোনো সরকারিবেসরকারিভাবে ত্রান সামগ্রীপৌছেনি। দ্রুত ত্রান সামগ্রীপ্রেরনের জন্য তারা সরকারেরঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিত্তশালীদেরসুদৃষ্টি কামনা করেন।এমতাবস্থায় লোক দেখানো ত্রাণবিতরণে মনযোগ না দিয়ে সমস্যারগভীরে গিয়ে পরিকল্পিত কাজ করাসময়ের দাবী। বিশেষ করে বিভিন্নরাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন,স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সামর্থবানব্যক্তিকে বন্যা দুর্গদের সহায়তায়সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে প্রত্যেকবন্যার্ত মানুষের মৌলিক সমস্যাগুলোচিহ্নিত করে তা সমাধানে কার্যকরভুমিকা পালন করা প্রয়োজন।সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ত্রাণকার্যক্রমকে সমন্বয় করে সকলক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যনিশ্চিত করা। বিশেষ করেক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে বিশেষ স্কিমদিয়ে তাদেরকে সরকারী ভাবেবিনা সূদে ঋনের ব্যবস্থা করা, মৎসখামারের মালিকদের জন্য বিশেষপ্রণোদনার ব্যবস্থা করে তাদেরকেওবিনা সূদে কর্জে হাসানা হিসেবেপ্রয়োজনীয় মূলধন সর্বরাহের ব্যবস্তাকরা। বন্যার পানি চলে যাওয়ারমুহুর্তে স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবেশরক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহন করেমানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাকরা। পাশাপাশি গরীব-অসহায়মানুষের জন্য জরুরী খাদ্য সহায়তাঅব্যাহত রাখা। ত্রাণ সামগ্রীবিতরণের পাশাপাশি দূর্গতদেরহাতে নগদ অর্থ তুলে দেয়া, যাতেতারা তাদের প্রয়োজন মুহুর্তেপ্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করতে পারে। এ অঞ্চলের বানবাসিরাস্থানিয় জনপ্রতিনিধি বা সমাজ উন্নয়ন মূলূক সংস্থা ও প্রবাসী দের প্রতি মানবতারসেবায় এগিয়ে আসার আহব্বান জানান।
বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন, ২০১৮
জকিগঞ্জের বারঠাকুরী আইডিয়াল একাডেমীতে প্রধান শিক্ষক আব্যশক।
জকিগঞ্জের বারঠাকুরী আইডিয়াল একাডেমী'র;
প্রধান শিক্ষক আব্যশক।
মোস্তাক আহমদ,জকিগন্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায়
বারঠাকুরী আইডিয়াল একাডেমী
(কিন্ডার গার্টেন স্কুল ) বারঠাকুরী
জকিগঞ্জ সিলেট'র জন্য একজন প্রধান
শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর,
অভিজ্ঞ প্রার্থীকে অগ্রাধিকার
দেয়া হবে।
বেতন আলোচনা সাপেক্ষ।
আগ্রহী প্রার্থীগন ৩ কপি পাসপোর্ট
সাইজ ছবি, সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার
সনদপত্র, জন্ম নিবন্ধন অথবা জাতীয়
পরিচয়পত্রের ফটোকপি, মোবাইল
নাম্বার ও জীবন বৃত্তান্ত সহ
আগামী ১০/০৭/২০১৮ ইং তারিখের
মধ্যে নিম্নোক্ত ঠিকানায় আবেদন
পাঠাতে হবে এবং আগামী ১৩/০৭/১৮
ইং তারিখ বিকাল ০২:০০ ঘটিকার
সময় সনদপত্রের মূল কপি সহ উপস্থিত
হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
যোগাযোগের ঠিকানা : বারঠাকুরী
আইডিয়াল একাডেমি।
বারঠাকুরী, জকিগঞ্জ,সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৩-৮১৫৬৬১
০১৭১০-৭১৬১৯০
বুধবার, ২৭ জুন, ২০১৮
বিয়ানিবাজারের দালালের খপ্পরে;ইউরোপ যাওয়া হলনা গোলাপগঞ্জের সাকেরের!
সাগরে বিলীন হলো
গোলাপগঞ্জের
সাকেরের ইউরোপ
যাওয়ার স্বপ্ন
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :: ভাগ্য
পরিবর্তনে লিবিয়া থেকে
ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো
না গোলাপগঞ্জের সাকেরের। গত
২ এপ্রিল স্বপ্নের দেশ ইতালিতে
পাড়ি দেয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি
নিয়ে বাড়ী থেকে বের হন ২২ বছর
বয়সের যুবক সাকের আহমদ। চার
ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল ২য়। সে
উপজেলার ভাদেশ্বর মডেল
ফাজিল মাদ্রাসায় পড়ালেখা
করেছে। ঢাকাদক্ষিণ বাজারে
চয়েজ টেইলার্স নামে একটি
দোকান ছিলো তার। পরবর্তীতে
বিয়ানীবাজারের এক দালালের
মাধ্যমে ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্ন
নিয়ে ঘর থেকে বের হয়। স্বপ্ন
ছিলো ইউরোপে গিয়ে পরিবারের
ভাগ্য পরিবর্তনের। কিন্তু গত ১৮ই
জুন লিবিয়া থেকে ইউরোপের
উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রলার
সাগরে ডুবে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ সাকের আহমদ (২২)
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার
নালিউরী গ্রামের আব্দুর রহিমের
পুত্র। এ ঘটনায় পরিবারে চলছে
শোকের মাতম। অপেক্ষার প্রহর
গুনছে স্বজনরা। নিখোঁজ
সাকের’র বড় ভাই মাসুদ আহমদ
জানান, তার ভাই প্রায় দুই মাস
পূর্বে দালালের মাধ্যমে
লিবিয়ায় পাড়ি জমান, উদ্দ্যেশ্য
ছিলো স্বপ্নের দেশ ইতালিতে
যাওয়ার। গত সোমবার তারা
দালালের মাধ্যমে জানতে
পারেন ইউরোপের উদ্দ্যেশ্যে
সাকেরদের নৌকা ছেড়ে যাবে।
এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছে
সাকের। কোনোভাবের সন্ধান
মিলছে না তার, তবে
বিভিন্নভাবে তারা সাকেরের
জন্য যোগাযোগ করছেন লিবিয়ায়,
এখন পর্যন্ত সে জীবিত বলে
তাদের ধারনা।
মোবাইল বন্ধ থাকায় দালালের
সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে
না। উল্লেখ্য, গত সোমবার প্রায়
১১৫জন যাত্রী নিয়ে একটি
প্লাস্টিকের নৌকা লিবিয়া
উপকুল থেকে ছেড়ে যাওয়ার
কিছুক্ষন পর রাস্তা হারিয়ে
ফেলে পথিমধ্যে নৌকাডুবি ঘটে।
নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত
৩৫জন বাংলাদেশীর মৃত্যুর খবর
পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে
বিয়ানীবাজার-বড়লেখা ও
গোলাপগঞ্জের অনেকেই নিখোঁজ
রয়েছেন।
মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১৮
মানবাধিকার প্রতিস্টাও বাস্তবায়ন সংস্থা'র সিলেট বিভাগীয় ধর্ম বিষয়িক সম্পাদক হলেন মুস্তাক আহমদ।
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্হা'র পক্ষ থেকে আইডি কার্ড প্রদান-
আজ ২৬ জুন মঙ্গলবার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্হা'র সিলেট বিভাগীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জনাব মোস্তাক আহমদ কে সংস্হার পক্ষ থেকে আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে।
এতে উপস্হিত ছিলেন সংস্হার সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব ডা: মোঃ এ.ইউ.সেলিম, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্ট অব বাংলাদেশের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক জনাব মোঃ দিলওয়ার হোসেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্হা সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাংগটনিক সম্পাদক জনাব মোঃ ময়নুল ইসলাম মুন্না, প্রমুখ।
সোমবার, ২৫ জুন, ২০১৮
ধর্ষণ দায়ী; নারি পোশাক না পুরুষ!
ধর্ষণ: দায়ী নারীর পোশাক না পুরুষ!!
যারা মনে করছেন ধর্ষণের জন্য
মেয়েদের পোশাক দায়ী নয়, তারা
সম্ভবত এই প্রবাদটা ভুলে গেছেন যে
পেটে খেলে পিঠে সয়। হ্যা, আমি
বিশ্বাস করি ধর্ষকের লোলুপ দৃষ্টিতে
একশ হাত পর্দার ভিতরে ও নারী
নিরাপদ নয়। আবার এ ও বিশ্বাস করি
কোন পুরুষই জন্মগত ভাবে ধর্ষক নয়।
তাইলে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যাটা
চিন্তায়। নারী পুরুষ দুই পক্ষেরই। পুরুষ
চায় নারী দশহাত পর্দা করে থাকবে
আর নারী চায় সে তার সৌন্দর্য
প্রদর্শন করে চলবে আর পুরুষ তাদের
মায়ের বা বোনের জাতি ভেবে
শ্রদ্ধায় চোখ নামিয়ে নেবে। আমার
কাছে মনে হয় দু’দলেরই চাওয়ার
পরিধিটা একটু বেশি। তেতুল তত্ত্ব
যেমন মেয়েদের প্রতি একপেশে
আবার এর সমালোচনাও পরুষদের প্রতি
একপেশে। তাইলে সমাধান কি?
সমাধান হচ্ছে সৃষ্টিতত্ত্ব।
সৃষ্টিতত্ত্ব মানে? সৃষ্টিতত্ত্ব মানে
হচ্ছে নারী ও পুরুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য।
ধর্মমত নির্বিশেষে এটা সবাই
স্বীকার করবে যে নারী পুরুষ একে
অপরের প্রতিযোগী নয় বরং
সহযোগী। কিন্তু কিছু মহল সচেতন ও
অবচেতন মনে ব্যাক্তি স্বার্থ
উদ্ধারে এই সম্পর্কটা উল্টে দিচ্ছে।
ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। ক্ষেত্র
বিশেষ পুরুষ নারীকে দাবিয়ে
রাখতে চাচ্ছে আবার ক্ষেত্র বিশেষ
নারী পুরুষকে দাবিয়ে রাখতে
চাচ্ছে। প্রতিযোগিতা রূপ নিচ্ছে
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আর তা নষ্ট করছে
পরস্পরের শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতা।
যার একটা চরম পর্যায় হচ্ছে ধর্ষণ।
অথচ যদি সৃষ্টিতত্ত্ব অনুযায়ী একে
অপরের সহযোগী হত তো নারী
ভাবতো আমি এমন কিছু করব না
যাতে পুরুষের ডিসটার্ভ হয় আর পুরুষ ও
একই কথা ভাবত আর বলছি না তাতে
বন্ধ হয়ে যেত তবে এখনকার চেয়ে
অনেক কমে যেত ধর্ষণ।
শুরুতে বলেছিলাম পেটে খেলে পিঠে
সয়। ধর্ষণের ক্ষেত্রে মূলত তাই হয়।
কিন্তু কিভাবে? নারী পুরুষের কথা
বাদ দিলাম। ধরুন আপনি দেখতে খুব
সুন্দরী, একটা পাবলিক বাসে করে
কোথাও যাচ্ছেন। হঠাৎ আপনার
পাশে একজন পুরুষ এসে বসল। আর বসেই
তার পকেট থেকে আইফোনটা বের
করলো আর আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ এর
জন্য নিজে নিজেই বলতে থাকলো
“শালার আইফোন চালাইয়া ও আর
মজা পাই না। নাহ আইফোন ৮ আর
চালামুনা টেন কিনমু টেন।” আপনি
নিসন্দেহে তাকে মনে মনে ছোটলোক
বলবেন আর সুযোগ পেলে ইচ্ছেমত
জুতো মারতে চাইবেন। কিন্তু তার
হাতের আইফোন ৮ টা আপনার ঠিকি
হাতে নিয়ে দেখতে ইচ্ছে করবে;
ইচ্ছে করবে এর ফিচারগুলো ঘেটে
দেখতে যদি তাই ইচ্ছে হয় তবে হ্যা
আপু আপনাকেই বলছি। সে যদি
ছোটলোক হয় তো আপনিও তাই?
ভাবছেন এত কঠিন কথা আপনাকে
কেন বলছি? বলছি তার কারন এই
ছোটলোকটা ভালো করেই জানে যে
আইফোন ৮ সবার নাই যেমন আপনি
জানেন যে আপনার মত সুন্দর স্ফীত
বুক সবার নাই তাই আপনি তা প্রদর্শন
করছেন। তো সে যদি ছোটলোক হয় তো
আপনিও একই দোষে দুষ্ট। তবে
সমস্যাটা হচ্ছে নিজের মুখের গন্ধ
যেমন কেউ টের পায় না তেমনি
নিজের সমস্যাটা কেউ দেখতে পায়
না দেখে মানুষেরটা। আপনার যেমন
অবচেতন মনে তাকে জুতা মারতে
আবার তার আইফোনটা ছুয়ে দেখতে
ইচ্ছে করছে সে ও অবচেতন মনে
আপনাকে মক্ষীরানি ভাবছে তবে
আপনার সৌন্দর্য ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে
করছে কিন্তু সচেতন মনের বাধায়
আপনিও সে কিছুই করতে পারছেন না।
ফ্রয়েডের মতে মানুষের মনটা
ভাসমান বরফের পাহাড়ের মতই যার
এক তৃতীয়াংশ শুধু দেখা যায় আর যা
দেখা যায় তাই সচেতন সত্তা আর
ডুবন্ত অংশটা অবচেতন সত্তা।
এখানে সচেতন সত্তাটা হচ্ছে দুজন
পাশাপাশি সিটে যার যার মতমত
বসে আছে যাদের একজন হাতে
আইফোন নিয়ে বিরবির করছে আর
একজন গলায় ওড়না জড়িয়ে বুক দুটো
বের করে বসে আছে। আর অবচেতন
সত্তা হচ্ছে মেয়েটা ছেলেটাকে
ছোটলোক বলে জুতা পেটা করে তার
হাতের আইফোনটা টেনে নিয়ে ঘেটে
দেখছে আর ছেলেটা মেয়েটাকে
মক্ষীরানি ভেবে তার সৌন্দর্য
স্পর্শ করছে। ফ্রয়েডের মতে মানুষের
অবচেতন সত্তাই মানুষের মূল্যবোধ
গঠন করে। যদি তাই হয় তো বুঝতেই
পারছেন কিভাবে ধর্ষণের মূল্যবোধ
গঠিত হচ্ছে; কিভাবে মা বোনের
জাতিকে পুরুষ মক্ষীরানির জাতি
ভাবতে শিখছে; কিভাবে একজন
প্রেমিক পুরুষের মধ্যে একজন ধর্ষক
পুরুষ বেড়ে উঠছে আস্তে আস্তে যে
কিনা অনুকূল পরিবেশ পেলেই
হায়ণার মত ঝাপিয়ে পড়েছে
নারীদের উপর। বাছ-বিচার করছে না
যে এ মেয়ে পর্দানশীন না বেপর্দা।
ঐ যে বলেছিলাম পেটে খেলে পিঠে
সয়। আর অন্যদিকে পর্দানশীন কোন
মেয়ে ধর্ষিত হলে তথাকথিত
প্রগতিবাদীরা বলছে হিজাব কখনো
ধর্ষণ ঠেকাতে পারে না, ধর্ষণ
ঠেকাতে ধর্ষকের দৃষ্টিভঙ্গী
পাল্টাতে হবে। আবার আপত্তিকর
পোশাক পড়া কোন মেয়ে ধর্ষিত হলে
রক্ষণশীলরা হিজাবের পক্ষে সাফাই
গাইতে থাকে।
তাই ধর্ষণ ঠেকাতে হলে পুরুষের
মধ্যে অবচেতন মনে বেড়ে উঠা
ধর্ষকটাকে বিনাশ করতে হবে। আর
এটা করা যাবে নারীকে
সম্মানিতভাবে তার সামনে
উপস্থাপন করে যাতে পুরুষেরা
তাদের পণ্য মনে করে ব্যবহার না
করে মানুষ মনে করে সম্মান করে।
আর সেটা সম্ভব হবে মার্জিত
পোশাকে সজ্জিত নারীর জ্ঞান
চর্চার মাধ্যমে; অমার্জিত পোশকে
সজ্জিত সৌন্দর্য্যের প্রতিযোগিতার
মাধ্যমে নয়।
শুক্রবার, ২২ জুন, ২০১৮
কেন ফুটবলে আর্জেন্টিনা সমর্থক হলাম!
আমি কেন ফুটবলে আর্জেন্টিনার
সমর্থক হলাম!
২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২
গতরাতে মেসি খেলতে নেমেই কেমন
মনমরা ছিলেন৷ জাতীয় সঙ্গীত
চলাকালেও হাত রেখেছিলেন মুখে৷
এরপর পুরো ম্যাচে তাকে আর খুঁজে
পাওয়া যায়নি। আইসল্যান্ডের
বিরুদ্ধেও সপ্রতিভ ছিলেন৷ গতরাতে
কি হয়েছিল! এবার বিভিন্ন কারণেই
আর্জেন্টিনা ফুটবল টিম মিডিয়ার
ফোকাসে। যে ঘটনাটি সবচেয়ে
বেশি আলোড়ন তৈরী করেছে, তা
হলো- ইসরাইলের সাথে প্রীতি
ম্যাচ বাতিল।
আর্জেন্টিনাকে এত সহজে ছেড়ে
দেবে ইসরাইল তা ভাবার কোন কারণ
নেই৷ ইসরাইল কখনোই কাউকে ছাড়ে
নি৷ কাউকে থোড়াই পরোয়া করেছে৷
জাতিসংঘকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে
পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন করে
গেছে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ
করে৷পাখির মতো গুলি করে মানুষ
মারলেও বিশ্ব ছিল নীরব৷ কারণ আর
যাই হোক ইসরাইলের চক্ষুশূল হতে চায়
না কেউ৷এন্টি জায়োনিস্ট তকমা কে
নিতে চায়! পুরো বিশ্ব যেখানে পিঠ
বাঁচানো আর মুখ লুকানোর অভিনয়
করেছিল সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল
একটি চরিত্র৷ইসরাইলের সাথে
প্রীতি ম্যাচ বাতিল করে ইসরাইলের
অহংবোধে চপটোঘাত করেছিলেন৷
ইসরাইল প্রথমে বিশ্বাসই করতে
পারে নি। ম্যাচের টিকেট বিক্রিও
চালিয়ে গিয়েছিল। রাষ্ট্রটি
প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত তারা যা
চেয়েছিল তাই হয়েছে৷ অথচ এক
ফুটবলার তাদের বন্দুকের নল বাঁকিয়ে
দিয়েছে৷ অথচ ফুটবল ম্যাচ দিয়ে
তারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে
চেয়েছিল, কাঁটাতারের ওপাশে মৃত্যু
নয়, এপাশে খেলা দেখুন। নিজেদের
শৌর্যবীর্য প্রকাশ করতে চেয়েছিল।
অনেক বিনিয়োগ করেছিল তারা।
সেখানে বাঁধ সাধা চরিত্রটি আর
কেউ নয়৷ বিশ্ব তাকিয়ে দেখছে।
তার নাম লিওনেল মেসি৷
বিশ্বকাপের কথা বলেছেন। বিশ্বের
অগণিত মানুষের হৃদয়ের কাপ তখনি
জিতে নিয়েছেন মেসি৷ যা তার
আগে কখনোই কোন ফুটবলার করে
দেখাতে পারেনি৷ যদিও ১৯৫৮
সালের সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপে
ইসরাইলের কারণে কোয়ালিফায়িং
রাউন্ড বয়কট করেছিল তুরস্ক,
ইন্দোনেশিয়া, মিশর ও সুদান।
রাজনৈতিক ধর্মীয় কারণে তারা
ইসরাইলের সাথে খেলতে অস্বীকৃতি
জানিয়েছিলো। কিন্তু
আর্জেন্টিনার ম্যাচ বাতিল সম্পূর্ণ
ভিন্ন বাস্তবতায়। অমুসলিম একটি
রাষ্ট্র হয়েও ইহুদী বিরোধী আখ্যা
পাওয়ার ঝুঁকি নেয়া আর্জেন্টিনার
পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। কেন! পেছনের
ইতিহাসটা একটু দেখে আসি।
ভাবছেন ফুটবলের মধ্যে কেন
রাজনীতিকে টেনে নিয়ে আসছি৷
তবে বারবার ফুটবল রাজনীতির
শিকার হয়েছে আর্জেন্টিনা। মাঠে
রেফারিদের পক্ষপাতমূলক আচরণের
শিকার হয়েছিল দেশটির ফুটবল টিম।
এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার
প্রতিবাদের কারণেই বিশ্বের
অগণিত মানুষ আর্জেন্টিনার ফুটবলের
ভক্ত। একদিকে ফুটবলে শিল্পের
ছোঁয়া অন্যদিকে রাজনীতির কূটচালে
দেশটির ফুটবল সমর্থকের সংখ্যাও
বেড়েছে৷
আর্জেন্টিনা ১৯৩৮ সালের ফ্রান্স
বিশ্বকাপ, ১৯৫০ সালে ব্রাজিল
বিশ্বকাপ এবং ১৯৫৪ সালের
সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপ বয়কট করে।
পেছনে ছিল প্রতিবাদ। আর্জেন্টিনা
বিশ্বমঞ্চে তখনো নবীন। ১৯৩০
সালের উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত তৎকালীন
জুলে রিমে কাপে অংশ নিয়ে
দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে।
পরবর্তীতে ১৯৩৪ সালে ইটালি
বিশ্বকাপে আবারো যোগ্যতা অর্জন
করে। ওই বিশ্বকাপকে নিজের শক্তি
প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে নেন
ইটালির স্বৈরশাসক মুসোলিনী।
রেফারিকে চাপ দিয়ে নিজেদের
পক্ষে ফেভার নিয়ে কোয়ার্টার
ফাইনালে উঠে যায় ইটালি।
কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়
স্পেনের। কিন্তু রেফারি যতই
ফেভার করুক স্পেনকে হারানো সম্ভব
হয়না। পরে ফাউল করা শুরু করে
ইটালি। আহত হয়ে মাঠও ছাড়ে
কয়েকজন। ১-১ গোলে ড্র হয় খেলাটি।
তখনকার নিয়মে খেলা ড্র হলে পরের
দিন আবার ম্যাচ হতো। পরের দিনের
ম্যাচে ইটালির চাপে সাতজন
খেলোয়ারকে বাদ দিয়েই মাঠে
নামে স্পেন। ইটালির দাবি, এরা
ফাউল খেলে। এদের মাঠে নামানো
যাবেনা। মাঠে মুসোলিনি উপস্থিত
ছিলেন। ইটালির প্লেয়ার ফাউল করে
আর রেফারি বাঁশী দেন স্পেনের
বিরুদ্ধে। স্পেন দুইটা গোল দেয়।
রেফারি দুইটাই বাতিল করেন। একটা
ভুয়া অফসাইট। আরেকটা নাকি
বিপক্ষ প্রস্তুত ছিলোনা ফ্রি
কিকের সময়। রেফারি ইটালির। নাম
ছিল রিনাল্ডো বারলাচ্ছিনা।
যেভাবেই হোক কাপ করায়ত্ত্ব করে
ইটালি। বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুতেই
ফ্যাসিস্ট কার্যকলাপের অংশ হয়ে
যায়। পুরো বিশ্ব মুসোলিনীর
সমালোচনা করতে সাহস পায়নি।
একটি দেশ এর বিরুদ্ধে কথা বলে।
দেশটির নাম আর্জেন্টিনা।
কিভাবে!
আর্জেন্টিনা যুক্তি দেয়- যেহেতু
দুটি মহাদেশ ইউরোপ আর ল্যাটিন
আমেরিকা ফুটবল খেলছে, সেহেতু
একটি বিশ্বকাপ ইউরোপ হলে পরবর্তী
বিশ্বকাপ ল্যাটিন আমেরিকায় হতে
হবে। কারণ ইউরোপে তখন যুদ্ধের
সাজ সাজ অবস্থা। যে দেশেই খেলা
হোক তারা ফুটবলকে শক্তি
প্রদর্শনের উৎস হিসেবে ব্যবহার
করবে। আর্জেন্টিনা কৌশল করে
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ হিসেবে
নিজেরা বিশ্বকাপের আয়োজক
হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। ল্যাটিন
আমেরিকার দেশগুলো তাতে সায়
দেয়। কিন্তু ইউরোপের হিসাব তখন
ভিন্ন। ফ্যাসিস্ট জার্মানী ও ইটালি
একপক্ষে। সোভিয়েট ইউনিয়ন, ফ্রান্স
অন্যদিকে। একপক্ষ ইটালি বিশ্বকাপ
আয়োজন করেছে। পরেরবারের
আয়োজন হওয়ার হকদার হলো
মিত্রপক্ষ। বহু নাটক করে ফ্রান্স
আয়োজক হয়। এতে বঞ্চিত হয় ল্যাটিন
আমেরিকা। প্রতিবাদ জানিয়ে
আর্জেন্টিনা ১৯৩৮ সালের ফ্যান্স
বিশ্বকাপ বয়কট করে। কিন্তু
বেইমানি করে তাতে যোগ দেয়
ব্রাজিল। ব্রাজিলের সাথে
আর্জেন্টিনার ফুটবল নিয়ে
অন্তর্দ্বন্দ্বের সেই শুরু। ব্রাজিল
বিশ্বকাপে যোগ দিয়ে খুশী করে
ইউরোপীয়ানদের। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়।
অক্ষশক্তির পতন ঘটে। ইউরোপদের
মধ্যে তখন অসংখ্য মানুষের মৃত্যুতে
ইউরোপীয়ান জাতীয়তাবোধের
উন্মেষ ঘটে। পরবর্তী বিশ্বকাপের
আয়োজক হিসেবে ল্যাটিন
আমেরিকা নির্ধারণ করে তারা।
আর্জেন্টিনা এর আয়োজক হওয়ার
দাবীদার আগে থেকেই ছিল। তারাই
হকদার। অথচ ব্রাজিলের আনত মস্তক
ইউরোপীয়ানদের পছন্দ বলে
ব্রাজিলকেই বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৫০
সালের বিশ্বকাপের আয়োজক করা
হয়। আর ব্রাজিলের সাথে ফুটবলের
ঠান্ডা যুদ্ধ উত্তপ্ত হতে শুরু করে।
প্রতিবেশী ব্রাজিল ও
আর্জেন্টিনার এই ফুটবল দ্বন্দ্ব
কাটোনোর জন্য অনেক ফুটবল ম্যাচের
আয়োজন করা হয়েছিল। তা আগুনে
আরো ঘি ঢেলে দেয়। কিভাবে
বলছি।
বর্তমানে যে টুর্নামেন্ট কোপা
আমেরিকা নামে পরিচিত তা ওই
সময় ছিল সাউথ আমেরিকান
চ্যাম্পিয়নশিপ। ১৯৩৭ সালের এই
চ্যাম্পয়নশিপের ফাইনাল খেলা
অনুষ্ঠিত হয় বুয়েন্স আয়ার্সে।
ফাইনাল খেলছে দুটি দল
আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল। খেলা
শুরু হতেই দর্শকদের মধ্যে মারামরি
লেগে যায়। ব্রাজিলের দর্শকদের
অভিযোগ, আর্জেন্টিনার দর্শকরা
তাদের খেলোয়ারদের বানর আর
মশা বলে চিৎকার করছে। আর
বানরের মতো শব্দ করছে। খেলা
থেমে গেলেও পরে শুরু হয়। ৯০
মিনিটের খেলা গোলশূন্য শেষ হয়।
অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টিনা
ব্রাজিলকে দুটি গোল দেয়।
ব্রাজিলের খেলোয়াররা গোল মেনে
নিতে নারাজ। অফসাইড এবং
নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে তারা
রেফারিকে উপেক্ষা করেই মাঠ
ছাড়ে। ব্রাজিল আর্জেন্টিনা আরো
দূরে সরে যায়।
১৯৩৯ সাল। এবার আর্জেন্টিনা
খেলতে যায় ব্রাজিলে। রিও ডি
জেনেরিওতে। রোকা কাপ। দুই ম্যাচ
খেলা। প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা
৫-১ গোলে ব্রাজিলকে পরাজিত
করে। এক সপ্তাহ পরে ২য় ম্যাচে
ব্রাজিল প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে পড়ে।
মুহূর্তেই ব্রাজিল গোল দেয়
আর্জেন্টিনাকে। ১-০ গোলে এগিয়ে
যায় ব্রাজিল। আর্জেন্টিনা জবাবে
দুটি গোল দেয়। ব্রাজিল ২-২ গোলে
সমতা আনে। আগের ম্যাচে ব্রাজিল
যে গোলটি করেছিল তা ছিল
সন্দেহজনক পেনাল্টি থেকে।
ব্রাজিলের খেলোয়ার একটু লাগলেই
ডি বক্সে শুয়ে পড়ে। আর্জেন্টিনা এর
প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু রেফারি
গায়ে মাখেননি। এবারের ম্যাচেও
তাই হলো। ব্রাজিলের একজন
প্লেয়ার ডি বক্সে শুয়ে পড়লেন। আর
রেফারি পেনাল্টি দিলেন। তীব্র
প্রতিদ্বন্দ্বিতার এই ম্যাচে এবার
প্রতিবাদ করলেন আর্জেন্টিনার
খেলোয়াররা। আর্জেন্টিনার
আর্কেডিও লোপেজ রেফারিকে
ধাক্কা দিলেন। রেফারি আঘাত
করলেন। পুলিশ মাঠে নামে।
রেফারিকে উদ্ধার করে।
আর্জেন্টিনার খেলোয়ারদের উপর
বেধড়ক লাঠিচার্জ করে মাঠ থেকে
বের করে দেয়া হয়। আর ব্রাজিল
ফাঁকা গোল পোস্টে পেনাল্টি শট
দিয়ে গোল দেয়। ফুটবলের ইতিহাসে
এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার অবতারণা
করেছিল ব্রাজিল। যাই হোক- এ ঘটনা
ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার মধ্যকার
শত্রুতা আরো বাড়িয়ে দেয়।
১৯৪৫ সালে ব্রাজিল আরেকটি ম্যাচে
আর্জেন্টিনাকে ৬-২ গোলে পরাস্ত
করে। পুরো মাঠে মেরে খেলে
ব্রাজিল। ব্রাজিলের Ademir
Menezes আঘাত করে আর্জেন্টিনার
বাটাগ্লিয়েরোর পা ভেঙ্গে দেয়।
এতে দর্শকদের মধ্যে দাঙ্গা ছড়িয়ে
পড়ে। ১৯৪৬ সালে সাউথ আমেরিকান
চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আবারো
ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়
আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে একক নৈপুন্য
দেখাচ্ছিলেন আর্জেন্টিনার
অধিনায়ক জোসে সালমন। কিন্তু
ব্রাজিলের Jair Rosa Pinto
সরাসরি তার পায়ের নলায় আঘাত
করেন। পা ভেঙ্গে দুভাগ হয়ে যায়।
এঘটনায় ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার
খেলোয়াররা মাঠে আর দর্শকরা
গ্যালারিতে মারামারিতে জড়িয়ে
পড়ে। পুলিশ খেলোয়ারদের ধরে
ড্রেসিং রুমে নিয়ে যায়। গ্যালারি
খালি করে আবারো খেলা শুরু হয়।
কিন্তু আর্জেন্টিনার অধিনায়ক
সালমনের ফুটবল ক্যারিয়াার
সেখানেই শেষ হয়ে যায়। এসব ঘটনা
দুই দেশের মধ্যে এতটা শত্রুতা
তৈরী করে যে, আর্জেন্টিনা ১৯৫০
সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপ বয়কট
করে।
ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন
ফুটবলের সবোর্চ্চ সংস্থা ফিফা’র
সাথে ব্রাজিলের গা মাখামাখি
সম্পর্ক তৈরী করে। অন্যদিকে
আর্জেন্টিনা প্রতিবাদের কারণে
দূরেই সরে থাকে। ১৯৫৪ সালে প্রথম
বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়
সুইজারল্যান্ডে। সেই বিশ্বকাপে
অংশ গ্রহণ করেনি আর্জেন্টিনা।
এরপর আর্জেন্টিনা যেই বিশ্বকাপেই
অংশ নিয়েছে রেফারিদের ভালো
ব্যবহার পায়নি। ব্রাজিল ১৯৫৪
সালেই কোয়ার্টার ফাইনালে
হাঙ্গেরির সাথে মারামারি
করেছে। এমনকি খেলা শেষে
মারামারি ড্রেসিং রুম পর্যন্ত
গড়ায়। হাঙ্গেরির একজন খেলোয়ার
ব্রাজিলের একজন খেলোয়ারের মুখে
বোতল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত
করে দেয়। কিন্তু আর্জেন্টিনা মার
খেয়েই গেছে। কখনোই পাল্টা আঘাত
করেনি। ১৯৭৮ সালে জনদাবী ছিল ১৭
বছরের খেলোয়ার ম্যারাডোনাকে
বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলানোর জন্য।
কিন্তু কোচ রাজী হননি। কারণ
একটাই। আর্জেন্টিনার খেলোয়ারদের
পায়ে মারা হতো। অনেকের
পেশাগত জীবন শেষ হয়ে গিয়েছিল।
কোচ ম্যারাডোনার জীবনকে হুমকীর
মুখে ফেলতে চাননি। কোচের
সিদ্ধান্তই ম্যারাডোনার জীবনকে
এগিয়ে দিয়েছিল। আর আর্জেন্টিনা
পেয়েছে ইতিহাসের আরেক বীর।
ম্যারাডোনা।
ম্যারাডোনার কাছে আসার আগে
আরেকটি বিষয় বলে নিতে হবে।
আর্জেন্টিনার সাথে রাজনৈতিক
শত্রুতা ছিলো বৃটেনের। সেটা
ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে। এই
ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ ইংল্যান্ডের
মাটি থেকে ৮ হাজার ৭৮ মাইল দূরে।
আর আর্জেন্টিনা থেকে মাত্র ৩ শ
মাইল দূরে। অথচ বৃটেন উপনিবেশিক
আমল থেকে তা দখল করে রেখেছে। এ
নিয়ে চূড়ান্ত যুদ্ধ হওয়ার আগে
দুপক্ষে অনেকদিন ঠান্ডা যুদ্ধ ছিলো।
ফলে আর্জেন্টিনা যখনি
ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে, খেলা
ছাপিয়ে ফকল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ হয়ে
উঠতো। কারণ শক্তির বিচারে
দারিদ্রতায় ক্লিষ্ট আর্জেন্টিনা
ইংল্যান্ডের ধারে কাছেও ছিলোনা।
ফলে আর্জেন্টিনা ফুটবলকেই যুদ্ধ
হিসেবে নিতো। কিন্তু রেফারিদের
ভুমিকায় বারবার হারতে হয়েছে
আর্জেন্টিনাকে। সেটা ইংল্যান্ড-
আর্জেন্টিনার মধ্যকার ১৯৫৩ সালের
প্রথম ম্যাচে বা ১৯৬২ সালের চিলি
বিশ্বকাপে। তবে চূড়ান্ত বিবাদ হয়
১৯৬৬ সালে। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের
কোয়ার্টার ফাইনালে দেশ দুটি
মুখোমুখি হয়। এ ম্যাচটাকে
আর্জেন্টিনায় এল রোবো দেল
সিগলো বা ‘শতাব্দীর সেরা চুরি’
নাম দেয়া হয়েছে। কি হয়েছিল
সেদিন! ১৯৫৪ সাল থেকে বিশ্বকাপ
ফুটবল খেলা টেলিভিশনে সম্প্রচার
করা হয়। ফলে বিশ্বের কোটি কোটি
দর্শকরা বিশ্বকাপের খেলা দেখার
সুযোগ পায়। ১৯৬৬ সালের
আর্জেন্টিনা আর ইংল্যান্ডের
মধ্যকার ম্যাচটি দেখছিলো। আয়োজক
দেশ ইংল্যান্ডের প্রতি রেফারির
পক্ষপাতিত্বের চাক্ষুষ সাক্ষী
দর্শকরা। তখনো আর্জেন্টিনার নাম
মানুষ ভালোভাবে জানতোনা। এমন
একটা অবিচার দেখে মানুষ
আর্জেন্টিনার প্রতি দূর্বল হয়ে যায়।
আর্জেন্টিনার অধিনায়ক রাতিন
এন্টিওনিওকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড
দিয়ে বের করে দেয়া হয়। জার্মান
রেফারি অভিযোগ করেছিলো- তার
সাথে রাতিন খারাপ কথা বলছেন।
অথচ জার্মান রেফারি স্পানিশ
জানতেন না। আর রাতিনও জার্মান
জানতেন না। যাই হোক রাতিন মাঠ
ত্যাগে অস্বীকৃতি জানান। রেফারি
পুলিশ ডাকেন। পুলিশ যখন রাতিনকে
মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যায়, শুধু
আর্জেন্টিনার দর্শকরা নয়, পুরো
বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ
আর্জেন্টিনার সাথে একাত্মতা
ঘোষণা করে। যে দলটি কোন
বিশ্বকাপ জিতেনি, অথচ অন্যায়ের
প্রতিবাদ করে বিশ্বমঞ্চের মতো
একটি জায়গায় মাঠ ত্যাগে
অস্বীকার করে তারাই তো প্রকৃত
ফুটবল যোদ্ধা। পরে পরিস্কার
অফসাইড থেকে ইংল্যান্ডে জিওফ
হার্স্ট গোল করেছিলেন।
আর্জেন্টিনার খেলোয়ারদের কথা
কানেই নেননি রেফারি।
আর্জেন্টিনা ওই ম্যাচে হেরে
গেলেও বিশ্বব্যাপী সমর্থক তৈরী
করে। আর আর্জেন্টিনায় তা
রাজনৈতিক রংয়ে রাঙিয়ে দেয়
তার সেনা শাসক। মানুষ
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠে।
সেনা শাসক মনে করেন, ক্ষমতায়
থাকতে এটাইতো বড় সুযোগ। তারা
ফকল্যান্ডের মালিকানা দাবি
করেন। ইংল্যান্ড ধাপে ধাপে
মালিকানা দিতে রাজি হয়। প্রথমে
থাকবে দ্বৈত শাসন। অর্থাৎ
প্রশাসন পরিচালনা করবে ইংল্যান্ড।
আওতাধীন থাকবে আর্জেন্টিনার।
আড়ালে মার্গারেট থ্যাচার অন্য
কৌশল নেন। ভোটের আয়োজন করা হয়
ফকল্যান্ড দ্বীপফুঞ্জে। অধিবাসীরা
ইংল্যান্ডের সাথে থাকার জন্য রায়
দেয়। নিজেদের ভূমি পাওয়ার সুযোগ
শেষ দেখে আর্জেন্টিনা ফকল্যান্ড
আক্রমন করে। অল্প কয়েকজন বৃটিশ
সৈনিককে পরাজিত করে ফকল্যান্ড
দখল করে নেয়। আর্জেন্টিনাবাসী
সবাই রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনে
গিয়ে একাত্মতা ঘোষণা করে।
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা
করে বৃটেন। বৃটেন সেনা পাঠায়। ১৯৮২
সালের ২রা এপ্রিল থেকে ১৪ই জুন
পর্যন্ত চলা যুদ্ধে বৃটেন জয়লাভ করে।
আর্জেন্টিনার ৬৪৯ জন নিহত হন।
পুরো বিশ্বের মানুষের মৌন সমর্থন
আর্জেন্টিনার পক্ষেই ছিল। কারণ
দ্বীপটি তাদের কাছাকাছি। আর
অধিবাসীরাও স্পানিশ ভাষাভাষি।
একটি অন্যায় যুদ্ধে আর্জেন্টিনা
পরাজিত হলেও মানুষের মন জয় করে
নেয় আর্জেন্টিনা।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অস্ত্রের যুদ্ধে
জয়লাভ করতে পারেনি
আর্জেন্টিনা। কিন্তু ফুটবল দিয়ে
ঠিকই জয়লাভ করেছিলো তারা।
ফকল্যান্ড যুদ্ধে ইংল্যান্ডের ২৫৮ জন
নিহত হওয়ার পর যে ক্ষত হয়েছিল তা
জয়ের পর সেরে গিয়েছিলো। কিন্তু
১৯৮৬ সালে নিজেদের মাটিতে
ইংল্যান্ডকে যে আঘাত করেছিলো
ফুটবল টর্নেডো, গত শতাব্দী পার
হয়ে এ শতাব্দীতেও তার জ্বলুনি
একটুও কমেনি।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল।
ইতোমধ্যে সাদাকালো টেলিভিশন
বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছেঁ
গেছে। পুরো বিশ্ব কাঁপছে ফুটবল
জ্বরে। একজন খেলোয়ার ইতোমধ্যেই
সবার দৃষ্টি কেড়েছেন। তার নাম
ম্যারাডোনা। এর আগে মানুষ
ব্রাজিলের একজন খেলোয়ারের নাম
জানতেন। কালো মানিক। পেলে।
কিন্তু শুনেই খালাস। তার খেলা কেউ
দেখেনি। ম্যারাডোনার খেলা মানুষ
দেখছে। কি ড্রিবলিং! কি কৌশল!
একাই শাসন করেন ফুটবল মাঠ।
ফুটবলের রাজাকে মানুষ পেয়ে গেছে
তখন। টিমকে একা টেনে নিয়ে
গেছেন। গোল দিয়েছেন। গোল
করিয়েছেন। বিশ্বের মানুষ শ্বাসরুদ্ধ
হয়ে তার খেলা দেখছে। তিনি দলকে
ফাইনালে নিয়ে গেছেন। প্রতিপক্ষ
ইংল্যান্ড। নিজেদের মাটিতে
শক্তিশালি ইংল্যান্ড। আর
বিপরীতে মানুষের ভালোবাসার
বলে বলিয়ান আর্জেন্টিনা।
ফকল্যান্ড যুদ্ধের ঘা তখনো শুকায়নি।
আর বুকে স্মৃতি হয়ে আছে ১৯৬৬
সালের বিশ্বকাপ।
ফাইনাল খেলার আগে আর্জেন্টিনার
টিম এক হলো। ম্যারাডোনা বললেন,
আমাদের বুকে স্বজন হারানোর
দগদগে ঘা এখনো শুকায়নি। জানি
এরা ফুটবল প্লেয়ার। এদের কোন দোষ
নেই। তবে এরাই আমাদের মাটি দখল
করে রেখেছে। আমাদের অর্থ নেই।
অস্ত্র শস্ত্র নেই। আছে দারিদ্রতা।
আর ফুটবল। দারিদ্রতার কারণেই
ফুটবলে লাথি মারা জাতি আমরা।
এটাই আমাদের প্রতিশোধ নেয়ার
স্থান। খেলা শুরু হলো। ম্যারাডোনা
খেলছেন। ম্যারাডোনার ইচ্ছা, এমন
কিছু করবেন, যাতে ইংল্যান্ড পুড়তে
থাকবে। আজীবন। অবশেষে সবার
চোখ ফাকিঁ দিয়ে গোল করলেন। তাও
আবার হাত দিয়ে। ইংল্যান্ডের গোল
কিপার দেখলেন। দেখলেন কয়েকজন
সতীর্থ। শুধু দেখেননি তিনজন
রেফারি। অগণিত দর্শক।
ম্যারাডোনা তখন দৌড়ে মাঝ
মাঠের দিকে যাচ্ছেন। সতীর্থদের
বলছেন, আমাকে জড়িয়ে ধরে উল্লাস
করো। সতীর্থ একজন বলছেন, হাতে
গোল। এটা উদযাপন না করাই ভালো।
তিনি বললেন, এটা ঈশ্বরের হাত।
সতীর্থ তখন না বুঝেই উল্লাস
করেছিলেন। পরে দেখেছিলেন,
আর্জেন্টিনার প্রান্ত থেকে বল
নিয়ে একাই দশজন প্লেয়ারকে
কাটিয়ে নিয়ে গোল দিলেন। তখন
বুঝেছিলেন, এই ঈশ্বর কোন ঈশ্বর। শুধু
তিনি না। বিশ্বের অগণিত দর্শকরাও
খুজেঁ পেয়েছিল ঈশ্বর। ফুটবলের ঈশ্বর।
ফুটবল বোদ্ধারা আর বলতে পারেন
না, এরকম গোল দেয়ার ক্ষমতা নিয়ে
আর কোন ফুটবলারের জন্ম হবে কিনা!
কারণ এরকম একটা গোল আগেও কখনো
দেখেনি মানুষ। ভবিষ্যতেও দেখা
যাবে কিনা সন্দেহ। আর সাবেক
উপনিবেশ দেশগুলো ম্যারাডোনার
পায়ের লাথিতে খুজেঁ পেয়েছিল
আনন্দ। সাবেক শোষককে হারানোর
আনন্দ। বাংলাদেশের মানুষও এতে
শামিল হয়েছিল।
আমি তখন ছোট। ক্লাস টু বা থ্র্রিতে
পড়ি। বিশ্ব নিয়ে আমার কি! পাশের
গ্রামটাই আমার কাছে বিস্ময়।
সেখানে কোথায় আর্জেন্টিনা।
খেলাটা দেখেছিলাম। আমাদের
বাড়ির সামনে একটা স্কুল আছে।
সেখানে জেনারেটরের মাধ্যমে
ফুটবল খেলা দেখার আয়োজন করেছিল
কয়েকজন। তখন চিনলাম
ম্যারাডোনাকে। মাথায় চুল।
নায়কের মতো দেখতে। পেছনেও
জুলফি। তখন ফুটবল মানে
ম্যারাডোনা। এই ম্যারাডোনাকে
১৯৯০ সালেও ফাইনালে দেখেছি।
জার্মানি কিভাবে তাকে আঘাতের
পর আঘাত করে কাপটা ছিনিয়ে
নিয়েছে।
আর্জেন্টিনা এরপর কাপ পায়নি
সত্যি। কিন্তু যতবারই তারা
পক্ষপাতিত্বের অন্যায় শিকার
হয়েছে, তাদের সমর্থক বেড়েছে।
হেরে গেলে এদের সমর্থন কমেনা।
বরং বাড়ে। তাদের কর্মকান্ডে।
রাজনৈতিক ফুটবলে গোল দেখা
যায়না। অনুভব করা যায়।
আর্জেন্টিনার সমর্থকরা সেই আনন্দে
টের পান নিয়মিত।
আমি ভাবছি অন্য বিষয়। এবার কি
মোসাদ বসে থাকবে। যাদের এমন
ক্ষমতা। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষের
ম্যাচে এমন কিছু হয়নি তো।
কাজী সায়েমুজ্জামান
ঢাকা, ২২ জুন ২০১৮
সূরায়ে ফাতিহা!
সূরা আল ফাতিহার বাংলা ও ইংরেজি অর্থ ইসলাম ডেস্ক: সূরা ফাতিহা (মক্কায় অবতীর্ণ), এর আয়াত সংখ্যা 7 ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤـَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢ...

-
রাষ্ট্রদ্রোহী ও ধর্মদ্রোহী ফরহাদ মজহার জুলাই ১৮, ২০১৭ 41 সম্পাদনা: মিয়া মোহাম্মদ হেলাল ফরহাদ মজহার ১৯৭২ সাথে কবি হুমায়ুন কবীর হত্যাকা...
-
রাকিব হাসান: রমজান শেষ। চলছে শাওয়াল মাস। কওমি মাদরাসার ছাত্রদের জন্য শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষা বর্ষ। মাদরাসার নিয়মানুসারে প্রতিবছর শাওয়াল ম...
-
ঈদ বার্তা: পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রিয় বালাগঞ্জ ওসমানীনগর ও সিলেটবাসী, প্রবাসীসহ আওয়ামী পরিবারের নেতা কর্মীদের জানাই ঈদের শুভেচ্ছা...