সুদখোরদের
গ্রেফতারে এলাকায়
মিষ্টি বিতরণ ও নফল
নামাজ আদায়
নিউজ ডেস্ক::
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়
সুদখোরদের জুন ক্লোজিংয়ের
(কথিত হালখাতা) সময় ৩
মহাজনকে গ্রেফতার করেছে
পুলিশ। এ সময় নগদ টাকা, বিপুল
পরিমাণ ফাঁকা চেক-ষ্ট্যাম্প এবং
জমির দলিল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার রাতে উপজেলার
ভেন্ডাবাড়ী হাটের ডায়মন্ড
ক্লাবে তাদের দেয়া প্রায় দেড়
কোটি ঋণের টাকা আদায়ের (জুন
ক্লোজিং) সময় তাদের গ্রেফতার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ডায়মন্ড
ক্লাবের সভাপতি আবু বক্কর
সিদ্দিক ওরফে উজ্জল (৩০),
আসাদুজ্জামান (৩০) ও একরামুল
হক (৩০)। এসব সুদখোরদের
গ্রেফতারের খবরে ভুক্তভোগীরা
ওই এলাকায় মিষ্টি বিতরণ ও নফল
নামাজ আদায় করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,
ভেন্ডাবাড়ী হাটে সৌদিয়া
মার্কেটের পাশে ডায়মন্ড ক্লাব
এবং শ্রী মধূ চন্দ্র মাস্টারের
বেশ কয়েকটি দোকান ঘর ভাড়া
নিয়ে মডেল ক্লাব, মুনস্টার ক্লাব,
গোল্ডেন ক্লাবসহ বেশকিছু ক্লাব
ও ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই সাইন
বোর্ড ঝুলিয়ে সুদের কারবার
চালিয়ে আসছে। ঋণের ভারে
জর্জরিত ব্যক্তিরা সুদ দিতে
দিতে সর্বশান্ত হয়েছে।
সুদখোরদের অত্যাচার ও
নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেকে
বাড়ি-ঘর বিক্রি করে এলাকা
ছাড়া হয়েছে। এ নিয়ে
এলাকাবাসী কোনো প্রতিবাদ
করার সাহস পায়নি। সম্প্রতি এক
ঋণী ব্যক্তিকে সুদখোররা অপহরণ
করায় মামলা হলে বিষয়টি
প্রশাসনের নজরে আসে।
গত ১৪ জুন দৈনিক যুগান্তরে
‘পীরগঞ্জে সুদের ব্যবসা রমরমা’
শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ
হওয়ার পর থেকেই সুদখোররা
তাদের প্রায় ৭ কোটি টাকা
ঋণের টাকা আদায়ে জুন
ক্লোজিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
ডায়মন্ড ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাদের
ঋণগ্রহীতাদেরকে নোটিশ দিয়ে
বুধবার টাকা আদায়ের লক্ষ্যে
হালখাতার আয়োজন করে।
বিষয়টি পুলিশের নজরদারীতে
ছিল।
একপর্যায়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ
এবং ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত
কেন্দ্রের পৃথক দুটি দল ওই
সুদখোরদের গ্রেফতারে অভিযান
চালায়। বুধবার সন্ধ্যার পর
ডায়মন্ড ক্লাবের ভিতরে
বেশকিছু ফাঁকা চেক বই, ষ্ট্যাম্প ও
জমির দলিল এবং নগদ প্রায় ১ লাখ
২৮ হাজার টাকাসহ ৩ সুদখোর
মহাজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এ সময় সুদখোর মহাজন ডায়মন্ড
ক্লাবের সম্পাদক সামছুজ্জামান
ফুল মিয়া, রাশেদুল, মিজানুর,
রবিউল, রুবেল, আপেল মিয়াসহ
কয়েকজন পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন ঋণী
ব্যক্তি সুদখোর মহাজনদের
বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ
করেছেন। এ ব্যাপারে এসআই বুলবুল
হাসান বাদী হয়ে মামলা
করেছেন। মামলার তদন্তকারী
কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার এসআই
তামবিরুল ইসলাম বলেন, ফুল
মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা
চলছে।
রংপুরের এএসপি (সার্কেল-ডি)
জাকারিয়া রহমান বলেন,
সুদখোরদের বিরুদ্ধে
মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি
অথরিটি আইন ও প্যানাল কোড
৪২০ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের আদালতের
মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো
হয়েছে।
সুত্র : যুগান্তর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন