রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৭

এখন দেশের দিকে বেশী খেয়াল দেন

এখন দেশের দিকে বেশী খেয়াল দেন

সাইফুল বাতেন টিটো
Saiful Baten Tito smসোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর থেকেই পৃথিবী একটা নন ব্যালান্সড অবস্থায় চলে যায়। নীচে পড়ে থাকা কুস্তিগীরের মতো শোয়া থেকে উঠে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হায়নার মতো থাবা বসাতে থাকে দুনিয়াব্যাপী। দিনে দিনে বেড়ে চলে মার্কিন জানোয়ারদের প্রতিবন্ধী আচরণ।
লাদেনকে বানায় তারা। এই লাদেন নাটক দিয়েই শুরু করে মুসলিম নিধন। ভয়ঙ্কর খুনি নারী লোভী আলকায়দা নিধনের নামে জনপদের পর জনপদ নিশ্চিহ্ন করে চলেছে। ওদের মনে হতে থাকে সকল ইসলামী দেশ গুলোই পারমানবিক অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে। হাজার হাজার শিশুর রক্ত পান করে এই জানোয়ারেরা আসলে যে তেলের খনিগুলো দখল করে নিচ্ছে তা যেন এই মুখোশ পরা দাদাল গুলোর চোখেই পড়ছে না।
কর্ণেল গাদ্দাফি, সাদ্দাম আর মেজর জিয়া ছিলো মার্কিনের তিন দাবার বড়ে। সব কিছু ঠিকঠাক চলছিলো। আচমকা জিয়া খুন হওয়ার পর প্লান চেইঞ্জ করতে হয় মার্কিনীদের। এদেশে তাদের পারফেক্ট দালাল সেট করার জন্য তারা উঠেপড়ে লাগে। উদ্দেশ্য একটাই, এদেশকে সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক বানানো। এখন পাইছে এক প্রমোদ বালক- বাগদাদী। কিন্তু যাদের জন্য সম্ভব হচ্ছিলো না তারা কারা তাদের চেনেন কেউ? তাদের কিন্তু কেউ চেনে না। তারা গাঞ্জা খোর, তারা নাস্তিক, তারা ব্লগার, তারা শাহবাগি, তারা খুব অল্প সংখ্যক, তারা গোসল করেনা সময় মতো, দোতারা বাজায়, খায়না, লালনের গান গায়, কোন রাজনৈতি নেতাকে বাল দিয়াও পোছে না, কিন্তু হলারা চাইলেই ‘দ্যাশ লারাইয়া হালাইতে’ পারে। আওয়ামী লীগ বিএনপি বর্তমানে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। কার কি মোটিভ জানা আছে। মার্কিনীদের এই দখলের টেন্ডেন্সি বোঝার ক্ষমতা দুই নেত্রীর নাই। খালেদার তো নাইই।
কিন্তু এখন নেক্সট নির্বাচনে যদি হেফাজতের সহায়তায় আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যায়, কিংবা জামাতের সহায়তায় বিএনপি, তখন এদেশ আবার সুযোগ পাবে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া হওয়ার। প্রশ্ন থাকতে পারে, এতদিন হলো না এখন হবে কেন? আসলে এতদিন জমি উর্বর করেছে, এখন ফাইনাল কালটিভেশনে যাবে। কারণ হাসিনা, খালেদা বয়সের কারণে নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। নতুন পোষ্ট আর মন্ত্রীত্বের লোভে আজ যাদের আপনি প্রগতিশীল নেতা ভাবছেন, সে তখন হবে জামাতের রোকন কিংবা হেফাজতের শূরা সদস্য। যে সকল প্রজাতন্ত্রের চাকরেরা এখন সুযোগ পেয়ে মনিবের সম্পদ লুঠ করে হাওড়বাসীকে প্রায দুর্ভিক্ষে ফেলে দিয়েছে, সেই সকল প্রমোদ বালকদের তখন খুব পাপবোধ জাগবে। যেহেতু আল্লা দয়ার সাগর, তাই মাফ পাওয়ার জন্য হেফাজত কিংবা জামাতি পীরের শ্মীশ্ম লেহন করতে যাবে।
তাই আপনাগো কই, (যারা গাঞ্জা খোর, যারা নাস্তিক, যারা ব্লগার, যারা শাহবাগি, যারা খুব অল্প সংখ্যক, যারা গোসল করেনা সময় মতো, দোতারা বাজায়, খায়না, লালনের গান গায়, কোন রাজনৈতি নেতাকে বাল দিয়াও পোছে না), এখন দেশের দিকে বেশী খেয়াল দেন।
আর তোকে কই, হে প্রজাতন্ত্রের চাকর ভুলে যাসনে না হে দাস, অন্ডকোষ কিন্তু দন্ডের নীচেই অবস্থান করে, বুঝেছিস নাদান?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সূরায়ে ফাতিহা!

সূরা আল ফাতিহার বাংলা ও ইংরেজি অর্থ ইসলাম ডেস্ক: সূরা ফাতিহা (মক্কায় অবতীর্ণ), এর আয়াত সংখ্যা 7 ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤـَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢ...