:
নতুন কমিটির অপেক্ষায় ছাত্রদল
নেতা-কর্মীরা। আর কমিটিতে
স্থান পেতে চলছে নানামুখী
লবিং-তদবির। বর্তমান কমিটির
মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছর ১৪ই
অক্টোবর। অন্যদিকে বিভিন্ন
জেলা শাখার কমিটিও চলছে
একযুগ বা দশক ধরে। এ অবস্থায়
ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা
বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামেও
রাখতে পারছে না কার্যকর
ভূমিকা। সারা দেশে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিরোধী
ছাত্রসংগঠনের কর্মী ও
শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায়ও
কোনো কর্মসূচি দেয়নি
সংগঠনটি। শিক্ষার্থীদের
অধিকার আদায়েও রাখতে
পারেনি কোনো ভূমিকা।
দীর্ঘদিন এভাবে চলায়
সংগঠনটি ধুঁকছে নেতৃত্বের
ভারে।
বাড়ছে কোন্দল, সমন্বয়হীনতা
আর ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা। ২০১৬
সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি ৭৩৪ জন
সদস্যকে নিয়ে বর্তমান কমিটি
পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলেও বাস্তবে
সক্রিয় ছিলেন ২০-২৫ জন। অথচ
ছাত্রদলকে বলা হয়
জাতীয়তাবাদী রাজনীতির
সূতিকাগার। বিএনপির
আন্দোলন-সংগ্রামের
ভ্যানগার্ড। পরিস্থিতি এমন
দাঁড়িয়েছে যে, নতুন কমিটির
দাবিতে সম্প্রতি দলের
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান
কর্মসূচি পালন করেছে কেন্দ্রীয়
কমিটির একাংশ।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা
জিয়া চিকিৎসা করাতে
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে আজ
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা
ছেড়েছেন। প্রায় ২ মাস তিনি
সেখানে থাকবেন বলেও জানা
গেছে। এদিকে ছাত্রদলের নতুন
কমিটির বিষয়ে দলের সিনিয়র
ভাইস চেয়ারম্যান তারেক
রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করে
সেখান থেকেই তালিকা নিয়ে
দেশে ফিরে নতুন কমিটি
ঘোষণা দিবেন খালেদা
জিয়া।
অভিযোগ রয়েছে, বেশির ভাগ
নেতার ছাত্রত্ব না থাকাসহ
বিভিন্ন কারণে এ কমিটি
গঠনের পর থেকেই ব্যাপক
সমালোচনা চলছে। আর এ
কারণেই সর্বস্তরে নতুন কমিটি
গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে
মাঝারি সারির নেতারা।
সংগঠনটির এমন বন্ধ্যত্ব ও
নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ খোদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়া।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে
ছাত্রদল নেতৃত্বের কড়া
সমালোচনাও করেছেন খালেদা
জিয়া নিজেই। বলেছেন,
‘খালেদা জিয়া ভয় নাই,
রাজপথ ছাড়ি নাই- এই কথায়
আমি আর বিশ্বাসী নই, এই কথা
আমি মানি না। রাজপথে
অনেকের থাকার কথা, থাকে
নাই। রাজপথ ছাড়ি নাই বললে
ভুল হবে। এই স্লোগানগুলো দয়া
করে আর দেবে না।’ ছাত্রদের
সমস্যা, শিক্ষাব্যবস্থার
দুরবস্থা, সরকারের দমন-পীড়ন,
দুর্নীতি নিয়ে স্লোগান কেন
ছাত্রদল দেয় না- সে নিয়ে
প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিএনপি
চেয়ারপারসনের মনেও। ছাত্রদল
নেতাকর্মীদের ‘ছেলেমেয়ে’
সম্বোধন করে তাদের
পড়াশোনা ও শৃঙ্খলার উপর
জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে
খালেদা জিয়া বলেছেন,
‘বস্তির ছেলেপেলে এনে দল
করতে হবে না। সংখ্যা আমি
চাই না, আমরা দেখতে চাই
কোয়ালিটি। আমি ভালো,
যোগ্য, উপযুক্ত মেরিট
ছেলেপেলে দেখতে চাই।’
১লা জানুয়ারি
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে
ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা
করা সংগঠনটির রেওয়াজ। গত
কয়েক বছর ধরে এর ব্যতিক্রম
ঘটছে। ২০১৪ সালের ১৪ই অক্টোবর
গঠন করা হয়েছিল বর্তমান
কমিটি। সে হিসেবে কমিটির
মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় ৮
মাস আগে। কিন্তু এবারের
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কোনো
ঘোষণা আসেনি। কবে-কিভাবে
নেতৃত্ব বাছাই করা হবে, নতুন
কমিটি গঠন করা হবে তা নিয়ে
অন্ধকারে ছিলেন
নেতাকর্মীরা।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল
নেতা জানান, সম্ভাব্য
পদপ্রার্থীদের তালিকা
যাচাই-বাছাই চলছে।
পদপ্রার্থীদের আমলনামাসহ
তাদের একটি তালিকা লন্ডনে
বিএনপির সিনিয়র ভাইস
চেয়ারম্যান তারেক রহমানের
কাছেও পাঠানো হয়েছে।
সবকিছু ঠিকঠাক করে
অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নেতাদের
সমন্বয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি-
মার্চের দিকে নতুন কমিটির
ঘোষণা দেয়া হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,
বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
দুজনই নতুন কমিটির সভাপতি
হতে চান। কিন্তু সাধারণ
সম্পাদক আকরামুল হাসান
আগামী জাতীয় নির্বাচনে
প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি
নিচ্ছেন। তারা বিএনপির
নির্বাহী কমিটির সদস্য হওয়ায়
তাদের ছাত্ররাজনীতি আর
দীর্ঘায়িত নাও হতে পারে।
এছাড়া, প্রতিবারের মতো নতুন
কমিটিতে শীর্ষ পদে
আলোচনায় রয়েছেন সংগঠনের
সিনিয়র ও মাঝারি সারির
ডজনখানেক নেতা। যারা
আলোচনায় আছেন তাদের সবার
সঙ্গে ছাত্রদলের তৃণমূল এবং
সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের
যোগাযোগ ভালো। সভাপতি
পদে অন্যদের মধ্যে আলোচনায়
রয়েছেন- বর্তমান সহ-সভাপতি
আলমগীর হাসান সোহান,
নাজমুল হাসান, ইখতিয়ার
রহমান কবির, মামুন বিল্লাহ,
আবু আতিক আল হাসান মিন্টু ও
সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক
সরকার। সভাপতি ও সাধারণ
সম্পাদক পদে আলোচনায় থাকা
তুলনামূলক তরুণ নেতাদের মধ্যে
রয়েছেন- বর্তমান কমিটির যুগ্ম
সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ,
মিয়া মো. রাসেল, বায়েজিদ
আরেফিন, মফিজুর রহমান
আশিক, কাজী মোকতার
হোসেন, মেহবুব মাসুম শান্ত,
হাসানুল বান্না, মুশফিকুর
রহমান লেনিন, মিজানুর রহমান
সোহাগ, নুরুল হুদা বাবু, শামসুল
আলম রানা, আবদুর রহিম সেতু,
আবদুল করিম সরকার ও মির্জা
ইয়াসিন আলী।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদের
আলোচনায় রয়েছেন সাহিত্য ও
প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজুল
ইসলাম ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক
আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী ও
সমাজসেবা সম্পাদক আবদুর
রহিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক
সরদার আমিরুল ইসলাম।
শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৭
লন্ডনে ছাত্রদলের ভাগ্যে নির্ধারণ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
সূরায়ে ফাতিহা!
সূরা আল ফাতিহার বাংলা ও ইংরেজি অর্থ ইসলাম ডেস্ক: সূরা ফাতিহা (মক্কায় অবতীর্ণ), এর আয়াত সংখ্যা 7 ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤـَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢ...

-
রাষ্ট্রদ্রোহী ও ধর্মদ্রোহী ফরহাদ মজহার জুলাই ১৮, ২০১৭ 41 সম্পাদনা: মিয়া মোহাম্মদ হেলাল ফরহাদ মজহার ১৯৭২ সাথে কবি হুমায়ুন কবীর হত্যাকা...
-
রাকিব হাসান: রমজান শেষ। চলছে শাওয়াল মাস। কওমি মাদরাসার ছাত্রদের জন্য শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষা বর্ষ। মাদরাসার নিয়মানুসারে প্রতিবছর শাওয়াল ম...
-
ঈদ বার্তা: পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রিয় বালাগঞ্জ ওসমানীনগর ও সিলেটবাসী, প্রবাসীসহ আওয়ামী পরিবারের নেতা কর্মীদের জানাই ঈদের শুভেচ্ছা...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন