মানবাধিকার ও মানবাধিকার
আইন!
তৈরি করেছেন : legaladvisor
মানবাধিকার :
মানবাধিকার শব্দটিকে ভাঙ্গ
দু'টি শব্দ পাওয়া যাবে।এক
মানব,অন্যটি অধিকার। মানবাধিক
শব্দের মাধ্যমে বুঝানো হয়ে
মানুষের অধিকারকে। তাহ
মানবাধিকার হলো মানুষ হিসে
তার মৌলিক অধিকার গুলো
বুঝায়।
সহজ ভাষায় মানবাধিকার হচ্
মানুষের সহজাত অধিকার যা
কোন মানব সন্তান জন্মলাভের সা
সাথে অর্জন করে। মূলত যে অধিক
মানুষের জীবন ধারনের জন্য,মানুষ
যাবতীয় বিকাশের জন্য ও সর্বপ
মানুষের অন্তরনিহিত প্রতি
বিকাশের জন্য আবশ্যক তা
সাধারনভাবে মানবাধিকার ব
হয়। জীবনধারণ ও বেঁচে থাক
অধিকার এবং মতামত প্রকাশ
অধিকার,অন্ন বস্ত্র ও শিক্ষা গ্রহণ
অধিকার,ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক
কর্মকান্ডের অংশগ্রহণের অধিক
প্রভৃতি সামাজিক,সাংস্কৃতিক
অর্থনৈতিক অধিকার
মানবাধিকার বলতে পারি।
এবার বলি মানবাধিকার কেন এ
কার জন্য ?
উপরে বলেছি মানবাধিকার হ
মানুষের অধিকার। কিন্তু কোন ধরন
মানুষের জন্য।
তার আগে একটা কথা, আইন
দৃষ্টিকোন হতে পাগলকে দেউলি
হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ পা
আইনের আওতামুক্ত।
কথায় বলে,"ছাগলে কি-না খায়,
পাগলে কি-না করে।" আমাদ
দেশের সন্ত্রসীদের অবস্থাও ঠ
পাগলের মত। অবশ্য এতে ক
পাগলকে অপমান করা হবে। কা
পাগল নিজের অজান্তে কিছু ভা
কাজও করে থাকে। কি
সন্ত্রাসীরা করে না এমন কে
অপরাধ নেই।
মানবাধিকার আইনের ইতিবৃত্ত :
বিখ্যাত আইনবিদ Louts Henkin ত
''The International Bill of righ
গ্রন্থের ভূমিকাতে মন্তব্য করেছ
যে, ''Human Rights is the idea
our time'' অর্থাৎ মানবাধিক
হলো বর্তমান কালের ধারণ
মানবাধিকার সম্পর্কে পশ্চি
প্রায় সকল আইনবিদের বিশ্বাস
রকমই। কিন্তু সাধারণভাবে অনু
মানবাধিকার সম্পর্কিত এহ
ধারণা কতটুকু সত্য? মানবাধিকার
আসলেই বর্তমান কালের ধারণ
ম্যাগনাকার্টা, ফরাসী বিপ্ল
এসবের পথ ধরেই কি দ্বিতীয় বি
যুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে মানবাধিক
সংক্রান্ত আইনের যথাযথ বিকাশ হ
আন্তর্জাতিক বা সার্বজন
মানবাধিকার সংক্রান্ত ধারণ
ইতিহাসের সূচনা কেবল ১৯৪৮ সাল
১০ ডিসেম্বরে? এর পূর্বে কি পৃথিব
মানুষ সার্বজনীন মানবাধিকার
ধারণার সঙ্গে পরিচিতি ল
করেনি? সমাজে, রাষ্ট্
আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এর স
বাস্তবায়ন প্রত্যক্ষ করেনি? এ
থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্
তমসায় নিমজ্জিত ধরণীতে আ
কুরআনের আলোকবর্তিকা, রহমত
বার্তা নিয়ে যিনি এই নশ্
ধরাধামে এসে পৃথিবীকে আলোক
করে গেছেন সেই রাহমাতুল্ল
আলামিন, সাইয়েদুল মুরসাল
খাতামুন নাবীয়্যীন, মানবমুক্ত
দূত, যাঁকে ওসীলা করে সবকিছু সৃষ্
করা হয়েছে সেই মুহাম্মা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই
ওয়া সাল্লামের কর্মময় জীবনের উ
যৎকিঞ্চিৎ আলোচনা করলে এমন
তথ্য অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে আমাদ
সামনে ভেসে উঠবে যাতে সকল
বলতে বাধ্য হবেন যে, সার্বজনীন
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার
ধারণা দিয়েছেন হযরত মুহাম্
(সা.)। প্রতিটি পর্যায়ে সকলের জ
মানবাধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠ
করেছেন তিনিই। নিঃসন্দে
তিনিই পৃথিবীর সর্বশ্রে
মানবদরদী, সার্বজনীন মানবাধিক
ধারণা বাস্তবরূপ পরিগ্রহ করেছ
তাঁর পবিত্র হাতেই। M.N. R
বলেছেন, ''Very few Moslems of
time are aware of the great r
played by Islam in the play hou
of history'' অর্থাৎ ইতিহাস
রঙ্গশালায় ইসলামের সুমহান অবদ
সম্পর্কে আজকের খুব অল্পসংখ্
মুসলমানই অবগত। যেখানে অধিকা
মুসলমানই বিশ্বসভ্যতায় তাদের ধ
ইসলাম এবং ইসলামের নবী হয
মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান অবদ
সম্পর্কে ওয়াকেবহাল নয়, সেখা
পশ্চিমা জগতের ধারণা কেমন হ
তা বলাই বাহুল্য। পশ্চি
আইনবিদরা হয় ইসলাম ও এর ন
সম্পর্কে অজ্ঞ, না হয় আদর্শিকভা
তারা ইসলাম বিরোধী। আর এ জন্
মানবাধিকার আইনকে আধুনিককাল
বলে চালিয়ে দিয়ে তারা এক্ষেত্
হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অবদান
অস্বীকার করতে চাইছেন।
মানবাধিকার আইনের ক্রমবিকাশ :
ম্যাগনাকার্টা থেকে দ্বিত
বিশ্বযুদ্ধকাল : ঐতিহাসিক দৃষ্টিক
থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা য
ইসলাম ধর্ম প্রথম স্পষ্ট সুনির্দ
আকারে সকল মৌলিক অধিকার ত
মানবাধিকার প্রদান করেছে। কি
এ বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা পো
না করে যারা মানবাধিকার আইন
বর্তমান কালের বলতে চান, তাদ
বক্তব্যকে খন্ডন করার জন্য, সত্য
উদঘাটনের জন্য পাশ্চাত্
মানবাধিকার আইনের উৎপত্তির উ
আলোকপাত করা জরুরি।
পাশ্চাত্য আইনবিদ
মানবাধিকারকে বর্তমান কাল
ধারণা বলে মনে করেন- একথা আম
ইতোমধ্যেই উল্লেখ করেছি। তাদ
বিশ্বাস মতে ১৯৪৫ সালে প্রণ
জাতিসংঘ সনদ হলো প্রথম দল
যেটা নাকি মানবাধিকার
ধারণাকে আন্তর্জাতিকক
(Internationalised) করেছে যদিও
সনদের কোথাও মানবাধিকারসমূহ
উল্লেখ মাত্র করা হয়নি। তার
আসে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর
দিনটি বিশ্বমানবাধিকার দি
হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ১
সালের এ দিনে সার্বজন
মানবাধিকার ঘোষণাপত্র তৈ
করা হয়। বিশ্বের মানুষ এখন এট
স্বীকার করে যে, সার্বজন
মানবাধিকারের ধারণা মূলত
সময়েরই। তবে এ কথা ঠিক
পাশ্চাত্যে সার্বজন
মানবাধিকারের ধারণার জন্ম ১
সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে নির্ধ
করা হলেও প্রকৃত অর্থে এর পেছন
রয়েছে পর্যায়ক্রমিক একটি ইতিহা
তবে এ ইতিহাস কোনক্রমেই ১
ঈসায়ী সালের পূর্বের নয়।
ইংল্যান্ডে মানবাধিকারের বিক
:
যে ইংরেজ জাতি নিজেদের ‘স
বলে দাবি করে থাকে তারা আস
কতটুকু সভ্য, তাদের তথাকথিত
‘সভ্য' হবার ইতিহাসই ক'দিনের এ
ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জ
পাঠকদের জন্য আমি প্রয়োজনীয় ক
তথ্য তুলে ধরছি। ইংল্যান্
দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত ছ
রাজতন্ত্র। তখন মানুষের অধিক
বলতে কিছু ছিল না। পূর্
ইংল্যান্ডে মনে করা হতো
মানুষকে কোন অধিকার দেয়া বা
দেয়া রাজার স্বেচ্ছাধীন ক্ষমত
নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী সেই
রাজা মানুষকে মানুষ হিসেবে ম
করতো না। রাজাদের নির্
অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনগণ শত
বছরের করুণ ইতিহাসের পথ পরিক্রম
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে অবশে
মরিয়া হয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। ফলশ্রুতি
বিভিন্ন সময়ে জন্ম নেয় মানুষ
অধিকার সংক্রান্ত কিছু বিল।
প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিশ
আইনজ্ঞ ডা. এম এরশাদুল বারী মন্ত
করেন : ''The idea of human rig
to a great extent evolved as
result of political absolutism si
rights of man became a slog
against the injustices a
indignities committed by tyranni
or despotic governments'' অর্থ
‘‘মানবাধিকার ধারণার অনেকাং
বিকাশ ঘটে স্বেচ্ছাচারী শাসক
স্বেচ্ছাতন্ত্রের ফল হিসেবে, য
অত্যাচারী ও স্বেচ্ছাচা
সরকারসমূহের সকল অবিচার
অমর্যাদাকর ব্যবহারের বিরুদ্
মানুষের অধিকার একটি স্লোগা
পরিণত হয়।'' ইংল্যান্
মানবাধিকার বিকাশের
পরিক্রমার চারটি পর্যায় হল ১
সালের ম্যাগনাকার্টা, ১৬২৮ সাল
পিটিশন অব রাইটস ১৬৮৮ সালের ব
অব রাইটস এবং ১৭০১ সালের অ্যা
অব সেটেলমেন্ট।
১. ম্যাগনাকার্টা :
১২১৫ সালের জুন মাসে ইংল্যান্ড
রাজা জন এবং রাষ্ট্র
বিত্তশালীদের মধ্যে স্বাক্ষরিত
সনদটিকে ''Keystone of Engli
Liberty'' অর্থাৎ মানবাধিকার
চাবিকাঠি বলা হয়। ইংরেজ আইনব
Loard chathan মন্তব্য করেন, T
petition of Right and the Bill
Rights along with the magna ca
constitute the Bible of the Engli
constitution. অর্থাৎ পিটিশন
রাইট, বিল অব রাইট এ
ম্যাগনাকার্টা ইংলিশ সংবিধান
বাইবেল স্বরূপ।'' ইংল্যান্
মানবাধিকারের বিকাশ ত
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পিছনে
দলিলটিকে চিহ্নিত করা হয় তা
১২১৫ সালের ম্যাগনাকার্টা। কিন্
ম্যাগনাকার্টার পেছনে রয়েছে
শত বছরের রক্তাক্ত ইতিহা
নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষ
মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের নিকট হ
যৎসামান্য অধিকার লাভের পথ খুঁ
পায়। অবশ্য যে ম্যাগনাকার্টা
ইংল্যান্ডে মানবাধিকার আইন
উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়,
কোন বিচারেই জনগণের
(People's charter) হিসে
মর্যাদাপ্রাপ্তির দাবি রাখে ন
প্রথমত, এটি জনগণের সঙ্গে নয়, ব
প্রভাবশালীদের সঙ্গে রাজার এক
চুক্তি ছিল। দ্বিতীয়ত, এর বিধানস
ছিল রাজকীয় অফিসারদের দ্বা
স্বেচ্ছাচারভাবে কর আরোপ এ
সম্প্রতি আটক বা দখলের বিধ
রহিত করা, রাজ্যের মধ্
ব্যবসায়ীদের চলাফেরার স্বাধীন
প্রদান, জুরি কর্তৃক বিচার প্রভৃত
সর্বসাধারণের বিষয়টি এখা
বিবেচনায় আনা হয়নি। বলা
''Although initially the objective
the magna carta was to com
the king to rule in a fair man
and to protect the barorns fr
unfair treatment by t
government, subsequently many
the rights and guarantees grant
to them were extended to t
common people''.
অর্থাৎ ‘‘যদিও প্রথ
ম্যাগনাকার্টার লক্ষ্য ছিল রাজা
ন্যায়পন্থায় শাসন করতে বা
করানো এবং সরকারের অন্যায় আ
থেকে ‘ব্যারন'দের রক্ষা করা। কি
তাদেরকে প্রদত্ত অধিকারসমূহ
অনেকগুলোই পরবর্তীতে সাধা
মানুষদের প্রদান করা হয়।'' সুতর
যে সনদটিকে ইংল্যান্ড
মানবাধিকার আইনের প্র
মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত ক
হয়, তা প্রকৃত অর্থে জনগণের সনদ ছ
না।
২ . পিটিশন অব রাইটস :
ব্রিটিশ জনগণের মানবাধিক
ইতিহাসের দ্বিতীয় দলিলটি
১৬২৮ সালের পিটিশন অব রাইটস।
বিলের মাধ্যমে জনগণের কয়েক
অধিকারকে স্বীকার করা হয়। কি
রাজা কর্তৃক এটি প্রত্যাখ্যাত হ
পারে এ ভয়ে খুব কৌশলে ‘ব
আকারে নয়, বরং ‘পিটিশন' আকা
এটি পেশ করা হয়। এতে মোট ৪
ধারা রয়েছে। ৪টি ধার
পর্যায়ক্রমে বলা হয়েছে :
০ পার্লামেন্টের অনুমোদন ছা
কোন ব্যক্তির উপর কর আরোপ ক
যাবে না।
০ কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে ক
ব্যক্তিকে জেলে আটক রাখা যা
না।
০ সেনাবাহিনীর কোন দল গৃহকর্ত
পূর্ব অনুমতি ছাড়া কারো গৃ
অবস্থান করতে পারবে না, এবং
০ রাজা বা রাণী কর্তৃক আই
প্রসিডিং এর জন্য কমিশন জারী ক
যাবে না।
৩ . বিল অব রাইটস :
১৬৮৮ সালে প্রণীত এ বিল
মাধ্যমে রাজা বা রাণী কর্
স্বেচ্ছাচারীভাবে আদালত গ
সংক্রান্ত ক্ষমতা হ্রাস করা হয়।
দ্বারা রাজার নিকট প্রজাদ
আবেদন করা, পার্লামেন্টে সদস্যদ
কথা বলা এবং বিতর্কে অংশগ্রহণ
স্বাধীনতা স্বীকৃত হয়।
৪. অ্যাক্ট অব সেটেলমেন্ট :
১৭০১ সালে প্রণীত এ আইনটিতে মূ
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ক
বলা হয়।
আমেরিকায় মানবাধিকার আইন
ক্রমবিকাশ : আমেরিকার স্বাধীন
ঘোষণা করা হয় ১৭৭৬ সালে এ
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বলা
''All men are created equal w
inalienable rights to life, libe
and the pursuit of happines
অর্থাৎ জন্মগতভাবে সব মানুষ সম
আর তাদের রয়েছে জীবন
স্বাধীনতা এবং সুখ অন্বেষণ
অবিচ্ছেদ্য অধিকার। আমেরিক
ইতিহাসে এটিই হল মানবাধিক
সংক্রান্ত প্রথম উচ্চারণ। ত
আমেরিকার মূল সংবিধা
প্রকৃতপক্ষে বিল অব রাইটস অধিক
সংক্রান্ত বিল ছিল না। পরবর্তী
১৭৯১ সালে তাদের সংবিধান
প্রথম দশটি সংশোধনী গৃহীত
যেগুলো একত্রে ‘বিল অব রাইটা
নামে পরিচিত। এতে যে স
অধিকার সংযোজন করা হয়, সেগু
হচ্ছে, ধর্মীয় স্বাধীনতা, ব
স্বাধীনতা, সংবাদপত্র
স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণভা
সমাবেশের অধিকার অভিয
প্রতিকারের জন্য সরকারের নি
আবেদন করার অধিকার, নিরপে
জুরির মাধ্যমে অনতিবিলম্বে
প্রকাশ্যে বিচার লাভের অধিক
সম্পত্তির অধিকার, আইন উপদেষ্
নিয়োগের অধিকার। নিজের বিরুদ্
সাক্ষ্য না দেয়ার অধিকার, এ
অপরাধে দুইবার শাস্তি না পাব
অধিকার, আইনের চোখে সম
অধিকার, দাসপ্রথার বিলুপ্তি।
ফ্রান্সে মানবাধিকার আইন
ক্রমবিকাশ ঃ
১৭৮৯ সালে French declaration
rights of man and of the citiz
অর্থাৎ মানুষ ও নাগরিকদের অধিক
সম্পর্কিত ফ্রান্সের ঘোষণাপ
প্রণয়ন করা হয়। ব্রিটেন এ
আমেরিকায় ঘোষ
মানবাধিকারের আলোকেই এ
প্রণীত হয়। ১৭৮৯ সালের এই ঘোষ
এবং ১৭৯১ সালের ফ্রান্সের রেনে
উত্তর প্রথম সংবিধানে যে স
অধিকার প্রদান করা হয় সেগু
হলো, ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিক
আইনের চোখে সমান অধিক
চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীন
সমাবেশের স্বাধীনতা, ধর্ম
স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার
গ্যারান্টি ইত্যাদি।
পাশ্চাত্যের আইন ব্যবস্থ
ক্রমবিকাশের ওপর আলোচন
প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি
তাদের মানবাধিকারের ইতিহাস
জোর ১২১৫ সাল থেকে শুরু হও
ইতিহাস এবং এ ইতিহ
পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে
স্বতঃস্ফূর্তভাবে তারা মানুষ
অধিকারসমূহকে স্বীকার করেনি।
স্বীকৃতি আদায়ের জন্য শত
বছরব্যাপী রক্ত ঝরাতে হয়েছে।
একটি বিষয় লক্ষণীয়
মানবাধিকারের সার্বজনীনত
তারা বিশ্বাস করতেন না, আন্তর
ছিলেন না। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্
সার্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণ
পূর্ব পর্যন্ত পাশ্চাত্যে মানবাধিক
সংক্রান্ত যে সকল দলিল আমরা প
সেগুলোর কোনটিই আন্তর্জাত
তথা সার্বজনীন বা বিশ্বজনীন ছ
না। বলা হয়ে থাকে, The charter
the United Nations Organisati
has internationalised the idea
human rights.'' অর্থ
মানবাধিকারের ধারণাট
আন্তর্জাতিককরণ করেছে, জাতিস
সনদ।'' সকলেই এটি স্বীকার করেন
জাতিসংঘ সনদ (১৯৪৫)-এর আ
মানবাধিকারের ধারণা
বিশ্বজনীন ছিল না। কিন্তু পৃথিব
ইতিহাসে সার্বজনীন, বিশ্বজন
মানবাধিকারের ধারণা ইতোপূর্
আসলেই কি কেউ দেননি, কোন আ
ব্যবস্থা তা কার্যকর করেনি এ
প্রশ্নের উপর আলোকপাত করার আ
আমরা আবার পাশ্চাত্য
মানবাধিকার আইনের উপর নজর দে
পাশ্চাত্যের মানবাধিকারের স্বরূ
আজকের তথাকথিত সভ্যত
ধ্বজাধারী মানবাধিকার
স্বঘোষিত ধারক হিসেবে যা
আত্মপ্রসাদ লাভ করে। আম
দেখেছি যে, তারা মানবাধিক
সম্বন্ধে বুঝতে শিখেছে মা
সেদিন থেকে পাশ্চা
মানবাধিকারের বিকাশ পর্
মানবাধিকারের রূপ কেমন ছিল
উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা প্রয়ো
ব্যক্তি মানুষের অধিক
(individual's rights) এখনও স্বী
হয়নি। ‘বিশেষ কারণে' কিছু ব্যক্
সমষ্টির অধিকার (rights of t
groups of individuals) সম্বন্
পাশ্চাত্য সমাজের কণ্ঠ উচ্চার
হয়। অবশ্য তাদের এ মাথা ব্যথ
কারণ ছিল ভিন দেশে তাদের ন
সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘুদের স্বা
রক্ষা। কিন্তু তারাই নিজেদ
দেশে অপর সম্প্রদায়
সংখ্যালঘুদের উপর অমানব
নির্যাতন করতো। নিম্নে এর উ
সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করা হলো :
(১ ) ধর্মীয় স্বাধীনতা :
ষোড়শ এবং সপ্তদশ শতকে গো
ইউরোপব্যাপী ধর্মীয় হানাহা
বিরাজ করে। এসব ধর্মযুদ্ধ
প্রেক্ষাপটে যুদ্ধ বিরাজম
দেশসমূহে নিজ ধর্মের অনুসারীদ
ধর্মীয় স্বাধীনতার জ
প্রভাবশালী দেশগুলো সোচ্চ
ভূমিকা পালন করে। জার্মানি
রোম ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্টদ
ধর্মীয় সমঅধিকার প্রদানের জ
১৬৪৮ সালে Peace of Westpha
স্বাক্ষরিত হয় যার মাধ্য
জার্মানিতে ৩০ বছরের ধর্ম
হানাহানি শেষ হয়। এ শান্তিচুক্
সম্পর্কে ড. এম, এরশাদুল বারী মন্ত
করেন : ''The real motive was rat
to promote favoured religio
creeds than to promote religio
freedom for all'' অর্থাৎ উক্ত শান্
চুক্তির প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল সকল
জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান
পরিবর্তে পক্ষপাতমূলক ধর্ম
প্রতিষ্ঠা করা।কোন চুক্তির আওত
কোন রাষ্ট্রের ভূখন্ডের অংশবিশ
অপর রাষ্ট্রের নিকট হস্তান্তর
হলে নতুন রাষ্ট্রে তারা যেন ধর্ম
স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে ত
নিশ্চয়তা বিধান করা হত। উদাহ
১৭১৩ সালের নেদারল্যান্ড চুক্ত
মাধ্যমে ফ্রান্স হাডসন উপসাগর এ
আকাভিয়া গ্রেট ব্রিটেনের নি
হস্তান্তর করে। উক্ত চুক্তির ১৫
অনুচ্ছেদে বলা হয়, সে এলাক
ক্যাথলিকরা এক বছরের মধ্যে ইচ্
করলে ফ্রান্সে চলে আসতে পারব
আর যারা থেকে যাবে তাদের
গ্রেট ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী যত
সম্ভব ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদ
করতে হবে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে
এরা সকল ধর্মের অনুসারীদের
ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করতো
কেবল স্বধর্মের কেউ অপর ক
রাষ্ট্রে বৈষম্যের শিকার হ
কিনা তা নিয়ে চিৎকার করতো। ড
এম, এরশাদুল বারী এ প্রসঙ্গে খুব সুন্
বলেছেন : ''All the attempts
secure religious freedom w
almost invariably, efforts
members of one religion or beh
of their co-religionists elsewh
Protestant powers generally tri
to secure religious freedoms
Protestants in catholic countri
but not for Muslim, Buddhists
Jews'' অর্থাৎ ধর্মীয় স্বাধীন
প্রতিষ্ঠার সকল প্রচেষ্টাই ছিল মূ
একই ধর্মের অনুসারীদের হয়ে তাদ
সহ অনুসারীদের প্রচেষ্ট
প্রোটেস্ট্যান্টরা সাধারণত চেষ্
করতো ক্যাথলিক অধ্যুষিত দেশসমূ
প্রোটেস্ট্যান্টদের ধর্মীয় স্বাধীন
রক্ষা করা। কিন্তু মুসলমান, বৌ
ইহুদীদের ব্যাপারে এদের ক
মাথাব্যথা ছিল না।
দাস প্রথার উচ্ছেদ :
পাশ্চাত্য সভ্যতা প্রকৃতপক্
মানুষে মানুষে সমতা নীতি
বিশ্বাস করে না। বর্তমানে মু
তারা যত সুন্দর বুলি আওড়াক না ক
আসলে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্
করা, তাদের প্রতিপক্ষ মা
সন্তানদেরকে নির্মূল করা, দাসত্ব
শৃক্মখলে আবদ্ধ করা এদের আজ
খায়েশ। পাশ্চাত্য পান্ডিত্য
পুরোধা প্লেটো, এরিস্ট
দাসপ্রথাকে শুধু বৈধতা দান কর
ক্ষান্ত হননি, উপরন্তু মানব সমা
দাসপ্রথার প্রয়োজন আছে ব
মন্তব্য করেছেন। হাজার হাজ
বছরব্যাপী সে সমাজে দাসপ্র
দাস বাণিজ্য প্রচলিত ছিল। দ
বাণিজ্য (Slave treade) ছিল তাদ
একটি লোভনীয়(!) পেশা। নি
অতীতে ১৮০২ সালে প্রথ
ডেনমার্কে আমরা দাস প্র
উচ্ছেদের প্রথম পদক্ষেপ লক্ষ্য কর
পরে দাস বাণিজ্যকে রহিত করণার্
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৮০৭ সা
একটি বিল পাস করে। এ আইনটি কে
ব্রিটেনের জন্য ছিল। ১৮৩৩ সা
অবশ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত স
অঞ্চলে অনুরূপ আইন প্রণয়ন করা
নেপোলিয়ন ১৮১৪ সালে ফ্রান্সে দ
বাণিজ্য বন্ধকরণের জন্য আইন প
করেন, যদিও এ আইনটি পরবর্তী কয়
বছরের মধ্যে প্রয়োগ করা সম্
হয়নি। সংবিধানের ১৩শ' সংশোধন
মাধ্যমে আব্রাহাম লিংকন ১৮
সালে আমেরিকায় দাসপ্রথা রহ
করেন। আর আন্তর্জাতিক পর্যা
দাসপ্রথা উচ্ছেদের প্রথম পদক্ষ
হলো ১৮১৫ সালের ভিয়েনা কংগ্র
যেখানে কেবল নীতিগতভা
দাসপ্রথা উচ্ছেদের কথা বলা
কিন্তু এ নীতি বাস্তবায়নের দিনক্
ঠিক করা হয়নি। এক্ষেত্রে এক
মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য : ''T
Intentions of the Great five w
somewhat less than pur
humanitarian; their aims were
reestablish the political balan
and destroy the growing econo
power of Spain which thrived
slave trade in Latin Ameri
অর্থাৎ বৃহৎ পাঁচটি শক্তির অভিপ্র
বিশুদ্ধ মানবিকতার চেয়ে অনেক
কম ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছ
রাজনৈতিক ভারসাম্য পুনঃপ্রতিষ্
করা এবং ল্যাটিন আমেরিকায় দ
ব্যবসা করে উন্নতি লাভ ক
স্পেনের বর্ধনশীল অর্থনৈত
শক্তিকে ধ্বংস করা।'' সুতরাং এ
পরিষ্কার হলো যে, দাসদের
ভালবেসে নয়, বরং বৃহৎ শক্তিগু
রাজনৈতিক স্বার্থে দাসপ্র
উচ্ছেদের জন্য এগিয়ে আসে।
৩. যুদ্ধবন্দী এবং যুদ্ধাহতদের প্র
ব্যবহার : হযরত মুহাম্মদ (সা:)-
আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে এবং ত
আগমনের পরও ইসলাম ভিন্ন অপর ক
ব্যবস্থায় যুদ্ধবন্দীদের প্র
মানবিক আচরণ করা হয়ন
যুদ্ধাহতদের প্রতি কেউ সহানুভূ
প্রদর্শন করেনি। অবশ্য পাশ্চাত্য
সমাজ ও আইন ব্যবস্থা বিশ্লে
করলে দেখা যায় যে, ঊনবিংশ শত
এবং বিংশ শতকের প্রথম দি
যুদ্ধবন্দী ও যুদ্ধাহতদের প্র
সামান্য নজর দেয়া শুরু
সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যা
যুদ্ধে আহত হয় তাদের জন্য ১৮
সালের জেনেভা কনভেনশন
মাধ্যমে কিছু নীতি প্রণয়ন করা
১৮৬৮ সালের সেইন্ট পিটার্সবা
ঘোষণার মাধ্যমে কতিপয় বিস্ফো
ও দাহ্য বুলেটের ব্যবহার নিষি
করা হয়। যুদ্ধবন্দী ও যুদ্ধাহতদ
স্বার্থে পশ্চিম বিশ্বে আরও যে স
পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেগুলো হ
১৮৯৯ ও ১৯০৭ সালের হেগ কনভেন
১৯৪৯ সালের ১২ আগস্ট জেনেভ
স্বাক্ষরিত ৪টি কনভেনশন ইত্যাদ
কিন্তু এতকিছুর পরও বাস্তবে আম
কি দেখতে পাচ্ছি? বসনি
হার্জেগোভিনা, চেচনি
কাশ্মীরসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চ
যুদ্ধবন্দী আর যুদ্ধাহত মুসলিমদ
আর্তচিৎকারে আল্লাহর আরশ পর্য
কেঁপে উঠেছে। তাছাড়া শুধু মুসল
বলে নয় সকল যুদ্ধবন্দী
যুদ্ধাহতদের প্রতিই এরা বড় নিষ্
যুদ্ধবন্দীদের গায়ের চর্বি দি
জার্মানিতে সাবান বানান
লোমহর্ষক কাহিনী কারও অবিদ
নয়। আসলে যুদ্ধবন্দী ও যুদ্ধাহতদ
এরা মানুষই মনে করে না।
৪. সংখ্যালঘুদের অধিকার : ন
দেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি যা
সর্বদা অমানবিক আচরণ করত, স
সকল শক্তিধর রাষ্ট্র তার ধর্ম, ভা
বা সংস্কৃতির অনুসারী অপর দেশ
সংখ্যালঘুদের স্বার্থ উদ্ধারে সবস
সচেষ্ট থাকতো। যা হোক, এ র
পক্ষপাতমূলক আচরণের পথপরিক্রম
১৯১৯ সালে ভার্সাই-এ অনুষ্ঠ
শান্তি সম্মেলনে প্র
সংখ্যালঘুদের অধিকারের কথা ব
হয়।
৫. শ্রমিকদের অধিকার : পাশ্চা
সমাজ ব্যবস্থায় বিশ শতকের প্র
দিকে প্রতিষ্ঠিত জাতিপুঞ্জ
চুক্তির ২৩নং অনুচ্ছেদে প্র
শ্রমিকের অধিকারের ব্যাপারে ব
হয়। ১৯১৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্
সংস্থা গঠিত হয় যার উদ্দেশ্য হ
শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করা।
বাংলাদেশ ও মানবাধিকারঃ
বাংলাদেশে মানবাধিক
অনেকটাই রুগ্ন আর অপ্রতিষ্ঠিত এক
বিষয়, যা প্রত্যাশার মাত্রার চে
যোজন-যোজন দূরে বললেও হয়তো
বলা হবে না। বাংলাদে
মানবাধিকার নিয়ে কাজ ক
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ
কিছু বেসরকারি ও আন্তর্জাত
সংস্থা। বলা বাহুল্য, বাংলাদ
মানবাধিকার কমিশনের অবস্থ
অনেকটাই নড়বরে এবং তাদ
কার্যক্রম ইতোমধ্যে বেশ ক
বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। যদ
সাংগঠনিকভাবেই এই কমিশন যথ
দুর্বল। প্রতিষ্ঠা পরবর্তী সম
ভালো কিছু উদ্যোগের জ
প্রশংসিত হয়েছিল কমিশন। কি
পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্
দ্বিমুখী অবস্থানের জন্য বিতর্ক
হয় এই কমিশন। বেসরকারি যে
সংস্থা কাজ করছে, তাদের ক
অপ্রতুল হলেও তারা প্রশংসাযো
কিছু কাজ করেছে, বিশেষ ক
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় শ
অবস্থান। প্রায়োগিক অর্থে তা
অনেকটাই সফল এমনটি নিশ্চিতভা
বলা যায় না। এমনেস্
ইন্টারন্যাশনাল, জাতিসংঘ
সংস্থাসমূহ, অধিকার, আইন ও সাল
কেন্দ্র(আসক) এবং আরও কিছু সংস্
বাংলাদেশে মানবাধিকার নি
কাজ করছে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার
প্রশ্নটি আসলে স্বাভাবিকভাব
আমাদের দৃষ্টি চলে যায় কতগু
বিষয়ের উপর। তার মধ্যে সবচে
আলোচিত বা সমালোচিত বি
হচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্
কর্তৃক বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্
বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে
প্রকার বেআইনী হত্যাকাণ্ড,
সাধারণত রাজনৈতিক, ব্যবসায়
সামাজিক ব্যক্তিত্ব বা অপরাধী
রাষ্ট্রপ্রদত্ত আইনত বিচারের পূর্ব
হত্যাকরা হয়। বিচার বহির্
হত্যাকাণ্ড এবংড
স্কোয়াড সবচেয়ে বেশি দেখা য
মধ্যপ্রাচ্যে (সবচেয়ে বে
ফিলিস্তিন ও ইরাকে),
আমেরিকা,আফগানিস্তান, বাংল
ও কাশ্মীরসহ অন্যা
রাজ্য), আফ্রিকারবিষুবীয় অঞ্চলে
বিভিন্ন
দেশ,জ্যামাইকা, কসোভো, দক্ষিণ
আমেরিকার বেশক
অংশ, চেচনিয়া, রাশিয়া, উজবেক
ওশেনিয়া,থাইল্যান্ডের কিছু অ
এবং ফিলিপাইনে। এ হিসে
বাংলাদেশ বিচার বহির্
হত্যাকাণ্ডে প্রথম সারির এক
দেশ। এ ধরনের হত্যাকাণ্
বিপজ্জনক হারে লঙ্ঘিত
মানবাধিকার এবং নাগরিকদ
আইনগত ও সাংবিধানিক অধিক
সবচেয়ে হতাশার বিষয় হচ্ছে এই
ঘটিত এসব ঘটনার কোনো সুষ্ঠু তদ
না হওয়া এবং আইন-শৃঙ্খ
রক্ষাকারী বাহিনীকে এ
হত্যাকাণ্ড পরিচালনায় সরকার কর্
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইন্
জোগানো! এ ঘটনার উজ্জ্বল দৃষ্টা
লিমন ইস্যু, যেখানে মানবাধিক
কমিশনের সর্বউচ্চ হস্তক্ষেপ
সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকা
বাহিনী এ বিষয়ে কো
ব্যবস্থাতো গ্রহন করেইনি, উল
রাষ্ট্র বাদী হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে
ন্যক্কারজনক নজির সৃষ্টি করে,
সংবিধান ও সার্বজনীন মনবাধিক
ঘোষণার সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। এই ঘটন
মাধ্যমেই প্রতিফলিত হয় আমাদ
মানবাধিকার পরিস্থিত
ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টার
নামেই ব্যাখ্যা করা হোক না ক
এসব হত্যাকাণ্ডের মাধ্য
মানবাধিকার পরিস্থিতি
কতোটা নাজুক অবস্থায় রয়েছে
সহজেই অনুমেয়। বাংলাদে
মানবাধিকার শব্দটি শুধুমা
আলঙ্কারিক অর্থেই ব্যবহার ক
যায়, বাস্তবিক অর্থে আমরা কতো
মানবাধিকারহীন একটি জা
হিসেবে তা বলাই বাহুল্য। যেখা
জীবনের নিরাপত্তাহীন
অবশ্যম্ভাবী, সেখানে মানবাধিক
বিলাসিতাই বৈকি! রাষ্ট্র
দায়িত্ব তার প্রত্যেক নাগরিক
নিরাপত্তা বিধান এ
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ ক
যাওয়া। গত দুই দশকের কথা ধর
প্রত্যেকটি সরকারই এই পরিস্থিত
উন্নয়নে সমানভাবে ব্যর্থ। এ দায়ভ
এককভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র বা সরকারক
নিতে হবে।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সম
সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন
আরেকটি প্রকৃষ্ট উদাহরন। যেভা
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু
নির্যাতিত হচ্ছেন তা
নিকৃষ্টভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানব
আর মানবাধিকার। যা সংবিধান
অনুচ্ছেদ- ২৭, ২৮, ৩১, ৩২, ৪১ এ
সার্বজনীন মানবাধিকার
অনুচ্ছেদ- ১, ২, ৩, ৫, ৭ এর সুস্পষ্ট লঙ্
একটি স্বাধীন দেশের নাগর
বৈষম্যহীন সমাধিকার লাভ কর
এবং আইনের দৃষ্টিতে সবাই সম
হবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ- ২৭
বলা হয়েছে, সকল নাগরিক আইন
দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সম
আশ্রয় লাভের অধিকার
অনুচ্ছেদ-২৮ এ বলা হয়েছে, ধ
কিংবা প্রভৃতি কারনে ক
নাগরিকের সাথে বৈষম্য করা যা
না। এসব অধিকার লঙ্ঘিত হ
প্রত্যেক নাগরিক আইনের সম
আশ্রয় লাভ করবে। অথচ সরকার
বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বরা
ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছ
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংখ্যালঘু
হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংস
শিকার। শুধু এ দুটি বিষয়ই নয়, ব
কিছু কিছু ক্ষেত্রে রা
নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হ
করছে। যা একটি দেশের সামগ্র
পরিস্থিতির পরিচায়ক হিসেবে ক
করে। প্রত্যেক নাগরিক
নিরাপত্তা বিধান এ
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারক
রাখতে হবে অগ্রণী ভূমিকা।
বাংলাদেশে জাত
মানবাধিকার কমিশন
বাংলাদেশের একটি জাত
মানবাধিকার কমিশন গঠনের প্র
উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৯৮ সালে।
সময় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূ
(ইউএনডিপি)-এর সহায়তায় একট
আইনের খসড়াও তৈরী করা হয়। কি
এরপর দীর্ঘ সময় এ বিষয়ে আর তে
কোন অগ্রগতি হয়নি। অবশে
জাতীয় মানবাধিকার কমি
অধ্যাদেশ ২০০৭ এর মাধমে ২
সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রথম এক
জাতীয় মানবাধিকার কমি
প্রতিষ্ঠিত হয়। একজন চেয়ারম্যান
দু’জন সদস্যকে নিয়োগ দেয়
মাধ্যমে ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর
কমিশনের কার্যক্রম শুরু কর
পরবর্তীতে অধ্যাদেশকে বৈধতা
দিয়ে এরপর জাতীয় সংসদ ২
সালের ২২ জুন একজন চেয়ারম্য
একজন সার্বক্ষণিক সদস্য এবং অ
পাঁচ অবৈতনিক সদস্য নিয়োগ দেয়
মাধ্যমে সাত সদস্য বিশ
মানবাধিকার কমিশন পুনর্গঠিত হয়
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
এখতিয়ার
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
এখতিয়ার যথেষ্ঠ ব্যাপ
বাংলাদেশ সংবিধান, জাত
মানবাধিকার কমিশন আইন এ
আন্তর্জাতিক মানবাধিক
চুক্তিসমূহ যেগুলো বাংলাদেশ
পক্ষভূক্ত সেগুলো থেকে এই এখতিয়
দেয়া হয়েছে। জাতীয় মানবাধিক
কমিশনের ভূমিকায় বলা হয়েছ
যেহেতু সংবিধান অনুযা
মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন
নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মূল লক্
তাই মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্ন
এবং তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্
কমিশনের প্রধান প্রধান এখতিয়
সমূহ হচ্ছে-
কমিশন যে কোন ধরণ
মানবাধিকার লংঘনজন
অভিযোগের তদন্ত করতে পারবে।
কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা
হলেও কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হ
অভিযোগ গ্রহণ করতে পারবে।
জেলখানা, থানা হেফাজত ইত্যা
আটকের স্থান পরিদর্শণ করে সেসব
উন্নয়নে সরকারকে সুপারিশ প্রদ
সংবিধান অথবা দেশের প্রচল
আইনের আওতায় গৃহীত ব্যবস্থাস
পর্যালোচনা করে এর কার্য
বাস্তবায়নের জন্য সরকার
সুপারিশ করবে।মানবাধিকার বিষ
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলিল বিষ
গবেষণা করা এবং সেগু
বান্তবায়নের জন্য সরকার
সুপারিশ প্রদান।আন্তর্জাত
মানবাধিকার আইনের সঙ্গে দেশ
আইনের সামঞ্জস্য বিধানের ভূমি
রাখা।
মানবাধিকার বিষয়ে গবেষ
পরিচালনা।আপোষের মাধ্যমে
নিষ্পত্তিযোগ্য কোন অভিয
মধ্যস্থতা ও সমঝোতার মাধ্য
নিষ্পত্তি করা। মানবাধিক
সংরক্ষণ বিষয়ে আইন প্রয়োগকা
সংস্থার সদস্যসহ অন্যদের প্রশি
প্রদান।
কমিশনের সাম্প্রতিক কিছু কার্যক্র
পুনর্গঠিত জাতীয় মানবাধিক
কমিশন দায়িত্ব নেবার পরপরই প্র
যে কাজ হাতে নেয় তা হচ্ছে প
বছর মেয়াদী একটি কৌশলপত্র প্রন
করা। মানবাধিকার কমিশন বিষ
আন্তর্জাতিকভাবে খ্যতিসম্প
একজন বিশেষজ্ঞের সহায়ত
কৌশলপত্রটির খসড়া তৈরী করা
খসড়া কৌশলপত্রে ১৬টি বিষয়
গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার ইস্যূ হিসে
চিহ্নিত করা হয়। কৌশলপত্র
চুড়ান্ত করার পূর্বে এর ওপর বিভি
শ্রেণী-পেশার মানুষের মতাম
সংগ্রহের জন্য ডিসেম্বর ২০১০ থে
মার্চ ২০১১ এর মধ্যে ১০টি মতবিনি
কর্মশালা আয়োজন করে। ঢাকা
বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠ
কর্মশালায় প্রাপ্ত মতামত
ভিত্তিতে কৌশলপত্রটি চুড়ান্ত ক
হয়।
২০১০ সালের নভেম্বরে জাত
মানবাধিকার কমিশনের উদ্যো
দু’দিনব্যাপী একটি আঞ্চল
সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভি
দেশের মানবাধিকার কমিশন
প্রতিনিধিসহ জাতিসংঘ ও অন্যা
আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনি
উপস্থিত ছিলেন। দু’দিনের
সেমিনারে এ অঞ্চলের মানবাধিক
কমিশনসমূহের কাজের অভিজ্ঞ
এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারষ্পর
সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচ
হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ ও কর্মকর্তা
বিভিন্ন কারাগার, হাসপাত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিশুসদন পরিদর্
করেন এবং এসব স্থানে বিদ্যম
অনিয়মসমূহ দূরীকরণে সরকার
প্রয়োজনীয় সুপারিশ করেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প
থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রয়োজন
পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানি
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চি
পাঠানোর ফলে অনেকগুলো ঘটন
দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
চেয়ারম্যান, সদস্যবৃন্দ ও কর্মকর্তা
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরা
অংশগ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমি
রেখেছেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশ
অভিযোগ দায়ের
কে অভিযোগ করতে পারে?
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে না
পুরুষ সহ যে কোন বয়সের দেশী
বিদেশী যে কোন ব্যক্তি কমিশন
অভিযোগ করতে পারেন। অর্থ
গ্রামের বা শহরের, সমতল
পাহাড়ী জনগোষ্ঠী, ধনী, গরীব, কৃ
শ্রমিক, শিক্ষিত অথবা যেক
কমিশনে অভিযোগ করতে পারব
অবস্থা বিবেচনায় কমিশনও
উদ্যোগে অভিযোগ গ্রহণ করে থাক
কী ধরণের অভিযোগ করা যায়?
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
সংবিধানে দ্বিতীয় ও ততৃীয়ভা
যে অধিকারগুলি সকল নাগরিক
দেয়া হয়েছে, তার লংঘনের আশং
তৈরী হলে বা স্বীকৃত আন্তর্জাত
মানবাধিকার আইনে বর্ণ
অধিকারসমূহে লংঘিত হলে জাত
মানবাধিকার কমিশনে অভিয
করা যায়। কেই যদি মনে করেন
মানুষ হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে ত
জীবন, সমতা ও মর্যাদার
অধিকার পাওনা আছে, তা ক্ষু
হয়েছে কিংবা ক্ষুন্ন হওয়ার আশং
দেখা দিয়েছে অর্থাৎ রাষ্ট্রীয়
সরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান
সংগঠন বা কোন জনসেবক কর্
মানবাধিকার (জীবন, সমতা
মর্যাদা সংক্রান্ত অধিকার) ল
করা হয়েছে বা লংঘনের প্ররোচ
দেয়া হয়েছে বা এই সব অধিক
লংঘন প্রতিরোধ অবহেলা ক
হয়েছে তাহলে মানবাধিক
কমিশনে অভিযোগ করা যায়।
কীভাবে অভিযোগ দাখিল করবেন
কমিশনের নির্ধারিত ফরমে অথ
সাদা কাগজে হাতে লিখে বা টা
করে, কমিশনের অফিসে নিজে অথ
প্রতিনিধির মাধ্যমে অথবা ডা
কুরিয়ার মারফত, ফ্যাক্স অথবা
মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ পাঠা
যায়। অভিযোগের সাথে অন্যা
কাগজপত্র, ছবি, অডিও-ভিডিও ক্ল
ইত্যাদি সংযুক্ত করা যেতে পারে
মনে রাখবেন...
১. কমিশন অভিযোগকারীর
অভিযুক্ত কারো পক্ষে নয়, ব
নিরপেক্ষভাবে অভিযোগ নিষ্পত্ত
উদ্দেশ্যে উভয়ের জন্যই কাজ করে।
২. অভিযোগ করা বা অভিয
সম্পর্কে খোঁজ নেয়া, অভিয
করার আগে পরামর্শ করা ইত্যাদ
জন্য কোন খরচ করার প্রয়োজন হয় ন
৩. কমিশনের মূল লক্ষ্য হচ্
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যেন ত
ক্ষমতার অপব্যবহার করে নাগরিক
মর্যাদা, সম্মান, সমতা ইত্যাদ
অধিকার লংঘন করতে না পারে ত
প্রতি লক্ষ্যে রেখে সার্ব
মানবাধিকার পরিস্থিতির সংরক্
ও উন্নয়ন ঘটানো।
অভিযোগ দাখিলের জন্য যোগাযো
যে কোন দিন সশরীরে এসে অথ
কমিশনের অফিসের প্রবেশ প
“অভিযোগ বাক্স” -এ অভিযোগ জ
দেয়া যাবে
অথবা
ইন্টানেটে: http://
complaint.nhrc.org.bd/
অথবা
ই-মেইলে: nhrc.bd@gmail.com
অথবা
ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৮৩৩৩২১৯
অথবা
ডাকযোগে:
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
গুলফেঁশা প্লাজা (১১ তলা),
৮, শহীদ সাংবাদিক সেলি
পারভিন সড়ক,
মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
ফোন: +৮৮-০২-৮৩৩১৪৯২''
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন