রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮

সিলেট সদর হাসপাতালের স্টাফ নার্স শিউলী সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্তঃনেই

সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেট
সদর শহীদ শামসুদ্দীন
হাসপাতালের স্টাফনার্স
শিউলী সুলতানা। পদ ও পেশায়
সেবিকা হলেও পরিচয় দেন
গাইনী চিকিৎসকের। এ পরিচয়ে
করে থাকেন প্রইভেট প্রাক্টিসও।
দীর্ঘদিন ধরে সিলেট সদর
হাসপাতালে কর্মরত স্টাফনার্স
শিউলী সুলতানা ওই
হাসপাতালের অপারেশন
থিয়েটারের সেবিকা সহযোগী ।
নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে
গোযাইনঘাট উপজেলার সালুটিকর
বাজারে ফার্মেসী নামে খোলে
বসেছেন চিকিৎসা কেন্দ্র।
মহিলাদের এমআর,ডিএনসি থেকে
অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর মত কাজ
করে থাকেন সেখানে। এমনকি কল
নিয়ে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-
মহল্লায়ও। একজন জুনিয়র
কন্সালট্যান্টের সহযোগিতায় পদ
পেশা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে
থাকেন।
হাসপাতালে শিউলী সুলতানার
এতই প্রভাব যে, তার কোন অবৈধ
ও অবৈধ ও বেআইনী কর্মকান্ডের
ব্যাপারে কেউ মূখ খোলতে সাহস
পান না। এ যেন তিনি
হাসপাতালে এক মূর্তিমান
আতংক।
অভিযোগে প্রকাশ, ওই
হাসপাতালে অপারেশন পূর্ব
জরুরী ঔষধ পথ্যাদির স্লিপ
দেওয়া হয়। ঔষধ নিয়ে আসার পর
শিউলী সুলতানা তা’ লুকিয়ে
আবারোও ঔষধ কিনিয়ে আনেন।
পরে লুকিয়ে রাখা ঔষধগুলো
ফার্মেসীতে বিক্রি করে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার একজন
সহকর্মী এমন তথ্য দিয়েছেন।
স্টাফনার্স শিউলী সুলতানার
এতই প্রভাব যে হাসপাতারে
নার্সিং সুপার বা ভারপ্রাপ্ত
সেবা তত্বাবধায়ক  কাউকে কোন
বিষয়ে পাত্তাই দেন না ।
যথেচ্ছভাবে ডিউটিপালন সহ
অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে থাকেন
তিনি। অভিযোগে আরো প্রকাশ,
স্টাফনার্স শিউলীর সাথে
সম্পর্ক রয়েছে একটি ঔষধ চোর
সিনিডিকেটের। এ
সিনিডিকেটের মাধ্যমে
হাসপাতালের ওষধ বাইারে
পাচার করে থাকেন। নৈশকালীন
ডিউটি ফেলে এবং কাউকে না
জানিয়েই তিনি প্রায়সময়
অন্যত্র প্রাইভেট অপারেশনে
কাজে চলে যান। সিলেট সদর
হাসপাতারে স্টাফনার্স শিউলী
সুলতানার একটি দালাল ও
এজেন্টচক্র সক্রিয় থাকে। বাইর
থেকে কোন রোগী আসলে
দালালদের মাধ্যমে বুছিঝয়ে
অন্যত্র নিয়ে ডেলিভারী,
অ্যাভরেশন, ডিএনসি,এমআর
সবকিছুই করান তিনি। এতে করে
জ্ঞাত্বায় বহির্ভূত কামাই করে
থাকে কাড়ি কাড়ি টাকা।
বিশেষ করে প্রেম বা
বিবাহবহির্ভুত অন্তঃসত্তা
নারীদের গর্ভডপাতে মোটা
অংকের টাকা গ্রহণ করে থাকেন
বলে অভিযোগে রয়েছে।
শিউলিী সুলতানার এহেন
বলগাহীন চলাফেরা, বেআইনী
কর্মকান্ড ও কতর্ব্যে অবহেলার
কারনে সিলেট সদর শামসুদ্দীন
হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ও
শৃংখলা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়ে
দাঁড়িয়েছে।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে
স্টাফনার্স শিউলী সুলতানা তার
বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ
স্বীকার করতে অপারগতা প্রকাশ
করেন তিনি এবং সিলেট সদর
শামসুদ্দীন হাসপাতালে চাকরি
করেন না বলে জানান তিনি।

রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৮

আগামীর বিশ্বকাপ কাতারে!

কাতারেই হবে আগামী বিশ্বকাপ
ফুটবল

ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল-২০২২ এর
প্রত্যেকটি ম্যাচ কাতারেই অনুষ্ঠিত
হবে বলে জানিয়েছেন কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজক কমিটির
সাধারণ সম্পাদক হাসান আল
থাওয়াদি। শুক্রবার তিনি
গণমাধ্যমকে জানান, মধ্যপ্রাচ্যের
অন্য কোনো দেশে নয়। ২০২২
বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ
কাতার। আটটি ভেন্যুতে ৬৪টি
ম্যাচের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
সৌদি জোটের অবরোধের কারণে
২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের কিছু
ম্যাচ কাতারে অনুষ্ঠিত না হয়ে
মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কোনো দেশে হতে
পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক
বজায় রাখা এবং জঙ্গি
সংগঠনগুলোকে সমর্থন, অর্থায়ন ও
লালন-পালনের অভিযোগে ২০১৭
সালের ৫ জুন কাতারের সঙ্গে
কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ
আরোপ করে সৌদি জোট।
অবরোধ উঠিয়ে নেয়ার জন্য পরে
দফায় দফায় দোহাকে শর্ত পাঠায়
সৌদি জোট। তবে জোটের সেই দাবি
বরাবরই নাকচ করে দিয়ে আসছে
কাতার।

মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৮

কোচিং নিয়ে আবার!

আবার কথা উঠেছে কোচিং
সেন্টার নিয়ে। পরিকল্পনা চলছে
যার প্রায় পুরোটাই বাস্তবতা
বর্জিত। পরীক্ষায় উচ্চ নম্বর
পেতে হবে কিন্তু ক্লাসে সে
নিশ্চয়তা নেই। অভিভাবক
দিশেহারা। এই সুযোগ ডেকে
আনে কোচিং সেন্টারকে। মেধা
প্রতিভা যোগ্যতা যাচাইয়ের
একমাত্র পথ নম্বর হলে যে কোন
মূল্যে তা অর্জনের চেষ্টা
চলবেই। আর আজকের বাজারি
যুগে এরকম একটি বিষয় নিয়ে
বাণিজ্যও হবে। কোচিং বাণিজ্য
উচ্ছেদ করতে হলে সমস্যার মূলে
হাত দিতে হবে।
কোচিং বন্ধের সবচেয়ে কার্যকর
উপায় ক্লাসে মানসম্পন্ন শিক্ষা
দেয়া। সেজন্য প্রয়োজন যোগ্য ও
মেধাবী শিক্ষক। কিন্তু
শিক্ষকদের জন্য যে বেতন স্কেল
নির্ধারণ করা আছে তা
মেধাবীদের এ পেশায় আকৃষ্ট
করে না। যাঁরা আসছেন তাঁরা
বেতনের ওপর নির্ভর করে চলতে
পারেন না। এই বাস্তবতাও
কোচিংয়ের পক্ষে যায়। কিন্তু
যেভাবে এর বিস্তার
অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাড়ছে
তাতে শুধু অভিভাবকরা
বিপর্যস্ত হচ্ছেন না শিক্ষার
ভিতই অন্তসারশূন্য হচ্ছে।
নম্বরভিত্তিক প্রতিযোগিতার
ফলে কোচিং সেন্টার নির্দিষ্ট
ছকে ফেলে শিক্ষার্থীকে
পর্যাপ্ত নম্বর পাওয়ার ব্যবস্থা
করে দিচ্ছে কিন্তু মেধা ও
সৃজনশীলতার পুরো বিষয়ই
উপেক্ষিত থাকছে। তারা শিক্ষক
পাচ্ছে না ভাল ফল করার গাইড
পাচ্ছে। যারা কিছু কৌশল রপ্ত
করাচ্ছেয় যা দিয়ে শিক্ষার্থী
পুরো শিক্ষা জীবনের বৈতরণী
পার হয়ে আসছে। কিন্তু একজন
সঠিক মানুষ হওয়ার কলাকৌশল
সে কতটা রপ্ত করল তা
যাচাইয়ের সুযোগ কমতে কমতে
প্রায় শূন্যে ঠেকেছে। এত বেশি
প্রতিযোগিতা এত বেশি
পরীক্ষা একেবারে জীবনের শুরু
থেকে এর প্রয়োজন কতটা আছে
তাও প্রশ্নহীন নয়। এই যে পাসের
এত ছড়াছড়ি এত জিপিএ ফাইভ
শেষ পর্যন্ত এর গন্তব্য কোথায় কে
জানে। প্রতিযোগিতাকে
একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে
নিয়ে যাওয়ায় বছর বছর একগুচ্ছ
কচি মুখে তথাকথিত সাফল্যের
হাসি দেখছি আমরা এর পেছনেও
রয়েছে কোচিং সেন্টার।
এই সাফল্য শিক্ষামন্ত্রীর
রাজনৈতিক সফলতার পালে
হাওয়া লাগালেও শিশুরা
শিক্ষার কোন গতি মুখের দিকে
যাচ্ছে তা শিশু মনোবিদরাই
ভাল বলতে পারবেন। এদের
জীবনই শুরুহচ্ছে কোচিং এর
ফাঁদে পা দিয়ে। শিক্ষা
পদ্ধতির এমন বিন্যাসে পরিবর্তন
না এনে কোচিং কি আদৌ বন্ধ
করা সম্ভব?
বছর কয়েক আগে কোচিং
বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার
হয়েছিলেন অভিভাবক এবং
শিক্ষকদের একটি অংশ। সে সময়
আদালতে রিট হয়েছিল।
সরকারী ও বেসরকারী
এমপিওভুক্ত স্কুল শিক্ষকদের
ক্লাসের বাইরে কোচিংয়ের
বিরুদ্ধে হাইকোর্ট রুল জারি
করেছিল। এ বিষয়ে সরকারকে
প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশ কেন
দেয়া হবে না জানতে
চেয়েছিল। চার সপ্তার মধ্যে
সরকারের পক্ষে শিক্ষা সচিবসহ
কয়েকজন সচিব এবং শিক্ষকদের
পক্ষে বাংলাদেশ শিক্ষক
সমিতির সভাপতিও বাংলাদেশ
শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের
চেয়ারম্যান এবং ঢাকার প্রথম
সারির কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষসহ
বিশজনকে রুলের জবাব দিতে
বলা হয়েছিল। অভিভাবক ঐক্য
ফোরামের সভাপতির রিট
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রুল
জারি হয়েছিল। সে সময়
হাইকোর্টের আদেশকে স্বাগত
জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
বলেছিলেন, আমরাও এর পক্ষে।
আমরা চাই দেশ থেকে কোচিং
ব্যবস্থা উঠিয়ে দিতে।
নির্ধারিত সময়ে রুলের জবাব
দিতে অক্ষমতা জানিয়ে
আদালত থেকে সময় নিয়েছিল
শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রুলে যাদের জবাব দিতে বলা
হয়েছে তাদের নিয়ে পাঁচ বৈঠক
করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠক
শেষে জানান সরকার কোচিং
বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের
তালিকা করছে। যে শিক্ষকরা
ক্লাসের বাইরে কোচিং
করাচ্ছেন তাঁদের তালিকা করে
কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা হবে।
কোচিং বন্ধে সরকার শুরু থেকেই
কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দ্রুত এ
সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় বলে
দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া শুরু
করেছে। ক্লাসরুমে পূর্ণ শিক্ষা
পেলে শিক্ষার্থীরা কোচিংয়ে
যাবে না। আর ঢাকা শিক্ষা
বোর্ডের চেয়ারম্যান
কোচিংয়ের বিরুদ্ধে সরাসরি
যুদ্ধ ঘোষণা করে সরকারী স্কুল-
কলেজের যে শিক্ষকরা
কোচিংয়ে জড়িত তাদের বদলি
করতে বলেছেন। আর বেসরকারী
বিদ্যালয়ের কোচিংয়ে যুক্ত
শিক্ষকদের নিয়ে কি করা যায়
সে বিষয়ে গঠিত কমিটি
সুপারিশমালা তৈরি করবে সে
অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা
১৯৭৯-এর মতের বিধি অনুযায়ী
কোন সরকারী কর্মচারী
সরকারের অনুমতি ছাড়া অন্য
কোন ব্যবসায় জড়িত হতে
পারবেন না। কোন সরকারী
কর্মচারী এর ব্যত্যয় ঘটালে আচরণ
বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে
অভিযুক্ত হবেন। মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে
বেসরকারী শিক্ষকদের কোচিং
বন্ধে আইন করার প্রস্তাব
করেছে।
শিক্ষকদের যুগোপযোগী বেতন
স্কেল ও সামাজিক মর্যাদা
নিশ্চিতের পাশাপাশি
কোচিংয়ের জন্য অভিভাবকদের
নিরুৎসাহিত করার কথা বলেছে।
কোচিং নির্ভরশীলতা কমিয়ে
ক্লাসেই প্রয়োজনীয় শিক্ষা
নিশ্চিত করতে শিক্ষক
শিক্ষার্থীর অনুপাত কমপক্ষে ১ :
৩০ করাসহ স্কুলে পরীক্ষায় ফল
খারাপ হলে শ্রেণী শিক্ষককে
জবাবদিহির আওতায় আনার
কথাও বলেছে। এসব প্রস্তাবের
পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক
নিয়োগের বিষয়টিও নিশ্চিত
করা অন্যতম জরুরী। একজন ভাল
শিক্ষকের প্রভাব যেমন আজীবন
রয়ে যায় খারাপ শিক্ষকের
নেতিবাচক প্রভাবও তেমনি।
অযোগ্য শিক্ষক যে ক্ষতি করে
তার মাশুল দিতে গোটা জীবনই
চলে যায়।
দেশের প্রখ্যাত এক
কথাসাহিত্যিক একবার
বলেছিলেনÑ ‘এটা আমাদের
শিক্ষাব্যবস্থাতে সম্ভব যে
দেশের একজন নাগরিক প্রাথমিক
শিক্ষায় ঢুকে উচ্চশিক্ষার ভেতর
দিয়ে স্বচ্ছন্দে বেরিয়ে আসতে
পারেন শিক্ষা বস্তুটি দ্বারা
এতটুকু স্পর্শিত না হয়ে। মানুষকে
এমন অপদার্থ ও অকর্মণ্য
বানাবার কারখানা দুনিয়ার আর
কোথাও আছে কিনা আমার
জানা নেই।’ এ কারখানার
গোড়াপত্তন করে গেছে ব্রিটিশ
ঔপনিবেশিক শাসকরা। যার
উত্তরাধিকার আমরা আজও
বইছি। শাসন-শোষণের সুবিধার
জন্য কৃত্রিম আর্থ-সামাজিক
ব্যবস্থা সৃষ্টির পাশাপাশি গড়ে
তুলেছিল কৃত্রিম শিক্ষাব্যবস্থা।
ক্ষমতার ভিত মজবুত করতে এত
আয়োজন করলেও শেষ রক্ষা
হয়নি। ভারত ছাড়তে বাধ্য
হয়েছিল তারা। তবে নানা
ক্ষেত্রে আমাদের এখনও
কলোনিয়াল হ্যাংওভার রয়ে
গেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় আজও
মৌলিক পরিবর্তন আসেনি। বরং
স্বাধীনতার পর নিয়মতান্ত্রিক
সরকারের পথ রোধ হওয়া ও
সামরিক শাসনের আধিপত্য
শিক্ষার গতি মুখকে কেবল নিচের
দিকেই টেনেছে। এ অবস্থা
বদলাতে শক্ত মেরুদ- নিয়ে
দাঁড়াতে হবে গোটা
শিক্ষাব্যবস্থাকে। পরিমাণগত
পরিসংখ্যানের চেয়ে গুণগত
পরিসংখ্যানকে গুরুত্ব দিতে
হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্যও
অনেক। গ্রাম শহরের বৈষম্য,
মাদ্রাসা ইংরেজী মাধ্যম,
বাংলা মাধ্যম, মাদ্রাসা
ক্যাডেট কলেজ ইত্যাদির
পারস্পরিক দ্বন্দ্ব বৈষম্য নিয়ে
চলছে শিক্ষার প্রক্রিয়া। এত
অসঙ্গতি নিয়ে একটি স্বাভাবিক
শিক্ষাব্যবস্থা এগোতে পারে
না। কোচিং বাণিজ্য
ভর্তিবাণিজ্য ইত্যাদি এর
অনিবার্য উপসর্গ।
শিক্ষাব্যবস্থার মূলে গলদ
জিইয়ে রেখে কোচিংবাণিজ্য
দূর করা সম্ভব নয়। কোন না
কোনভাবে তা অস্তিত্ব টিকিয়ে
রাখবেই। পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে
একটি সমন্বিত নীতিমালার
মধ্যে এনে অনিয়মের জটগুলো একে
একে খুলতে হবে। নইলে কোন
সমস্যারই স্থায়ী সমাধান হবে
না।
সৌজন্যে: জনকণ্ঠ

বেলালনগর রিফাত আছিয়া মাদ্রসায় বই বিতরণ।

ওসমানিনগরে রিফাত আছিয়া
ইবতেদ্যায়ি মাদ্রাসার বই বিতরণ!
আতাউর রহমান কাওছার,স্টাফ
রিপোর্টার:
শীতের সকাল। কুয়াশার চাদরে
ঢাকা চারদিক। এর মাঝেই
ওসমানিনগরের, বুরুঙগা ই/পির
কামারগাঁও
বেলালনগরে,বেলালনগর আলহ্বাজ
রিফাত আছিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসা'র
মাঠে একে
অপরের সাথে খুনসুঁটিতে মেতে
উঠেছে খুদে শিক্ষার্থীরা। গায়ে
ইসলামি একাডেমি'র(মাদ্রাসা)
পোশাক। চোখে মুখে আনন্দের
ছাপ। সন্তানের সঙ্গে আসা
অভিভাবকরাও মেতে উঠেছেন
আড্ডায়। একটু পর বই হাতে আসবে।
তাই স্কুল মিলনায়তনে ঢুকে পড়ার
আদেশ দিলেন শিক্ষকরা।
মিলনায়তনে সুশৃঙ্খলভাবে বসে পড়ল
শিক্ষার্থীরা। সাথে
অভিভাবকরাও।
শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মেতে
উঠে বই উৎসবে।
একাডেমিতে সৃষ্টি হয় এক উৎসবমুখর
পরিবেশ।
কেবল ধনি,নয়,গরিব সহ উৎসবের এ রং
ছড়ায়
প্রত্যানতঞ্চল বেলালনগরে প্রায়
অর্ধশত উপরে
শিক্ষার্থী নতুনো বই হাতে উল্লাসে
মেতে উঠে। এসময় নতুন বইয়ের মলাট
উল্টিয়ে বইয়ের ঘ্রাণ নিতে দেখা
যায় উৎফুল্ল শিক্ষার্থীদের।সকাল
থেকে ওসমানিনগরে
ইউনিয়নের কামারগাঁও বেলালনগর এই
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকাল
থেকে দুপুর পর্যন্ত এমন দৃশ্যই বিরাজ
করে।
শিক্ষার্থীদের হৈ চৈ : নতুন বছরে
নতুন ক্লাস। এর সঙ্গে যদি আবার যোগ
হয় নতুন বই, তাহলে তো আর কথাই
নেই। বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে
পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত
শিক্ষার্থীরা। হাতে নতুন বই
ব্যাপারটাই যেন অন্যরকম। দীর্ঘ এক
বছর পরিশ্রম করে ওপরের ক্লাসে
উঠতে পেরে শিক্ষার্থীদের মনে যে
আনন্দ, নতুন বই সেই আনন্দে যোগ করে
নতুন মাত্রা। নতুন বই পেয়ে উৎফুল্ল
বেলালনগর আলহ্বাজ রিফাত আছিয়া
ক্যাডেট ইবতেদায়ি মাদ্রাসার,
২শ্রেণীর শিক্ষার্থী,ফাইজা,মাহি
ন,সুহিন,
,লিমা,মুচ্ছাফা। নতুন বই পেয়ে কেমন
লাগছে
জানতে চাইলে উচ্ছ্বসিত,
ফাহমিদা,তাছলিমা,খাদিজা,
জরিনা,লিমা,অনিবা রা
জানায়, ‘খুব ভালো লাগছে। বইগুলো
খুব সুন্দর। বই পেয়ে অনেক খুশি
লাগছে। বাসায় গিয়ে আজই আমি
নতুন বইয়ের কবিতা মুখস্থ করব।’
বেলালনগর রিফাত আছিয়া ক্যাডেট
মাদ্রাসার,
শিক্ষার্থী, হাসাইন, মুছা, বলে, ‘নতুন
ক্লাসে উঠেছি। আর এখন নতুন বই
হাতে পেলাম। নতুন বই পেয়ে খুব
ভালো লাগছে।’ একাডেমির বাইরে
ছেলের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন মা
ফাতেমা বিনতে জোহুরা। তিনি
বলেন, বছরের শুরুতে ছেলে-মেয়েরা
বই পাচ্ছে। এটা ছেলে-মেয়েদের জন্য
যেমন আনন্দের, আমাদের
অভিভাবকদের জন্য তেমনটাই
স্বস্তির। তখনকার সময়ে তো এমন
সুযোগ-সুবিধা আমরা পাইনি। বাজার
থেকে বই কিনতে হতো। এটা নিয়ে
টেনশনও থাকতো। এখন ছেলে-
মেয়েদের জন্য সেই টেনশনের কারণ
নেই। অভিভাবকরা অনেকটাই চিন্তা
মুক্ত। নতুন বই হাতে সন্তানের আনন্দ
দেখে আমরাও আনন্দিত। এদের
উচ্ছ্বাস দেখে আমাদেরও শৈশবে
ফিরে যেতে ইচ্ছে করছে।’
আলহ্বাজ রিফাত আছিয়া ক্যাডেট
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী
মুনিরাকে সঙ্গে এনেছেন মা
ইয়াসমিন আক্তার। তিনি বলেন,
‘পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এই কয় দিন
মেয়েটি তেমন পড়ালেখা করেনি।
আজ বই পেয়েছে। আজ রাত থেকে
আবারো পড়ালেখা শুরু করতে
পারবে।’ নতুন বই পাওয়ায় মেয়ে
পড়তেও উৎসাহী হবে বলেও মন্তব্য
করেন এই অভিভাবক। অভিভাবকদের

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও আনন্দের
কমতি নেই। শিক্ষার্থীদের হাতে
সময়মতো বই পৌঁছাতে পেরে এক
ধরনের স্বস্তিবোধ করছেন তারা।
নিজেদের অনুভূতির কথা প্রকাশ
করতে গিয়ে অত্র মাদ্রাসার
প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মুদাব্বির
হুসেন(মাসুক মিয়া)
জানান,
নতুন বছরে সবার হাতে নতুন বই
পৌঁছাতে পেরে শিক্ষার্থীদের
পাশাপাশি আমরাও আনন্দিত। নতুন
বই হাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের
উচ্ছ্বাস আমাদেরকেও নাড়া দিয়ে
যায়। এই অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ।
উল্লেখ্য: এই প্রতিষ্টানটি একটি
ইসলামি ও আধুনিক শিক্ষার সম্নয়ে
গটিত, ব্যাতিক্রম র্ধমী প্রতিষ্ঠান।
এসময় অন্যনদের মধ্যে উপস্থিত
ছিলেন,মুজ্জাকির হুসাইন সহকারী
আইনজিবী সিলেট জজ কোর্ট,ও এই
মাদ্রসার পৃষ্টপোষক,শিক্ষাঅনুরাগী,
ক্বারি আব্দুল ওয়াহিদ,শিক্ষানুরাগী
মোছা: হালেমা বেগম,
সহ,শিক্ষক,শিক্ষার্থী

অভিবাক বৃন্দ, প্রমুখ।

সূরায়ে ফাতিহা!

সূরা আল ফাতিহার বাংলা ও ইংরেজি অর্থ ইসলাম ডেস্ক: সূরা ফাতিহা (মক্কায় অবতীর্ণ), এর আয়াত সংখ্যা 7 ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤـَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢ...