সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানকে বাংলাদেশে আমন্ত্র জানিয়েছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

গুম তদন্তে জাতিসংঘ
মানবাধিকার প্রধানকে
বাংলাদেশে আমন্ত্রণ
জানান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে
নিউইয়র্ক টাইমস

ණ☛ বাংলাদেশে অব্যাহত গুম ও
বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা নিয়ে
The Opposition Disappears in
Bangladesh শিরোনামে
সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক
টাইমস। শুক্রবার প্রকাশিত ওই
সম্পাদকীয়তে ঢাকা ভিত্তিক
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের
বরাত দিয়ে বলা হয়, ৩২০ জনেরও
বেশি মানুষকে বেআইনিভাবে আটক
করা হয়েছে বা তারা নিখোঁজ
হয়েছে ৮ বছর আগে আওয়ামী লীগ
সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে।
ණ☛ ঢাকাভিত্তিক মানবাধিকার
সংগঠন অধিকার এমনটাই
জানিয়েছে। বাংলাদেশের
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা
ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার
সাদা পোশাকের সদস্যরা এসব
ব্যক্তিদের বাড়ি থেকে বা রাস্তা
থেকে উঠিয়ে নিয়েছে।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্রমেই
রাজনৈতিক বিরোধী সদস্যদের
সংখ্যা বাড়ছে। এ ছাড়া, রয়েছে
সন্দেহভাজন অপরাধী ও ইসলামিস্ট
মিলিট্যান্টস।
ණ☛ অধিকারের তথ্যমতে গত বছর
নিখোঁজ হওয়া ৯০ জনের মধ্যে ২১ জন
নিহত হয়েছে। আর ৯ জন এখনো
নিখোঁজ। এদের মধ্যে একজন হলেন
বিরোধী জামায়াতে ইসলামি’র
আইনজীবী মির আহমাদ বিন
কাশেম। আগস্ট মাসে কাশেমের
বাড়ি থেকে তার স্ত্রী, বোন আর
দুই মেয়ের সামনে থেকে যারা
তাকে তুলে নিয়ে যায়, তারা
নিজেদের পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি
জানায়। এরপর থেকে মি. কাশেমকে
আর দেখা যায়নি।
এমন চর্চায় উদ্বিগ্ন হয়ে জাতিসংঘ
ফেব্রুয়ারি মাসে ‘দেশে বাড়তে
থাকা বলপূর্বক গুমের ঘটনা বন্ধ করতে
বাংলাদেশকে অবিলম্বে পদক্ষেপ
নেয়ার’ আহ্বান জানায়। কিন্তু, যে
গতিতে গুমের ঘটনা ঘটছে তা ক্রমেই
বাড়ছে বলেই মনে হচ্ছে। হাসিনা
সরকার এ সবের জবাব দিয়েছে
অভিযোগকারীদের নিন্দা করে।
এতে করে আন্তর্জাতিক ও
বাংলাদেশি আইনের তামাশা করা
হয়েছে যখন কিনা সন্ত্রাসের
বিরুদ্ধে দেশের লড়াইয়ে
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর
আস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ණ☛ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ মাসে
যখন গুম নিয়ে বিস্তারিত নথিবদ্ধ
একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে, তখন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
অবজ্ঞাভরে তার জবাব দেন। তিনি
বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি আমাদের
বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা
চালাচ্ছে।’ মি. খান বলেন, ‘কাকে
আপনি গুম বলবেন?’ ভুক্তভোগীদের
ভাগ্যে কি জুটেছে তার কোনো
উত্তর বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছ
থেকে পান না প্রিয়জনরা।
আদালতও কোনো পদক্ষেপ নেয় না।
ভুক্তভোগীদের এসব প্রিয়জনদের
তীব্র মানসিক যন্ত্রণার প্রতি
অসম্মান জানিয়ে তিনি বলেন,
‘অনেক ব্যবসায়ী ঋণ পরিশোধ করতে
না পেরে আত্মোগোপনে গেছেন।
অনেকে পরকীয় সম্পর্কে জড়িয়ে
লুকিয়ে আছেন।’
সম্পাদকীয়তে বলা হয়,
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিউম্যান রাইটস
ওয়াচের প্রতিবেদন তাচ্ছিল্যের
সঙ্গে উড়িয়ে দেন। একই সঙ্গে তিনি
এই মিথ্যা দাবি করেন যে
জাতিসংঘ একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ
করেনি।
ණ☛ সম্পাদকীয়তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রতি চ্যালেঞ্জ করে বলা হয়, যদি
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল
জাতিসংঘের প্রতি শ্রদ্ধা রাখেন
তাহলে তার সরকারের উচিৎ
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক
প্রধান জাইদ রাদ আল হোসাইনকে
দিয়ে বিষয়টি স্বাধীনভাবে
তদন্তের আমন্ত্রণ জানানো।
তাহলেই কেবল সরকার সততার সঙ্গে
বাংলাদেশের মানুষ, বিশ্ব মতামত
এবং সত্যের মুখোমুখি হতে পারবে।
©NEWS OGRAN24

রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭

শ্রমিক লীগ নেতা তুফানদের মত ধর্ষকদের ফাঁসি চাই।

তুফানদের মতো
জানোয়ারদের ফাঁসি চাই
≠========_====

খুজিস্তা নূর-ই নাহারিন
(মুন্নি)

বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক
তুফান সরকার ক্যাডার দিয়ে তুলে
নিয়ে গিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ
করেছে। ‘জোর যার মুল্লুক তার’ এই
প্রবচনটির মত করে বগুড়ার এই
প্রভাবশালী নেতা শুধু ধর্ষণ করেই
ক্ষান্ত হয়নি, বিষয়টি ধামাচাপা
দিতে দলীয় ক্যাডার ও এক নারী
কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার
মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে
দিয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনা ভিন্ন খাতে
প্রবাহিত করতে তৎপর হয়ে ওঠে
তুফানের স্ত্রী আশা সরকার ও
স্ত্রীর বড় বোন পৌর কাউন্সিলর
মার্জিয়া আক্তার। গত শুক্রবার
বিকেলে ৮-১০ জন ক্যাডার পাঠিয়ে
ওই কিশোরী ও তার মাকে বাড়ি
থেকে তুলে আনে। প্রথমে
মার্জিয়া নিজে এবং পরে তুফান
সরকারের স্ত্রী আশা সরকার ও
শাশুড়ি রুমি বেগম মা-মেয়েকে
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে,
তুফানের তিন সহযোগী তাঁদের
বেধড়ক মারধর করে। প্রায় চার
ঘণ্টা নির্যাতনের পর ক্ষোভ
মেটাতে অবশেষে দুজনের মাথা
ন্যাড়া করে দেয়। পরে সাদা
কাগজে সই নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে
বগুড়া ছেড়ে চলে যেতে বলে। না
গেলে এসিড দিয়ে ঝলসে দেবে বলে
হুমকি দেওয়া হয়।
বগুড়া শহরের একটি বিদ্যালয় থেকে
এ বছরই এসএসসি পাস করে মেয়েটি।
তার বাবা গ্রামীণ বাজারে
সামান্য পুঁজির ব্যবসা করেন। আর
মা ঢাকায় পোশাক কারখানার
শ্রমিক। এত দিন মেয়েটি বগুড়া
শহরে নানা বাড়িতে থেকে
পড়াশোনা করতো। তবে কিছুদিন
আগে মা বগুড়ায় ফিরে গেলে সে
তার মা-বাবার সঙ্গে থাকতে শুরু
করে।
তবে কি গরীব ঘরে সুন্দরী মেয়ে
থাকতে নেই! নাকি গরীব ঘরের
সুন্দরী মেয়েদের পড়াশোনা করে
বড় হওয়ার স্বপ্ন থাকতে নেই!
কিশোরী ও তার মায়ের প্রতি যে
আচরণ করা হয়েছে, তা মধ্যযুগীয়
বর্বরতাকেও হার মানায়, এটা
মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন,
মনুষ্যত্বের চরম অবমাননা।
কতো ঔদ্ধত্য কতোটা দুঃসাহস
বেপরোয়া আইন কানুন তোয়াক্কা
না করা উন্মাদ বর্বর হলে এভাবে
মা মেয়েকে উঠিয়ে এনে গণধর্ষণ
করে! এই ধর্ষকদেরদের কাছে বিবেক
মনুষ্যত্ব আশা করা যায় না। এরা
সমাজকে বিষাক্ত করছে। ধর্ষণকে
উৎসাহিত করছে। আইন কানুন পুলিশ
র্যাব সরকারকে বুড়ো আঙুল
দেখাচ্ছে। সাধারণ নারীরা,
গরীবের বউ-কন্যারা এদের হাতে
ধর্ষিত হচ্ছে। এই দানবদের এখনই না
রুখলে যে কেউ এই নিষ্ঠুরতার
শিকার হবে। গাজীপুরে কন্যার
ধর্ষণ সইতে না পেরে, বিচার
হীনতায় ক্ষোভে দুঃখে অসহায়ত্বে
অবশেষে মেয়েকে নিয়ে বাবা
আত্মহত্যা করেছে। বনানীতে ধনীর
দুলালদের ধর্ষণ সারা দেশে ঝড়
তুলেছে। সরাকারি দলের সহযোগি
সংগঠন করা এইসব ধর্ষক দল ও
রাজনীতির অভিশাপ। এদের কারা
আশ্রয় দিয়ে এতোটা উন্নাসিক
বানিয়েছে তাও দেখতে হবে।
নাগরিক সমাজকেও এই বর্বরতার
বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
কঠোর শাস্তি না হলে এরা
থামবেনা। কারো এই দম্ভের উৎস
টাকা, কারো ক্ষমতা বা
ক্ষমতাবান বড় ভাই, এদের গুড়িয়ে
দিতেই হবে। রাষ্ট্রকে মানুষের
জীবন ও ইজ্জতের নিশ্চয়তা দিতেই
হবে। না হয় অমানবিক অসভ্য
সমাজে কেউ বসবাস করতে
পারবেনা, সন্তানদের নিয়ে
নিরাপদ বোধ করবে না। কঠিন
শাস্তির ভয় একমাত্র এদের নিবৃত্ত
করতে পারে নতুবা অসম্ভব।
তুফানদের মতো জানোয়ারদের
ফাঁসি চাই।
দুষ্কৃতিকারীরা ক্ষমতাসীন দলের
সাথে সম্পর্কিত হলে, উপযুক্ত
শাস্তির মাধ্যমে প্রমাণ করতে
হবে, ‘দল বা সরকার এমন জঘন্য
অপরাধকে সমর্থন বা এমন কুলঙ্গার
অপরাধীকে ক্ষমা করে না।’
লেখক: সম্পাদক,
পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজ।

আওয়ামিলীগ নেতা যখন ধর্ষক তুফান।

ক্ষমতার তুফান বইছে

শাহদীন মালিক | ৩১ জুলাই ২০১৭,

সাদামাটাভাবে বুঝি, অপরাধীরা
সাধারণত দুটি ভুল ধারণা থেকে
অপরাধকর্মে জড়ান। প্রথমত,
অপরাধীরা সাধারণত লোভ-
লালসায় পড়ে অপরাধকর্ম করে
থাকেন। তাঁরা মনে করেন, চুরি-
ডাকাতি বা অন্য অপরাধ করলেও
ধরা পড়বেন না। আইন বা পুলিশকে
ফাঁকি দিয়ে তাঁরা অপরাধের
মাধ্যমে আয় করা টাকা বা সম্পদ
ভোগ করতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, অপরাধীরা এই ধারণা
থেকে অপরাধ করে থাকেন যে আইন
তাঁদের ধরতে পারবে না অথবা
পুলিশ বা আইন টের পেলে বা বুঝতে
পারলেও ক্ষমতা, প্রতিপত্তি বা
এ ধরনের কারণে তাঁরা ধরাছোঁয়ার
বাইরে থেকে যাবেন। ইদানীং এই
দ্বিতীয় শ্রেণির অপরাধীদের
খবরই পত্রপত্রিকায় ঘন ঘন আসছে।
মাস তিনেক হতে চলল গাজীপুরের
ধর্ষিতা শিশুকন্যার অসহায় বাবা
মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের তলায়
আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। কারণ, এই
অসহায় বাবা বুঝতে পেরেছিলেন,
যাঁরা তাঁর কন্যাকে ধর্ষণ করেছে,
তারা ক্ষমতার জোরে আইন ও
পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে
যাবে। আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে
থাকা লোকের সংখ্যা যত বাড়তে
থাকবে, সমাজে তত বেশি
পাশবিক, লোমহর্ষক ও বর্বর
অপরাধের ঘটনা বাড়তে থাকবে।
দিনকাল সঠিক মনে নেই, পাঁচ-সাত
বছর আগে এস এম শাহজাহান
সাহেবের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তিনি
১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে
পুলিশের মহাপরিদর্শক ছিলেন।
পরে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
উপদেষ্টাও হয়েছিলেন। এক
আলাপচারিতায় তিনি বলেছিলেন
যে তাঁর দায়িত্ব পালনকালে
দিনাজপুরের ইয়াসমিন নামের এক
কিশোরী পুলিশের দ্বারা ধর্ষিত
হয়ে নিহত হয়েছিল। তাঁর আমলে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
হাতে বেসামরিক মানুষ মারা
যাওয়ার ঘটনা ওই একটিই ঘটেছিল।
পরবর্তীকালে দোষী তিনজন পুলিশ
কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছিল,
তাঁদের একজনের ফাঁসি হয়, বাকি
দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
১৯৯৫ সালের সেই ঘটনার পর দুই যুগ
পার হয়েছে। পুলিশের বর্তমান
মহাপরিদর্শক হয়তো একইভাবে গর্ব
করতে পারেন, এখন প্রতিদিন অন্তত
গড়ে একজন করে পুলিশের হাতে
নিহত হন। নিঃসন্দেহে দেশ
উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে!
বগুড়ার এই কিশোরী ধর্ষণকারী
তুফান সরকার নিঃসন্দেহে দ্বিতীয়
গোত্রের অপরাধী। ক্ষমতা,
প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণে পুলিশ
তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারবে না—এই
বদ্ধমূল ধারণা থেকে তিনি যে শুধু
ধর্ষণ করেছেন তা নয়, বরং
সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মা-মেয়েকে
বেধড়ক পিটিয়েছেন। তিনিও
নিঃসন্দেহে ভেবেছিলেন, তাঁর
কিছু হবে না। অপরাধীদের এসব
ঘটনায় মাঝেমধ্যে গণমাধ্যম বাদ
সাধে। বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের
দুই ছাত্রী ধর্ষণের অপরাধও একই
সূত্রে গাথা। ভীষণভাবে
বিত্তশালী অপরাধীরা নিশ্চিত
ছিলেন, তাঁদের কিছু হবে না।
ক্ষমতা, প্রভাব ও বিত্তশালীদের এ
ধরনের অপরাধপ্রবণতা নতুন কিছু নয়।
আইনের শাসন ও গণতন্ত্রহীন
দেশগুলোতে এ ধরনের অপরাধ বহুদিন
ধরে ঘটে আসছে, এখনো ঘটছে।
আমাদের দেশে এই অভিজ্ঞতা
তুলনামূলকভাবে নতুন। কিন্তু
শিগগিরই এই শুরুর শেষ দেখতে
পাচ্ছি না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী এখন দেশের যেকোনো
আইনের ঊর্ধ্বে। দেশে চলছে বড়
প্রকল্পের জোয়ার, ৫০ কোটি টাকার
প্রকল্প সরকার যখন ১০০ কোটি
টাকায় করছে, তখন অপরাধীরা
কোটি কোটি টাকা কামাই করতে
পারছে। এমন সমাজে অপরাধ ক্রমেই
সংঘবদ্ধ হতে বাধ্য। আর সেখানে
প্রভাব-প্রতিপত্তিশালীদের
লীলাখেলা চলবে, এটাই তো
স্বাভাবিক!
এ ধরনের অপরাধ হলে আমরা নিন্দা
করব, প্রতিবাদ জানাব। কিন্তু প্রকৃত
সমাধানের একমাত্র যে পথ, অর্থাৎ
গণতন্ত্র ও জবাবদিহি, সেই পথের
ধারেকাছে যাওয়াটা একেবারে
অসম্ভব হয়ে না গেলেও ক্রমেই দুরূহ
হয়ে উঠছে। আর যাঁরা এসব থেকে
লাভবান হচ্ছেন, তাঁরা তাঁদের
লীলাভূমি আঁকড়ে রাখতে তত
বেশি মরিয়া হয়ে উঠবেন।

শাহদীন মালিক : সুপ্রিম কোর্টের
আইনজীবী

নায়ক অনন্ত জলিল,তাবলীগ জামাতে দাওয়াত দিচ্ছেন।

গায়ে জুব্বা, মাথায়
পাগড়ি : তাবলিগ
জামাত নিয়ে ব্যস্ত
অনন্ত জলিল!

নিউজ ডেস্ক:
বাংলা সিনেমার নায়ক অনন্ত
জলিল তাবলিগ জামাতের একটি
দল নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডির
রবীন্দ্র সরোবরে হাজির
হয়েছেন। ওখানে তিনি
শুনিয়েছেন ধর্মের বাণী,
দিয়েছেন দাওয়াত।
শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায়
রবীন্দ্র সরোবরে হাজির হয়ে
তিনি বলেন, তিনি জানান
ধর্মের কথা শোনাতেই
এসেছেন।’
এরআগে, নিজের ভেরিফায়েড
ফেসবুক পেজে অনন্ত লিখেন,
‘বন্ধুগণ,আমি আজ (শনিবার)
সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে আসছি
ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে।
আপনাদের/তোমাদের সাথে
কিছু ইন্টারেস্টিং ব্যাপারে
আলোচনা করতে। সবার
উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য।
আমার সাথে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ
ব্যক্তি থাকবে। দেখা হবে সবার
সাথে।’
অনন্ত জলিলের এমন আমন্ত্রণে
সাড়া দিয়েছিলেন হাজারও
লোক। কিন্তু বেশিক্ষণ স্থায়ী
থাকেনি তার সে দাওয়াতি
কার্যক্রম। আইন শৃঙ্খলা অবনতির
আশঙ্কায় এবং পুলিশকে আগে
থেকে অবহিত না করায় তাকে
ছাড়তে হয়েছে রবীন্দ্র সরোবর।
পরে ফেসবুকে অনন্ত জলিল
জানান, তিনি অনুমতি নেয়ার
বিষয়টি জানতেন না। অনুমতি
নিয়ে শীঘ্রই তিনি এরকম আরও
একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন
করবেন।
অনন্ত জলিল এদিন ভিন্ন বেশে
হাজির হন। তার পরনে ছিল
জুব্বা আর মাথায় পাগড়ি। সবার
উদ্দেশ্যে অনন্ত জলিল বলেন,
‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের
প্রতিটি নিয়ম কানুনই মানুষের
শান্তির জন্য। তাই আসুন আমরা
ইসলামের পথে চলি। ইসলামের
বিধিবিধানগুলো মেনে চলি।
উল্লেখ্য, ঢালিউডের অন্যতম
আলোচিত নায়ক অনন্ত জলিল।
২০১০ সালে আলোচনায় আসেন
তিনি সিনেমায় নিজের
ব্যতিক্রমি উপস্থাপনার কারণে।
২০১৪ সালের জুলাইয়ে তার
সর্বশেষ ছবি ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’
মুক্তি পায়। এরপর ব্যবসা ও
পরিবার নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন।
চলতি বছরে এসে চলচ্চিত্র
নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে ফের
আলোচনায় আসেন তিনি। এবার
নতুন করে আলোচনায় এলেন
তাবলিগি দাওয়াতের মাধ্যমে।

শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭

মু.আনফর আলীর কাহিনী অব্যক্ত বইয়ের মোড়ক উম্মোচন

‘কাহিনী অব্যক্ত’
বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
.
নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের
কেন্দ্রীয় সদস্য, সিলেট মহানগর
আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক
সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ
কামরান বলেছেন, কবি ও
গীতিকাররা তাদের লিখনীর
মাধ্যমে দেশের কল্যাণে নিরলস
ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কবি ও
গীতিকাররা তাদের কাজের
মাধ্যমে মানুষের মন প্রফুল্ল রাখেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিক, কবি ও
গীতিকার ম. আনফর আলী একজন সৎ ও
নিষ্ঠাবান লেখক। তার লেখা বই
থেকে নতুন প্রজন্মরা অনেক বিষয়ে
শিখতে পারবে।
বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ২৮ জুলাই
শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় মুসলিম
সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসর
কক্ষে প্রকাশনা উৎসব উদযাপন
কমিটি আয়োজিত সাংবাদিক, কবি
ও গীতিকার ম. আনফর আলীর
‘কাহিনী অব্যক্ত’ বইয়ের প্রকাশনা
উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট প্রেসক্লাব ও কেন্দ্রীয়
মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাবেক
সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরীর
সভাপতিত্বে এবং কবি কামাল আহমদ
ও কাজী জসিম উদ্দিনের যৌথ
সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান
আলোচকের বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট
সাংবাদিক ও গবেষক আবদুল হামিদ
মানিক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য
রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক
সভাপতি মুকতাবিস উন নুর, কবি
লাভলী চৌধুরী, বাংলাদেশ
পোয়েটস ক্লাবের কেন্দ্রীয়
চেয়ারম্যান কবি মোস্তাফিজুর
রহমান চৌধুরী, দৈনিক সবুজ
সিলেটের উপ-সম্পাদক আ.ফ.ম সাঈদ,
সাপ্তাহিক টেমস সুরমার ভারপ্রাপ্ত
সম্পাদক কবি সুমা জায়গীরদার।
অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন
বইয়ের লেখক ম. আনফর আলী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য
রাখেন এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন
দিলু, এডভোকেট কবি আব্দুল মুকিত
অপি, ছড়াকার অজিত রায় ভজন, কবি
ধ্রুব গৌতম, কবি মোহাম্মদ নুরুল
ইসলাম, কবি নাজনিন আক্তার ঝর্ণা,
কবি শাহীন উদ্দিন, কবি এখলাছুর
রহমান এখলাছ, গীতিকার হরিপদ চন্দ,
কবি মিজান মোহাম্মদ, কবি নিলুফা
ইসলাম নিলু, কবি নাসির উদ্দিন,
সৈয়দ মুক্তদা হামিদ, ছড়াকার
মিনহাজ ফয়সল প্রমুখ। শুরুতে কুরআন
থেকে তেলাওয়াত করেন মৌলভী
শাহ তোফাজ্জুল হোসেন ভান্ডারী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন এম আলী
হোসাইন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি
মাসুদা সিদ্দিকা রুহী।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক,
কবি ও গীতিকার ম. আনফর আলীর
‘কাহিনী ও অব্যক্ত’ বইয়ের মোড়ক
উন্মোচন করেন ভিক্ষুক মোসা মিয়া
সহ অতিথিবৃন্দ।

সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭

যিনি কোচিং করবেন তার সর্বনাশ হবে, শিক্ষা মযন্ত্রী

যিনি কোচিং করবেন, তার
সর্বনাশ হবে: শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published:
কোচিং বন্ধে আইন করা হচ্ছে
জানিয়ে জড়িত শিক্ষকদের
বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে
বলে হুঁশিয়ার করেছেন
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সোমবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য
কেন্দ্রে মাধ্যমিক পর্যায়ের
শিক্ষক ও গ্রন্থাগারিকদের এক
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “কোচিং
একটা লাগছে। এই বেআইনি কাজ
বন্ধ করে দিব। যিনি কোচিং
করবেন তার সর্বনাশ হয়ে যাবে।
আগে আইনটা হোক তারপর দেখতে
পাবেন।
“বেতন দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে,
এখন কোচিং যারা খুলবেন, কোচিং
ইন্সপায়ার করবেন... আইনটা হয়ে
যাক, বুঝবেন মজা। এসব করে
আমাদের ছেলে মেয়েদের সর্বনাশ
করে দিচ্ছেন।”
সেকন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি
অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট
প্রজেক্টের (সেকায়েপ) আওতায়
পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচিতে
নির্বাচিত সেরা সংগঠক সম্মাননা
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে
শিক্ষামন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারি আসে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে
সহযোগিতায় বই পড়া কর্মসূচিতে
জড়িত ঢাকা বিভাগের ৪৪টি
উপজেলার মোট ১৭৫জন শিক্ষক বা
গ্রন্থাগারিককে অনুষ্ঠানে
সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া
বক্তব্যে কোচিংয়ে জড়িত কিছু
শিক্ষক প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে পুরো
শিক্ষকতা পেশাকে কলঙ্কিত করছে
বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ।
তিনি বলেন, “শেষ রাতে পরীক্ষার
প্রশ্ন কীভাবে দিবে, সেটা নিয়ে
থাকে। পরীক্ষার ফাঁস করানোর
চিন্তা- এগুলা আর সম্ভব না।
স্যারেরা খাতা দেখেন না, ওজন
করে করে নম্বর দেন, চার বছর ধরে
ব্যবস্থা নিয়েছি, এবার
ভালোভাবে একটু খাতা দেখা
হয়েছে, দেখেন, পরিবর্তন হয়ে
গেছে।”
পাঠ্যবইয়ের বাইরের বই পাঠের
অভ্যাস গড়ে তুলতে শিক্ষকদের
প্রতি আহ্বান জানিয়ে
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমাদের
দেশে আমরা যে পাঠদান করছি
তাতে সামান্য জ্ঞান দিতে
পারি। কিন্তু পড়ার অভ্যাসটা যদি
গড়ে দিতে না পারি তাহলে
আমাদের জ্ঞানকে প্রসারিত করতে
পারব না। সেজন্য আমরা শিক্ষা
ব্যবস্থার মধ্যে অনেক পরিবর্তন
আনার চেষ্টা করেছি।”
পড়ার অভ্যাসটা গড়ে তোলার লক্ষ্য
নিয়ে ২০১০ সাল থেকে এই প্রকল্প
চালু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি
জানান, ২৫০টি উপজেলায় প্রায় ১২
হাজার প্রতিষ্ঠানে এই প্রকল্প শুরু
হয়েছে। পাঠ্যবইয়ের বাইরে
সেখানে বই পড়বার একটি
প্রতিযোগিতা হয়। এই সময়ে প্রায়
৩৫ লাখ বই বিতরণ করা হয়েছে।
২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৬১
লাখ শিক্ষার্থী বই পড়ার সুযোগ
পেয়েছে। ২০১৭ সালে শুধু ২১ লাখ
শিক্ষার্থী বই পড়া কর্মসূচিতে
অংশগ্রহণ করেছে।
“যেখানে মানুষ কম পড়ে সেখানে
আমরা লাখ লাখের হিসাব বলছি।
সাত বছরে ২১ লাখ পুরস্কার বিজয়ী
পাঠক ৩৪ লাখ বই পুরস্কার হিসাবে
পেয়েছে। এভাবে আমাদের এটা
প্রসারিত হয়েছে।”
নিজেরা বই পড়ার পাশাপাশি সৎ
ও নিষ্ঠাবান হওয়ার আহ্বান
জানিয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে
নাহিদ বলেন, “শিক্ষকের উপর
নির্ভর করে ভবিষ্যত প্রজন্ম, মানুষ
কীভাবে গড়ে উঠবে। তিনি যদি সৎ
না হন, তিনি যদি মূল্যবোধ সম্পন্ন
না হন, ন্যায়পরায়ণ মানুষ না হন,
তিনি যদি আন্তরিকভাবে গড়ে না
তোলেন, তাহলে আমাদের ভবিষ্যত
সর্বনাশ হয়ে যাবে। আমরা কিছু
লোকের জন্য, যারা শিক্ষকতা
পেশায় কাজ করেন তাদের সবাইকে
কলঙ্কিত হতে দিতে পারি না।”
অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ
আবু সায়ীদ বলেন, আমাদের ছেলে
মেয়েরা পড়ে না, তা কিন্তু না।
আসলে তারা সুযোগটা সেভাবে
পায় না। বইপড়াটা খুব কঠিন কাজ।
পাঠ্যবই পড়া সহজ। কারণ পাঠ্যবই
মানে টাকা। লেখাপড়া করে যে
গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে। এ কারণে
পাঠ্যবই না পড়লে পিটিয়ে হলেও
পড়ানো হয়।”
তিনি বলেন, যে বই মানুষকে টাকা
দেয় না, বিকশিত করে সেই বই
পড়ার লোক কিন্তু অনেক কম। সেই
বইয়ের পাঠক পাওয়া কঠিন।
পৃথিবীর যে জনসংখ্যা তার মাত্র
৬ শতাংশ সেই বই পড়ার ক্ষমতা
রাখে। তারা যদি না পড়ে তাহলে
বই পড়ুয়ার সংখ্যা ৩ শতাংশে
নেমে আসে।
৪০ বছর ধরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে
কাজ করে বছরে সর্বোচ্চ ৪ লাখ
পর্যন্ত পাঠককে পড়ানো সম্ভব
হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন,
“শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পের
সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় সেটা এখন ২৪
লাখে দাঁড়িয়েছে। আমার জীবনে
এমন আনন্দের আর কিছু নাই।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা
বিভাগের ৪৪টি উপজেলায় মোট
১৭৮০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি
বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৬ সালে
ঢাকা বিভাগে ৩ লাখ ৫৯ হাজার
৯১৪ জন শিক্ষার্থী বইপড়া
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিল এবং
৮০ শতাংশ পাঠক মূল্যায়ন পরীক্ষায়
অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে প্রায় ১
লাখ ৮ হাজার ৬৫০ জন পাঠক
মূল্যায়ন পরীক্ষায় কৃতিত্বের পরিচয়
দিয়ে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৪১ কপি বই
পুরস্কার পেয়েছে।
নির্বাচিত সংগঠকদেরকে ৪ হাজার
টাকার ব্যাংক ড্রাফট, বই ও সনদ
প্রদান করা হয় অনুষ্ঠানে।
সেকায়েপ প্রকল্প পরিচালক
মাহামুদ-উল-হকের সভাপতিত্বে এ
সময় অন্যদের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ
শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব
হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা
বিভাগের সচিব মো. আলমগীর,
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক
এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বক্তব্য
দেন।

সূরায়ে ফাতিহা!

সূরা আল ফাতিহার বাংলা ও ইংরেজি অর্থ ইসলাম ডেস্ক: সূরা ফাতিহা (মক্কায় অবতীর্ণ), এর আয়াত সংখ্যা 7 ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤـَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢ...