সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানকে বাংলাদেশে আমন্ত্র জানিয়েছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

গুম তদন্তে জাতিসংঘ
মানবাধিকার প্রধানকে
বাংলাদেশে আমন্ত্রণ
জানান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে
নিউইয়র্ক টাইমস

ණ☛ বাংলাদেশে অব্যাহত গুম ও
বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা নিয়ে
The Opposition Disappears in
Bangladesh শিরোনামে
সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক
টাইমস। শুক্রবার প্রকাশিত ওই
সম্পাদকীয়তে ঢাকা ভিত্তিক
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের
বরাত দিয়ে বলা হয়, ৩২০ জনেরও
বেশি মানুষকে বেআইনিভাবে আটক
করা হয়েছে বা তারা নিখোঁজ
হয়েছে ৮ বছর আগে আওয়ামী লীগ
সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে।
ණ☛ ঢাকাভিত্তিক মানবাধিকার
সংগঠন অধিকার এমনটাই
জানিয়েছে। বাংলাদেশের
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা
ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার
সাদা পোশাকের সদস্যরা এসব
ব্যক্তিদের বাড়ি থেকে বা রাস্তা
থেকে উঠিয়ে নিয়েছে।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্রমেই
রাজনৈতিক বিরোধী সদস্যদের
সংখ্যা বাড়ছে। এ ছাড়া, রয়েছে
সন্দেহভাজন অপরাধী ও ইসলামিস্ট
মিলিট্যান্টস।
ණ☛ অধিকারের তথ্যমতে গত বছর
নিখোঁজ হওয়া ৯০ জনের মধ্যে ২১ জন
নিহত হয়েছে। আর ৯ জন এখনো
নিখোঁজ। এদের মধ্যে একজন হলেন
বিরোধী জামায়াতে ইসলামি’র
আইনজীবী মির আহমাদ বিন
কাশেম। আগস্ট মাসে কাশেমের
বাড়ি থেকে তার স্ত্রী, বোন আর
দুই মেয়ের সামনে থেকে যারা
তাকে তুলে নিয়ে যায়, তারা
নিজেদের পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি
জানায়। এরপর থেকে মি. কাশেমকে
আর দেখা যায়নি।
এমন চর্চায় উদ্বিগ্ন হয়ে জাতিসংঘ
ফেব্রুয়ারি মাসে ‘দেশে বাড়তে
থাকা বলপূর্বক গুমের ঘটনা বন্ধ করতে
বাংলাদেশকে অবিলম্বে পদক্ষেপ
নেয়ার’ আহ্বান জানায়। কিন্তু, যে
গতিতে গুমের ঘটনা ঘটছে তা ক্রমেই
বাড়ছে বলেই মনে হচ্ছে। হাসিনা
সরকার এ সবের জবাব দিয়েছে
অভিযোগকারীদের নিন্দা করে।
এতে করে আন্তর্জাতিক ও
বাংলাদেশি আইনের তামাশা করা
হয়েছে যখন কিনা সন্ত্রাসের
বিরুদ্ধে দেশের লড়াইয়ে
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর
আস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ණ☛ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ মাসে
যখন গুম নিয়ে বিস্তারিত নথিবদ্ধ
একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে, তখন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
অবজ্ঞাভরে তার জবাব দেন। তিনি
বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি আমাদের
বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা
চালাচ্ছে।’ মি. খান বলেন, ‘কাকে
আপনি গুম বলবেন?’ ভুক্তভোগীদের
ভাগ্যে কি জুটেছে তার কোনো
উত্তর বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছ
থেকে পান না প্রিয়জনরা।
আদালতও কোনো পদক্ষেপ নেয় না।
ভুক্তভোগীদের এসব প্রিয়জনদের
তীব্র মানসিক যন্ত্রণার প্রতি
অসম্মান জানিয়ে তিনি বলেন,
‘অনেক ব্যবসায়ী ঋণ পরিশোধ করতে
না পেরে আত্মোগোপনে গেছেন।
অনেকে পরকীয় সম্পর্কে জড়িয়ে
লুকিয়ে আছেন।’
সম্পাদকীয়তে বলা হয়,
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিউম্যান রাইটস
ওয়াচের প্রতিবেদন তাচ্ছিল্যের
সঙ্গে উড়িয়ে দেন। একই সঙ্গে তিনি
এই মিথ্যা দাবি করেন যে
জাতিসংঘ একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ
করেনি।
ණ☛ সম্পাদকীয়তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রতি চ্যালেঞ্জ করে বলা হয়, যদি
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল
জাতিসংঘের প্রতি শ্রদ্ধা রাখেন
তাহলে তার সরকারের উচিৎ
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক
প্রধান জাইদ রাদ আল হোসাইনকে
দিয়ে বিষয়টি স্বাধীনভাবে
তদন্তের আমন্ত্রণ জানানো।
তাহলেই কেবল সরকার সততার সঙ্গে
বাংলাদেশের মানুষ, বিশ্ব মতামত
এবং সত্যের মুখোমুখি হতে পারবে।
©NEWS OGRAN24

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সূরায়ে ফাতিহা!

সূরা আল ফাতিহার বাংলা ও ইংরেজি অর্থ ইসলাম ডেস্ক: সূরা ফাতিহা (মক্কায় অবতীর্ণ), এর আয়াত সংখ্যা 7 ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤـَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢ...