শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭

দৈন্যতায় ধুঁকছে দেশের ৯ হাজার ৮৮৬টি ডাকঘর

দৈন্যতায় ধুঁকছে দেশের ৯ হাজার ৮৮৬টি ডাকঘর : প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকা লোকসান

Share on Facebook0Share on Google+0Tweet about this on Twitter0Share on LinkedIn0Print this pageEmail this to someone
নিউজ ডেস্ক: একটা সময় ছিল যখন ডাক বিভাগ ছিল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। তখন চিঠি থেকে শুরু করে পণ্য পার্সেল, টাকা পরিবহনে একমাত্র ভরসাই ছিল ডাক বিভাগ। তবে কালের বিবর্তন ও প্রযুক্তির অতল গর্ভে হারিয়ে গেছে টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা। ফলে বর্তমানে সেবা দৈন্যতায় ধুঁকছে ৯ হাজার ৮৮৬টি ডাকঘর। দেড় দশকে ডাক বিভাগে চিঠি বিলির সংখ্যা কমেছে ২০ কোটি। প্রতি বছরে গড়ে ২০০ কোটি টাকার বেশি লোকসান গুনতে হচ্ছে। আর গত ৭ বছরে লোকসান হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছর জুন মাস পর্যন্ত ২৫৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৪৮৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর আগের বছর লোকসান হয়েছে ২২৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। একইভাবে ২০১২-১৩ অর্থবছরে লোকসান ১৭৭ কোটি ১৩ লাখ, ২০১১-১২তে ২০০ কোটি ৬৯ লাখ ও ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে লোকসান গুনতে হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০০ সালে ২৪ কোটি ৪ লাখ ২৭ হাজার চিঠি বিলি করে ডাক বিভাগ। এখন তা নেমে এসেছে ৫ কোটির নিচে। বর্তমানে সারা দেশে ডাকঘরে কর্মরত ৩৯ হাজার ৯০৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সুদিন যাচ্ছে না। এদের প্রায় ২৪ হাজার ভাতাপ্রাপ্ত কর্মচারীই হলেন রানার বা ডাকহরকরা। যাদের অবস্থা বড় করুণ।
ডাক অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ চিঠি কমে গেলেও বাড়ছে রেজিস্ট্রি চিঠি, পার্সেল ও দাফতরিক চিঠি। ডাক বিভাগ চিঠি সরবরাহের লক্ষ্যে ১১৮টি গাড়ি সংযুক্ত করেছে, যাতে জনগণের কাছে তাদের বার্তা দ্রুত পৌঁছে দেয়া যায়। গ্রামীণ পর্যায়ে ডাকঘর নির্মাণের একটি উদ্যোগ শুরু হয়েছে। আগামী এপ্রিলে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। তবে জনবল সংকট রয়ে গেছে।
তবে জানা গেছে, ডাক বিভাগকে মাথা তুলে দাঁড়াতে প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দিতে পোস্ট অফিস ব্যাংকিংয়ের ব্যাপক বিস্তৃতির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাংকিং খাতের বাইরে যে জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সেবা দেওয়াই এর মূল লক্ষ্য। এখানে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে, টাকা উত্তোলন ও জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, পোস্ট অফিস ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে। চীনে যেমন পোস্টাল সার্ভিস আধুনিকায়ন করা হয়েছে, বাংলাদেশেও করা হবে। কারো বাধায় পোস্ট অফিসের আধুনিকায়ন আটকে থাকবে না। উদ্যোগ নেয়া হয়েছে; বাস্তবায়ন সময়ের ব্যাপারমাত্র। এগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে আবার ঘুরে দাঁড়াবে ডাক বিভাগ।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সারাদেশে মোট ৯৮৮৬ টি পোস্ট অফিস রয়েছে। এরমধ্যে জিপিও ৪টি, এ- গ্রেড প্রধান ডাকঘর ২৩টি, বি-গ্রেড প্রধান ডাকঘর ৪৫টি, উপজেলা পোস্ট অফিস (ইউপিও) ৩৯৯টি, সাব-পোস্ট অফিস (এসও) ৯৪৫টি, অবিভাগীয় সাব-পোস্ট অফিস (ইডিবিও) ৩২২টি, বিভাগীয় শাখা পোস্ট অফিস (বিও) ১০টি, অবিভাগীয় শাখা পোস্ট অফিস (ইডিবিও) ৮১৩৮টি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সূরায়ে ফাতিহা!

সূরা আল ফাতিহার বাংলা ও ইংরেজি অর্থ ইসলাম ডেস্ক: সূরা ফাতিহা (মক্কায় অবতীর্ণ), এর আয়াত সংখ্যা 7 ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤـَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢ...