সংবাদ >> রাজনীতি
ছাত্রদলের সেই নেতারা কে কোথায়?
নানা প্রেক্ষাপটে সংগঠনটির সভাপতি ও আহ্বায়কের পদে এসেছেন ১৭ জন। সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম আহ্বায়কের পদে আসীন হয়েছেন ১০ জন। ৫০২ সদস্য বিশিষ্ট বিএনপির বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দলটির স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক অনেক নেতা। এছাড়া অনেক সাবেক ছাত্রনেতা বিএনপির অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যেমন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দল, কৃষক দলের নেতৃত্বে রয়েছেন।
১৯৭৯ সালে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক ছিলেন কাজী আসাদুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রনেতা বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। ১৯৮৫ ও ১৯৮৬ সালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন শামছুজ্জামান দুদু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্ররাজনীতি শুরু করার এই নেতা বর্তমানে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান।
১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন ড. আসাদুজ্জামান রিপন। মুন্সীগঞ্জের এই ছাত্রনেতা বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। বেশ কিছু সময় দল থেকে দূরে থাকায় তিনি পিছিয়ে পড়েছেন। তিনি ইংরেজি ম্যাগাজিন দ্য ডিপ্লোম্যাট অ্যান্ড গ্লোবাল-এর সম্পাদক।
১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পদে ছিলেন আমান উল্লাহ আমান। এর আগে ৮৭ থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। ৯০ সালে তিনি ছিলেন ডাকসুর ভিপি। অষ্টম সংসদ নির্বাচনে এমপি হয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, পরবর্তীতে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।
১৯৯২ সালের ১৬ই মে প্রথমবারের মতো নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি পদে জয়ী হন রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। কিন্তু আন্তঃকোন্দলের ফলে মাত্র ৪ মাস টিকে ছিল রিজভীর কমিটি। ৪ মাস পরেই তিনি কেন্দ্রীয় সভাপতির পদ থেকে চলে যান। এককালের মাঠকাঁপানো এই ছাত্রনেতা ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ-রাকসুর ভিপি। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি সরকারের সময়ে তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও দপ্তরের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত।
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে ছিলেন ফজলুল হক মিলন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। বর্তমানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। মিলনের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নাজিম উদ্দিন আলম। বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা।
১৯৯৬-এর শেষের দিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদে আসেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সভাপতির পদে ছিলেন তিনি। ৭ম, ৮ম, ৯ম জাতীয় সংসদে লক্ষীপুর-৩ আসন থেকে পরপর তিনবার এমপি নির্বাচিত হন তিনি। বর্তমানে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক। এ্যানীর কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন হাবীব-উন-নবী সোহেল। এরপর সোহেল ২০০০ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে একাই দুইটি পদের অধিকারী তিনি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব। ২০০২ সালের শেষের দিকে মাত্র ৪ মাসের জন্য ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন এবিএম মোশারফ হোসেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক।
২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শফিউল বারী বাবু। নবম সংসদ নির্বাচনে নিজ জন্মস্থান লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে মনোনয়ন চেয়ে পাননি। শফিউল বারী বাবু বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতির পদ ছিলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। বর্তমানে তিনি যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক। তার পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইল থেকে নির্বাচন করতে চান। টুকুর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আমিরুল ইসলাম খান আলীম। বর্তমানে তিনি বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক।
রাজনীতির বাইরে যারা
ছাত্রদলের প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতি এনামুল করিম শহিদ। ১৯৭৯ সালের শেষের দিকে এই পদ পান তিনি। বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। এককালের তুখোড় এই ছাত্রনেতা বর্তমানে টাঙ্গাইলের একটি কলেজে শিক্ষকতা পেশায় রয়েছেন। এনামুল করিম শহিদের পরে ছাত্রদলের আহ্বায়কের পদে আসেন গোলাম সরোয়ার মিলন। এরশাদ সরকারের সময় দল ছেড়ে চলে যান জাতীয় পার্টিতে। এর কিছু দিন পরেই রাজনীতি থেকে সরে যান তিনি। ১/১১-এর সময় আবারও রাজনীতিতে জড়িত হন ফেরদৌস কোরেশীর দল পিডিপিতে। গোলাম সরোয়ার মিলনের মতোই অবস্থা এককালের তুখোড় ছাত্রনেতা আবুল কাশেম চৌধুরীর।
১৯৮৩ থেকে ৮৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এরশাদ সরকারের সময় বিএনপি ছেড়ে চলে যান এরশাদের সঙ্গে। এর কিছুদিন পরেই রাজনীতি থেকে সরে যান তিনি। ১/১১-এর সময় তিনি পিডিপিতে যোগ দিলেও বর্তমানে কোনো দলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তার। ১৯৮৬ ও ৮৭ সালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন জালাল আহমেদ। পরে রাজনীতি ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আমানউল্লাহ আমানের আহ্বায়ক পদে থাকাকালীন যুগ্ম-আহ্বায়কের পদে ছিলেন সানাউল হক নীরু। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে একাধিকবার দুর্ব্যবহার করে বর্তমানে দলচ্যুত। ২০০৩ ও ০৪ সালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলে সাহাবুদ্দিন লাল্টু। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে অভিমানে দল ছেড়েছেন তিনি। বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন তিনি।
মারা গেছেন ৩ জন: ১৯৭৯ সালে ছাত্রদলের প্রথম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন আকম গোলাম হোসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নেতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন দীর্ঘদিন। বিএনপির একজন বুদ্ধিজীবী হিসেবে তার ছিল খ্যাতি। বেশ কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। ছাত্রদলের শ্রেষ্ঠ সংগঠক বলে পরিচিত মাহবুবুল হক বাবলু। ১৯৮৬ সালের শেষের দিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হয়ে ১৯৮৭ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিলেন। এরশাদ সরকারের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলে বোমা হামলায় নিহত হন তিনি। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নাসিরুদ্দিন আহমেদ পিন্টু। এরপর ২০০০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি। পিলখানায় বিডিআর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে গত বছরের ৩রা মে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যান। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন তিনি।
আলোচনায় যারা
২০১২ সালের ১৭ই এপ্রিল রাতে নিজ বাসায় ফেরার পথে রাজধানী ঢাকার মহাখালী থেকে নিখোঁজ হন তিনি। তখন থেকেই কোনো হদিস মেলেনি তার। ইলিয়াস আলী ছিলেন একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা। ১৯৯২ সালের শেষের দিকে তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক থাকাকালেই গুম হয়েছিলেন এম ইলিয়াস আলী। কিন্তু পরবর্তী জাতীয় সম্মেলনে ইলিয়াস আলীর নাম আর কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হয়নি। এ নিয়ে সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। কিন্তু নতুন গঠিত সিলেট জেলা কমিটিতে দুই নম্বর সদস্য রাখা হয়েছে ইলিয়াস আলীকে। তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনাসহ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা।
২০০৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সভাপতির পদ পান। ২০০৯ সালে ছাত্রদল থেকে বিদায় নেয়ার পর তিনি নবম জাতীয় সংসদে তার নিজ জন্মস্থান খুলনা থেকে নির্বাচন করবেন বলে ব্যাপক কাজ করেন। সেখান থেকে মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচন করেন ঢাকা-১৮ আসনে। তবে নির্বাচনে হেরে যান তিনি। আজিজুল বারী হেলাল বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক।
২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল। তিনি বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক। তার সভাপতি থাকাকালীন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন হাবিবুর রশিদ হাবিব। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
২০১৫ সাল থেকে বর্তমান সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন রাজীব আহসান। আর সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন আকরামুল হাসান। দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ছাত্রদলের ভূমিকা কি জানতে চাইলে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমি মনে করি ছাত্রদল সব সময়ই গণতন্ত্রের পক্ষে, নাগরিক স্বাধীনতার পক্ষে সংগ্রাম করেছে। বাক স্বাধীনতার পক্ষে গঠনমূলক রাজনীতি করেছে। ছাত্রদলের বেশীরভাগ নেতা ক্রমাগত রাজনীতি করে জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছে এবং আমি বলবো যারা আমরা ছাত্রদলের নেতৃত্বে ছিলাম তারা এখন দলে ভালো অবস্থানেই আছি।
তিনি বলেন, ছাত্রদলের ব্যাকগ্রাউন্ড যাদের তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এটাই স্বাভাবিক। তরুণরা যখন আসে তখন একটা সংগঠনের প্রাণ সঞ্চার হবে রক্ত সঞ্চার হবে, প্রাণ শক্তিশালী হবে এটাই স্বাভাবিক।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন একসময় বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি বলেন, যেকোনো দলের অনুসারী ছাত্র সংগঠনই সেই দলের নেতা রিক্রুটিংয়ের সেন্টার হিসেবে পরিগণিত হয়। সে দায়িত্ব ছাত্রদল ভালোভাবেই পালন করছে। আজকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা কমিটি আছে এগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় যে সাবেক ছাত্রদল নেতাদের বিরাট অংশ বিভিন্ন নেতৃত্বে রয়েছে। কেন্দ্রীয় বা জেলা যেখানেই বলুন সেখানেই যারা নেতৃত্বে আছেন তাদের মধ্যে বিশাল অংশ ছাত্রদলের প্রোডাক্ট। সে ক্ষেত্রে ছাত্রদল অত্যন্ত সফলতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের দলের প্রত্যেকটা যুগ্ম মহাসচিব ছাত্রদলের প্রোডাক্ট। অনেক ভাইস চেয়ারম্যানও ছাত্রদলের প্রোডাক্ট। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদও ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দিকেই তাকালে দেখা যায় ছাত্রদলের নেতারা বড় রোল প্লে করছে, বলা যায় ছাত্রদলের নেতারা এখন বিএনপির কাণ্ডারি হিসেবে রয়েছেন।
বিএনপিতে ছাত্রদলের ভূমিকা সম্পর্কে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দল, কৃষক দল বা কোনো কোনো সংগঠনের পুরোটাই এখন ছাত্রদলের সাবেক নেতারা আছেন। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটি থে
উৎসঃ purboposhchimbd
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন