নবীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি : কয়েকগুণ বেশি বিল, বিপাকে ২হাজার গ্রাহক
নবীগঞ্জ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় চরম অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কর্মকর্তাদের মিটারের রিডিং লেখায় খামখেয়ালির কারণে বিপাকে পড়েছেন একটি গ্রামের ২হাজার গ্রাহক। উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নে এঘটনা ঘটেছে এনিয়ে এলাকা জুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় তীব্র আন্দোলন ডাক দেওয়ার হুশিয়ারী দিয়েছেন ক্ষোব্ধ পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামে গত ৫ মাসে যেসব পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রত্যেক মাসে ৪০ থেকে ৫০ ইউনিট ক্ষয় এর বিল এসেছে সেই সব গ্রহকদের জুন মাসের বিল গত ৫ মাসের বিলের এর সাথে কোনো মিল নেই। কয়েকগুণ বেশি ব্যবধান । অর্থাৎ যেসব গ্রহকদের বিগত ৫ মাসে ৫০ থেকে ৭০ ইউনিটের বিল এসেছে সেখানে গত জুন মাসের বিল এর কাগজে দেখা গেছে ২০০ থেকে ২৫০ ইউনিট ক্ষয়ের বিল লিখা আছে। এনিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক সদরঘাট নতুন বাজারে পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা জানান,বাড়ি বাড়ি হেটে রিডিং লিখে নেওয়া বিদ্যুৎ কর্মকর্তা সাজ্জাত মিয়া জুলাই মাসে কারো বাড়িতে না গিয়ে অজ্ঞাত স্থানে বসে অনুমান করে প্রত্যেকটি মিটারের রিডিং লিখে নিয়েছেন এনিয়ে প্রচন্ড সমালোচনা চলেছে। এঘটনার পর সাজ্জাদ মিয়াকে সাময়িক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। গত শনিবার জুলাই মাসের বিলের কাগজ প্রত্যেকটি বাড়িতে পৌছেঁ দেন এক বিদ্যুৎ কর্মচারী। পল্লী বিদ্যুৎ এর বিলের কাগজ হাতে নিয়ে গত কয়েক মাসের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ব্যবধান দেখে চোখ কপালে উঠে যায় গ্রাহকদের। বিলের কাগজ দিতে আসা পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীকে স্থানীয় লোকজন ঘিরে রাখার চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারীদের খামখেয়ালির কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সদরঘাট গ্রামের প্রায় ২ হাজার গ্রাহক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন